A
১৯১৯ সালে
B
১৯২৯ সালে
C
১৯৩৯ সালে
D
১৯৪৯ সালে
উত্তরের বিবরণ
• 'পথের পাঁচালী' উপন্যাস:
-
'পথের পাঁচালী' বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় বাংলা উপন্যাস।
-
এটি ১৯২৯ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথম প্রকাশিত হয় 'বিচিত্রা' পত্রিকায়।
-
উপন্যাসের পটভূমি বাংলাদেশের গ্রাম এবং তার পরিচিত মানুষের জীবন।
-
এতে একটি শিশুর চৈতন্যের জাগরণ, মানুষ ও প্রকৃতির সঙ্গে তার পরিচয় বর্ণিত হয়েছে।
-
উপন্যাসটি তিনটি ভাগে বিভক্ত: বল্লালী বালাই, আমআঁটির ভেঁপু, অক্রূর সংবাদ।
-
'পথের পাঁচালী'র নায়ক হলো বালক অপু।
প্রধান চরিত্র:
-
অপু
-
দুর্গা
-
ইন্দির ঠাকরুন
-
সর্বজয়া
অতিরিক্ত তথ্য:
-
'পথের পাঁচালী' ও 'অপরাজিত' উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, 'পথের পাঁচালী' উপন্যাস।

0
Updated: 22 hours ago
'তুলা > তুলো' কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 4 days ago
A
পরাগত স্বরসঙ্গতি
B
প্রগত স্বরসঙ্গতি
C
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি
D
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি
স্বরসঙ্গতি
সংজ্ঞা:
-
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলা হয়।
-
উদাহরণ: দেশি → দিশি, বিলাতি → বিলিতি, মুলা → মুলো।
প্রকারভেদ:
-
প্রগত স্বরসঙ্গতি:
-
আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে।
-
উদাহরণ: মুলা → মুলো, শিকা → শিকে, তুলা → তুলো।
-
-
পরাগত স্বরসঙ্গতি:
-
অন্ত্যস্বরের কারণে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হলে।
-
উদাহরণ: আখো → আখুয়া → এখো, দেশি → দিশি।
-
-
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি:
-
আদ্যস্বর ও অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে।
-
উদাহরণ: বিলাতি → বিলিতি, জিলাপি → জিলিপি।
-
-
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি:
-
আদ্য ও অন্ত্য দুই স্বরই পরস্পর প্রভাবিত হলে।
-
উদাহরণ: মোজা → মুজো।
-
চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি:
-
গিলা → গেলা, মিলামিশা → মেলামেশা, মিঠা → মিঠে, ইচ্ছা → ইচ্ছে।
-
বিশেষ ক্ষেত্রে:
-
পূর্বস্বর উ-কার হলে পরবর্তী স্বর ও-কার হয়: মুড়া → মুড়ো, চুলা → চুলো।
-
বিশেষ নিয়মে: উড়ুনি → উড়নি, এখনি → এখুনি।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম–দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 4 days ago
জয়দেবের রচিত 'গীতগোবিন্দম্' কোন ধরনের রচনা?
Created: 1 week ago
A
মহাকাব্য
B
গীতিকাব্য
C
নাট্যকাব্য
D
উপন্যাস
‘গীতগোবিন্দম্’ গীতিকাব্য
-
আদি বৈষ্ণব পদাবলির অনন্য নিদর্শন হলো জয়দেবের রচিত বিখ্যাত সংস্কৃত কাব্য ‘গীতগোবিন্দম্’।
-
এর মূল বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
-
কাব্যটি ১২ সর্গে বিভক্ত, যাতে ২৪টি গীত ও ২৮৬টি শ্লোক অন্তর্ভুক্ত।
-
প্রতিটি সর্গের নামকরণ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বনির্দেশক নামে।
-
যদিও কাব্যের নায়ক-নায়িকা রাধা ও কৃষ্ণ, প্রকৃতপক্ষে এতে প্রতিফলিত হয়েছে জীবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর-নারীর চিরন্তন প্রেম।
-
রাগভিত্তিক গীতসমূহ এ কাব্যের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য, যা বাংলা পদাবলি সাহিত্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।
-
বৈষ্ণব সম্প্রদায়সহ সাহিত্যরসিকদের কাছে এটি দীর্ঘকাল পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
-
এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো চরণশেষে অন্ত্যমিলের ব্যবহার, যা সংস্কৃত সাহিত্যে অত্যন্ত বিরল।
কবি জয়দেব
-
জয়দেব ছিলেন দ্বাদশ শতকের বাঙালি কবি; তবে তাঁর সাহিত্যভাষা ছিল সংস্কৃত।
-
তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার অজয় নদ-তীরবর্তী কেন্দুবিল্ব (কেঁদুলি) গ্রামে।
-
কেউ কেউ তাঁকে মিথিলা বা উড়িষ্যা নিবাসী বলেও অভিহিত করেছেন।
-
তিনি সেনরাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় ‘পঞ্চরত্ন’-এর অন্যতম ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 1 week ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
No subjects available.
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
১. তৎসম শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
২. তদ্ভব শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
৪. বিদেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
-
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago