A
হংসীর ডিম
B
হাঁসের ডিম
C
হাঁস ও ডিম
D
হঁংস হতে যে ডিম
উত্তরের বিবরণ
• ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস:
পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তি (র/এর) লোপ হয়ে যে তৎপুরুষ সমাস গঠিত হয়, তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন:
-
মৃগীর শিশু = মৃগশিশু
-
ছাগীর দুগ্ধ = ছাগদুগ্ধ
-
হংসীর ডিম্ব = হংসডিম্ব
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 22 hours ago
'তিনি কথা বললেন না।'- বাক্যটির অস্তিবাচক রূপ কী হবে?
Created: 1 month ago
A
তিনি কথা বলতে চাইলেন না।
B
তিনি কথা না বলে থাকতে পারলেন না।
C
তিনি নীরব থাকতে চেষ্টা করলেন।
D
তিনি চুপ করে থাকলেন।
মূল বাক্য: তিনি কথা বললেন না।
প্রশ্ন: এর অস্তিবাচক রূপ কী হবে?
এই বাক্যটি একটি নেতিবাচক বাক্য, যেখানে বোঝানো হয়েছে – তিনি কিছু বলেননি।
অস্তিবাচক রূপ মানে এমন একটি বাক্য তৈরি করা, যা ইতিবাচক শব্দে বলা হলেও মূল অর্থ একই থাকে—মানে, কথার অনুপস্থিতি বোঝাতে হবে।
এখন বিভিন্ন বিকল্প দেখা যাক:
ক) তিনি কথা বলতে চাইলেন না:
এখানে এখনও “চাইলেন না” – এটি একটি নেতিবাচক শব্দ, তাই এটি সম্পূর্ণ অস্তিবাচক রূপ নয়।
খ) তিনি কথা না বলে থাকতে পারলেন না:
এই বাক্যেও “পারলেন না” আছে, যেটা আবার নেতিবাচক, তাই এটিও সঠিক নয়।
গ) তিনি নীরব থাকতে চেষ্টা করলেন:
এখানে বোঝানো হয়েছে, তিনি চেষ্টা করেছেন নীরব থাকার, কিন্তু এটি মূল বাক্যের সরল অর্থ (কথা না বলা) ঠিকভাবে প্রকাশ করে না।
✅ ঘ) তিনি চুপ করে থাকলেন:
এই বাক্যে কোনো নেতিবাচক শব্দ নেই, কিন্তু অর্থ ঠিকই বোঝায় – তিনি কিছু বলেননি।
এটাই হচ্ছে আসল অর্থের ইতিবাচকভাবে প্রকাশ – মানে সঠিক অস্তিবাচক রূপ।
ফলাফল:
✔ সঠিক উত্তর: "তিনি চুপ করে থাকলেন।"
কারণ এটি ইতিবাচক রূপে বলা হলেও মূল নেতিবাচক অর্থটি বজায় রেখেছে।
উৎস: ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা

0
Updated: 1 month ago
'যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ, সুতরাং তুমি প্রথম হবে' কোন ধরনের বাক্য?
Created: 1 month ago
A
সরল
B
জটিল
C
যৌগিক
D
অনুজ্ঞামূলক
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সাথে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য যুক্ত থাকে, বা একাধিক বাক্য পরস্পরের সঙ্গে নির্ভরশীল ও সম্পর্কিত হয়ে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলা হয়।
সহজ কথায়, যেখানে একটি মূল বাক্যের সঙ্গে সাব-বাক্যগুলো সংযুক্ত থাকে এবং তারা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, সেসব বাক্যই জটিল বাক্য।
জটিল বাক্যে ব্যবহৃত সাপেক্ষ সর্বনাম ও সাপেক্ষ যোজক
জটিল বাক্যে প্রায়শই ‘যে-সে’, ‘যারা-তারা’, ‘যিনি-তিনি’, ‘যাঁরা-তাঁরা’, ‘যা-তা’ এর মতো সাপেক্ষ সর্বনাম এবং ‘যদি-তবে’, ‘যদিও-তবু’, ‘যেহেতু-সেহতু’, ‘যত-তত’, ‘যেটুকু-সেটুকু’, ‘যেমন-তেমন’, ‘যখন-তখন’ ইত্যাদি সাপেক্ষ যোজক ব্যবহৃত হয়।
এই ধরনের শব্দ ও যুক্তি অপ্রধান ও প্রধান খণ্ডবাক্যগুলোকে যুক্ত করে এবং বাক্যের অর্থকে পরস্পরের সঙ্গে সাপেক্ষ করে।
উদাহরণসমূহ
-
যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ, তাই তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে।
(এখানে ‘যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ’ অংশটি অপ্রধান খণ্ডবাক্য এবং ‘তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে’ প্রধান খণ্ডবাক্য।) -
যে ছাত্রটি সময়মতো এসেছে, সে আমার বন্ধু।
-
যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন আমরা ছাতা নিয়ে বের হলাম।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯), ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা

0
Updated: 1 month ago
"লোকটি অশিক্ষিত হলেও অভদ্র নয়।" — এটিকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর করলে কী হবে?
Created: 1 week ago
A
যদিও লোকটি অশিক্ষিত, অথচ অভদ্র নয়।
B
লোকটি অশিক্ষিত, কিন্তু অভদ্র নয়।
C
লোকটি অশিক্ষিত বলেই অভদ্র নয়।
D
লোকটি অভদ্র, কিন্তু অশিক্ষিত নয়।
সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর করার নিয়ম: - যৌগিক বাক্যে একাধিক সমাপিকা ক্রিয়ার প্রয়োজন হয়। - এজন্য সরলবাক্যকে যৌগিক বাক্য করতে হলে সরল বাক্যের মাঝখানের অসমাপিকা ক্রিয়াকে সমাপিকা ক্রিয়া রূপান্তর করতে হয়। - সরল বাক্যে একটি মাত্র ক্রিয়া থাকলে যৌগিক বাক্য গঠনের সময়ে আরেকটি ক্রিয়া তৈরি করে নিতে হয়। - সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে পরিণত করতে হলে সরল বাক্যের কোন অংশকে নিরপেক্ষ বাক্যে রূপান্তর করতে হয়। যেমন: • সরল বাক্য: লােকটি অশিক্ষিত হলেও অভদ্র নয়। • যৌগিক বাক্য: লােকটি অশিক্ষিত, কিন্তু অভদ্র নয়। • সরল বাক্য: পরিশ্রম করলে ফল পাবে। • যৌগিক বাক্য: পরিশ্রম কর তবেই ফল পাবে। • সরল বাক্য: এখন পরবালের কর্ম না করিলে কবে করিব? • যৌগিক বাক্য: এখন পরকালের কর্ম করিব, নাতো কবে করিব? উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা।

0
Updated: 1 week ago