মিথিলার রাজসভার প্রধান কবি ছিলেন বিদ্যাপতি, যিনি পঞ্চদশ শতকের একজন সুপরিচিত কবি। তাঁর রচনায় মুগ্ধ ছিলেন মিথিলার রাজা শিবসিংহ, যিনি বিদ্যাপতিকে 'কবিকন্ঠহার' উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।

বিদ্যাপতি মূলত মৈথিলি ভাষায় কাব্য রচনা করতেন, তবে তিনি কিছু পদাবলী ব্রজবুলি ভাষায়ও রচনা করেছেন। তিনি 'মৈথিল কোকিল' এবং অভিনব জয়দেব নামে খ্যাত ছিলেন।

বিদ্যাপতির রচিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ:

• কীর্তিলতা

• গঙ্গাবাক্যাবলী

• বিভাগসার

বিদ্যাপতি

মিথিলার রাজসভার কবি ছিলেন বিদ্যাপতি।
- তিনি ছিলেন চতুর্দশ শতকের কবি।
- কবির রচনায় মোহিত ছিলেন মিথিলার রাজা শিবসিংহ।
- এ জন্য সে বিদ্যাপতিকে 'কবিকণ্ঠহার' উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।
- ‘মৈথিল কোকিল’ বলতে মিথিলার কবি বিদ্যাপতিকে বোঝায়।
- কোকিল যেমন সুললিত সুমধুর গান গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করে, মিথিলার রাজসভার কবি বিদ্যাপতিও মৈথিলি ভাষায় সুন্দর পদাবলি ও অন্যান্য গীতিকবিতা রচনা করে সকলকে মুগ্ধ করেছেন বলে তাঁকে ‘মৈথিল কোকিল’ বলা হয়।
- তিনি ছিলেন বৈষ্ণব কবি এবং পদসঙ্গীত ধারার রূপকার।
- তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি হচ্ছে ব্রজবুলিতে রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদ।

উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

বিদ্যাপতি

পরিচয়:

• মিথিলার রাজসভার কবি।

• পঞ্চদশ শতকের কবি।

উপাধি:

• মিথিলার রাজা শিবসিংহ তাঁকে কবিকন্ঠহার উপাধিতে ভূষিত করেন।

• তাঁকে মৈথিল কোকিল বলা হয়।

  • কারণ: কোকিল যেমন সুললিত সুমধুর গান গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করে, বিদ্যাপতি মৈথিলি ভাষায় সুন্দর পদাবলি ও গীতিকবিতা রচনা করে সকলকে মুগ্ধ করেছিলেন।

সাহিত্যিক ভূমিকা:

• বৈষ্ণব কবি।

• পদসঙ্গীত ধারার রূপকার।

• শ্রেষ্ঠ কীর্তি: ব্রজবুলিতে রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদ।

উৎস:

• বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা