যোগরূঢ় শব্দ কোনটি?
A
দৌহিত্র
B
গায়ক
C
জলধি
D
বাঁশি
উত্তরের বিবরণ
• জলধি — যোগরূঢ় শব্দ।
• যোগরূঢ় শব্দ:
সমাস নিষ্পন্ন যে সকল শব্দ সম্পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অনুগামী না হয়ে কোনো বিশেষ অর্থ গ্রহণ করে, তাদের যোগরূঢ় শব্দ বলা হয়।
যেমন:
-
পঙ্কজ: ‘পঙ্কে জন্মে যা’। শৈবাল, শালুক, পদ্মফুল প্রভৃতি উদ্ভিত পঙ্কে জন্মে থাকে। কিন্তু ‘পঙ্কজ’ শব্দটি একমাত্র ‘পদ্মফুল’ অর্থেই ব্যবহৃত হয়।
-
রাজপুত: ‘রাজার পুত্র’ অর্থ পরিত্যাগ করে যোগরূঢ় শব্দ হিসেবে অর্থ হয়েছে ‘জাতিবিশেষ’।
-
মহাযাত্রা: ‘মহাসমারোহে যাত্রা’ অর্থ পরিত্যাগ করে যোগরূঢ় শব্দরূপে অর্থ হয়েছে ‘মৃত্যু’।
-
জলধি: ‘জল ধারণ করে এমন’ অর্থ পরিত্যাগ করে একমাত্র ‘সমুদ্র’ অর্থেই ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে:
-
গায়ক, দৌহিত্র — যৌগিক শব্দ
-
বাঁশি — রূঢ়ি শব্দ
-
কলস — মৌলিক শব্দ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি যোগরূঢ় শব্দ?
Created: 2 months ago
A
পঙ্কজ
B
তৈল
C
মধুর
D
নবাবী
যোগরূঢ় শব্দ: সমাস নিষ্পন্ন যে সকল শব্দ সম্পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অনুগামী না হয়ে কোনো বিশিষ্ট অর্থ গ্রহণ করে তাদের যোগরূঢ় শব্দ বলে। যেমন- জলধি: ‘জল ধারণ করে এমন’ অর্থ পরিত্যাগ করে একমাত্র ‘সমুদ্র’ অর্থেই ব্যবহৃত হয়। মহাযাত্রা: ‘মহাসমারোহে যাত্রা’ অর্থ পরিত্যাগ করে যোগরূঢ় শব্দরূপে অর্থ ‘মৃত্যু’। রাজপুত: ‘রাজার পুত্র’ অর্থ পরিত্যাগ করে যোগরূঢ় শব্দ হিসেবে অর্থ হয়েছে ‘জাতি বিশেষ’।
পঙ্কজ: পঙ্কে জন্মে যা। শৈবাল, শালুক, পদ্মফুল প্রভৃতি উদ্ভিদ পঙ্কে জন্মে থাকে। কিন্তু ‘পঙ্কজ’ শব্দটি একমাত্র ‘পদ্মফুল’ অর্থেই ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, তৈল =রূঢ়ি শব্দের উদাহরণ। মধুর এবং নবাবী = যৌগিক শব্দের উদাহরণ।
0
Updated: 2 months ago
কোনটি যোগরূঢ় শব্দের উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
মধুর
B
গায়ক
C
বাঁশি
D
রাজপুত
যোগরূঢ় শব্দ হলো সেই শব্দসমূহ, যেগুলো সমাস নিষ্পন্ন হলেও পদসমূহের মূল অর্থ অনুগামী না হয়ে নিজস্ব কোনো বিশেষ অর্থ গ্রহণ করে।
উদাহরণ:
-
জলধি: শব্দের আদি অর্থ 'জল ধারণ করে এমন' পরিত্যাগ হয়ে, একমাত্র অর্থ ‘সমুদ্র’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
মহাযাত্রা: আদি অর্থ 'মহাসমারোহে যাত্রা' পরিত্যাগ হয়ে, যোগরূঢ় অর্থ হলো ‘মৃত্যু’।
-
রাজপুত: আদি অর্থ 'রাজার পুত্র' পরিত্যাগ হয়ে, যোগরূঢ় অর্থ হলো ‘জাতি বিশেষ’।
-
পঙ্কজ: আদি অর্থ 'পঙ্কে জন্মে যা' (যেমন: শৈবাল, শালুক, পদ্মফুল), কিন্তু শব্দটি একমাত্র ‘পদ্মফুল’ অর্থেই ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য সম্পর্কিত উদাহরণ:
-
‘বাঁশি’ – রূঢ়ি শব্দের উদাহরণ।
-
‘গায়ক ও মধুর’ – যৌগিক শব্দের উদাহরণ।
0
Updated: 3 weeks ago
যোগরূঢ় শব্দ কোনটি?
Created: 5 days ago
A
কলম
B
মলম
C
বাঁশি
D
শাখামৃগ
অর্থগতভাবে শব্দসমূহ তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়: যৌগিক শব্দ, রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ, এবং যোগরূঢ় শব্দ।
যৌগিক শব্দ:
এই ধরনের শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ এবং প্রচলিত অর্থের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না, অর্থাৎ উভয়ের অর্থ একরকম হয়। উদাহরণ হিসেবে, বাংলা শব্দ 'মিতালি' এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ 'মিতা' শব্দের পরে ‘ভাব’ অর্থে তদ্ধিত প্রত্যয় ‘আলি’ যোগে গঠিত হয়েছে, যা 'বন্ধুত্ব' বা 'মিতার ভাব' বুঝায়। ভাষায়ও এই অর্থেই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, 'মিতালি' শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত এবং ব্যবহারিক অর্থ এক, তাই এটি একটি যৌগিক শব্দ। অন্যান্য উদাহরণ হিসেবে গায়ক, কর্তব্য, বাবুয়ানা, মধুর, দৌহিত্র, চিকামারা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ:
এ ধরনের শব্দগুলোর অর্থ তাদের প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের অর্থ অনুসারে নয়, বরং ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। যেমন: গবেষণা, তৈল, প্রবীণ, সন্দেশ, জেঠামি, বাঁশি ইত্যাদি। এই শব্দগুলোর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহৃত অর্থের মধ্যে ফারাক থাকে।
যোগরূঢ় শব্দ:
যে শব্দগুলো সমাসনিষ্পন্ন হয়ে তাদের ব্যাসবাক্যের কোন অর্থ প্রকাশ না করে, বরং তৃতীয় একটি অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলো যোগরূঢ় শব্দ। যেমন 'পঙ্কজ', যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল 'পঙ্কে জন্মে যা', কিন্তু এটি শুধুমাত্র 'পদ্মফুল' অর্থেই ব্যবহৃত হয়। তাই, 'পঙ্কজ' একটি যোগরূঢ় শব্দ। তেমনি, 'শাখামৃগ' শব্দটির ব্যবহৃত অর্থ 'বানর' হলেও এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ 'শাখা' ও 'মৃগ' শব্দের মিশ্রণ, যার মাধ্যমে এটি কিছু বিশেষ প্রাণীকে নির্দেশ করে। এই ধরনের শব্দগুলো আরো অনেক হতে পারে, যেমন মন্দির, জলদ, রাজপুত, জলধি, মহাযাত্রা ইত্যাদি।
অন্যদিকে, ‘মলম’ ও ‘কলম’ শব্দ দুটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে এবং এদের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও প্রচলিত অর্থ একই, সুতরাং এগুলো যৌগিক শব্দের অন্তর্ভুক্ত।
0
Updated: 5 days ago