Wi-Fi সিগন্যাল প্রাচীর বা আসবাবপত্র থেকে প্রতিফলিত হয়ে কোন সমস্যা সৃষ্টি করে?
A
ব্যান্ডউইডথ বৃদ্ধি
B
মাল্টিপাথ ইন্টারফারেন্স
C
সিগন্যাল লুপিং
D
কেবল ডাউনলোড ধীর হয়
উত্তরের বিবরণ
মাল্টিপাথ ইন্টারফারেন্স ও Wi-Fi
-
Wi-Fi সংজ্ঞা:
ওয়াই-ফাই হলো একটি নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে স্বল্প দূরত্বে উচ্চ-গতির ডেটা স্থানান্তর করতে পারে। এটি ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও গেমিং কনসোলের মতো ডিভাইসে ব্যবহার হয়। -
হটস্পট: ওয়াই-ফাই অ্যাক্সেস পাওয়া যায় এমন স্থানে ব্যবহারকারীরা সংযুক্ত হতে পারে; এই স্থাপনাগুলোকে "হটস্পট" বলা হয়।
-
ইতিহাস ও স্ট্যান্ডার্ড:
-
১৯৮৫ সালে ইউ.এস. ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন রেডিও স্পেকট্রামের কিছু ব্যান্ড (৯০০ MHz, ২.৪ GHz, ৫.৮ GHz) লাইসেন্সবিহীন ব্যবহার অনুমোদন করে।
-
১৯৯৭ সালে IEEE ৮০২.১১ স্ট্যান্ডার্ড অনুমোদিত হয়।
-
ওয়্যারলেস ইথারনেট কম্প্যাটিবিলিটি অ্যালায়েন্স (WECA) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং Wi-Fi নামে পরিচিতি লাভ করে।
-
-
ফ্রিকোয়েন্সি ও চ্যানেল: IEEE স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলোকে চ্যানেলে ভাগ করা হয়। চ্যানেলগুলো ফ্রিকোয়েন্সিতে ওভারল্যাপ করে। Wi-Fi সিগন্যাল সাধারণত ১০০ মিটারের কম দূরত্বে প্রেরণ করা হয়।
-
মাল্টিপাথ ইন্টারফারেন্স (Multipath interference):
-
এটি ঘটে যখন রেডিও সিগন্যাল একাধিক পথে ভ্রমণ করে এবং বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছায়।
-
দেয়াল, আসবাবপত্র বা অন্যান্য প্রতিবন্ধক থেকে সিগন্যাল প্রতিফলিত হয়ে মূল সংকেতের "ভূতুড়ে" প্রতিচ্ছবি তৈরি করে।
-
জন ও' সুলিভান এবং তার সহযোগীরা এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন যা মাল্টিপাথ ইন্টারফারেন্স কমাতে সাহায্য করে।
-
উৎস: ব্রিটানিকা
0
Updated: 1 month ago
কোন protocol ইমেইল পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
POP3
B
IMAP
C
SMTP
D
HTTP
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
এফটিপি (File Transfer Protocol - FTP)
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
তথ্য প্রযুক্তি
SMTP (Simple Mail Transfer Protocol) হলো একটি প্রোটোকল যা ইমেইল পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি সার্ভার থেকে সার্ভারে বা ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে ইমেইল ট্রান্সফার করতে সাহায্য করে।
ইমেইল সংক্রান্ত প্রধান প্রোটোকলসমূহ:
-
SMTP (Simple Mail Transfer Protocol):
-
আউটগোয়িং বা বহির্মুখী মেইল পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
SMTP প্রোটোকল সাধারণত পোর্ট 25 এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে।
-
-
POP (Post Office Protocol):
-
ইনকামিং বা অন্তর্মুখী মেইল গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ইমেইল সার্ভার থেকে মেইল ডাউনলোড করতে POP ব্যবহার করা হয়।
-
সর্বাধিক জনপ্রিয় সংস্করণ হলো POP3।
-
-
IMAP (Internet Message Access Protocol):
-
মেইল বক্সে প্রবেশ এবং মেইল পড়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ব্যবহারকারী সার্ভার থেকে মেইল ডাউনলোড না করেও মেইল পরিচালনা করতে পারে।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
একটি হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে, যদি ডিভাইস A তথ্য প্রেরণ করছে, ডিভাইস B-এর কী হবে?
Created: 1 month ago
A
একসাথে ডেটা পাঠাতে পারবে
B
B এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
C
A এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
D
B স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে চলে যাবে
হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেম
হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে তথ্য আদানপ্রদান দুই দিকেই হয়, কিন্তু এক সময়ে কেবল একটি দিকেই ডেটা প্রেরণ সম্ভব। অর্থাৎ, একই মুহূর্তে দুইটি ডিভাইস একসাথে ডেটা প্রেরণ করতে পারে না। সুতরাং, যদি ডিভাইস A তথ্য প্রেরণ করছে, ডিভাইস B কে অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ না A-এর প্রেরণ সম্পন্ন হয়। এই কারণে, B-এর তথ্য প্রেরণ তখনই শুরু করা যায় যখন চ্যানেল খালি হয়। হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে এক সময়ে এক পক্ষই প্রেরণকারী এবং অন্য পক্ষ গ্রাহক থাকে, যা সম্পূর্ণ ডুপ্লেক্সের থেকে আলাদা। তাই সঠিক উত্তর হবে: গ) A এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ডাটা ট্রান্সমিশন মোড
উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডাটা প্রবাহের দিককে বিবেচনা করে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতিকে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডাটা প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১. সিমপ্লেক্স (Simplex)
-
শুধুমাত্র একদিকে ডাটা প্রেরণের মোড বা পদ্ধতিকে বলা হয় সিমপ্লেক্স।
-
এক্ষেত্রে গ্রাহক যন্ত্রটি কখনোই প্রেরক যন্ত্রটিতে ডাটা পাঠাতে পারে না।
-
উদাহরণ: রেডিও, টিভি, কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডাটা প্রেরণ।
২. হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex)
-
হাফ-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে যে কোন প্রান্ত ডাটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে কিন্তু গ্রহণ এবং প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না।
-
উদাহরণ: ওয়াকিটকি।
৩. ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex)
-
ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে একই সময়ে উভয় দিক হতে ডাটা প্ররণের ব্যবস্থা থাকে।
-
যে কোন প্রান্ত প্রয়োজনে ডাটা প্রেরণ করার সময় ডাটা গ্রহণ অথবা ডাটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারবে।
-
উদাহরণ: টেলিফোন, মোবাইল ফোন।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটানিকা।
0
Updated: 1 month ago
CPU-এর কোন অংশটি মূলত নির্দেশনা (Instruction) সম্পাদন করে?
Created: 1 month ago
A
ALU
B
Control Unit
C
Register
D
Cache Memory
CPU (Central Processing Unit)
CPU মূলত কম্পিউটারের “মস্তিষ্ক”। এটি তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত—
১) Control Unit (CU) – নিয়ন্ত্রণ অংশ
-
নির্দেশনা Fetch (আনয়ন) ও Decode (বিশ্লেষণ) করে।
-
CPU, Memory এবং Input/Output ডিভাইসের মধ্যে ডাটা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
ROM/RAM-এ সংরক্ষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কম্পিউটারের অন্যান্য অংশকে কাজ করতে নির্দেশ দেয়।
২) Arithmetic Logic Unit (ALU) – গাণিতিক যুক্তি অংশ
-
CPU-এর সেই অংশ যেখানে মূলত নির্দেশনা Execute হয়।
-
কাজসমূহ: যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, OR, AND, NOR, XOR ইত্যাদি।
-
এখানে একটি Program Counter (PC) থাকে, যা পরবর্তী নির্দেশনার ঠিকানা ধরে রাখে।
৩) Register / Memory – রেজিস্টার বা স্মৃতি
-
CPU-এর ভেতরে অবস্থিত অতিদ্রুত কাজ করা ছোট মেমোরি।
-
ডাটা এবং অপারেশনের ফলাফল সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করে।
-
ALU-তে প্রক্রিয়াকরণের সময় মধ্যবর্তী ডাটা রাখে, যাতে কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়।
সারাংশ
-
CU → নির্দেশনা আনে ও বিশ্লেষণ করে।
-
ALU → নির্দেশনা অনুযায়ী গাণিতিক ও লজিক্যাল কাজ সম্পন্ন করে।
-
Register → সাময়িক ডাটা সংরক্ষণ করে দ্রুত অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে।
0
Updated: 1 month ago