আধুনিক কম্পিউটারে CPU সাধারণত কোথায় থাকে?
A
আলাদা আলাদা সার্কিট বোর্ডে
B
ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট চিপে
C
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে
D
র্যাম চিপে
উত্তরের বিবরণ
সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU)
-
সংজ্ঞা: CPU হলো যেকোনো ডিজিটাল কম্পিউটার সিস্টেমের প্রধান অংশ এবং এটি কম্পিউটারের "ফিজিক্যাল হার্ট" হিসেবে কাজ করে।
-
গঠন:
১. প্রধান মেমরি (Main Memory)
২. কন্ট্রোল ইউনিট (Control Unit)
৩. অ্যারিথমেটিক-লজিক ইউনিট (ALU – Arithmetic Logic Unit) -
কাজ:
-
কন্ট্রোল ইউনিট কম্পিউটারের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় করে।
-
প্রধান মেমরি থেকে নির্দেশাবলী নির্বাচন, পুনরুদ্ধার ও ব্যাখ্যা করে সিস্টেমের অন্যান্য অংশ সক্রিয় করে।
-
ALU মৌলিক গাণিতিক ফাংশন (যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ) এবং লজিক অপারেশন সম্পাদন করে।
-
-
আধুনিক রূপ: আধুনিক কম্পিউটারে CPU সাধারণত একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) চিপে থাকে, যাকে মাইক্রোপ্রসেসর বলা হয়।
-
সংযুক্তি: CPU বিভিন্ন ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস এবং সহায়ক স্টোরেজ ইউনিটের সাথে সংযুক্ত থাকে।
উৎস: ব্রিটানিকা
0
Updated: 1 month ago
কোনটি একই সাথে ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে?
Created: 1 month ago
A
হেডফোন
B
জয়স্টিক
C
গ্রাফিক্স প্যাড
D
মডেম
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
আউটপুট ডিভাইস (Output Device)
ইনপুট ডিভাইস (Input Device)
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
মডেম (Modem)
Modem (Modulator–Demodulator)
-
একটি বিশেষ ডিভাইস, যা কম্পিউটারকে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করে।
-
এটি Input ও Output উভয় কাজই করে।
-
Modulation → ডিজিটাল সিগন্যাল → অ্যানালগ সিগন্যাল (Output)।
-
Demodulation → অ্যানালগ সিগন্যাল → ডিজিটাল সিগন্যাল (Input)।
-
ইনপুট ডিভাইস
-
যেসব ডিভাইস দিয়ে কম্পিউটারে তথ্য বা কমান্ড দেওয়া হয়।
-
উদাহরণ: কী-বোর্ড, মাউস, মাইক্রোফোন, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম, জয়স্টিক, লাইট পেন, গ্রাফিক্স প্যাড, অপটিকাল রিডার, OCR ইত্যাদি।
আউটপুট ডিভাইস
-
যেসব ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে তথ্য পাওয়া যায়।
-
উদাহরণ: মনিটর, প্রিন্টার, প্রজেক্টর, স্পিকার, হেডফোন, প্লটার ইত্যাদি।
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
-
যেসব ডিভাইস ইনপুট ও আউটপুট উভয় কাজ করে।
-
উদাহরণ:
-
পেনড্রাইভ (ডাটা পড়া ও লেখা দুইই সম্ভব)
-
টাচ স্ক্রিন (কমান্ড দেওয়া ও আউটপুট দেখা)
-
মডেম (Modulation ও Demodulation)
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি কম্পিউটার সিস্টেমের কর্মক্ষমতায় কোনো ভূমিকা রাখে না?
Created: 1 week ago
A
Size of RAM
B
Size of ROM
C
Size of Cache Memory
D
Size of Register
কম্পিউটার সিস্টেমের কর্মক্ষমতা মূলত নির্ভর করে এর RAM, Cache Memory এবং Register-এর গতি ও ধারণক্ষমতার উপর। কিন্তু ROM (Read Only Memory)-এর আকার বা পরিমাণ কম্পিউটারের কর্মক্ষমতায় কোনো প্রভাব ফেলে না। কারণ ROM শুধুমাত্র তথ্য পড়ার (Read) কাজ করতে পারে, এতে নতুন কিছু লিখা, পরিবর্তন বা সংযোজন করা যায় না। তাই এর আকার বৃদ্ধি পেলেও কম্পিউটারের গতি বা পারফরম্যান্সে কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
ROM-এর বৈশিষ্ট্য:
-
ROM (Read Only Memory) একটি স্থায়ী মেমোরি বা নন-ভোলাটাইল মেমোরি, যেখানে তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে।
-
এটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের স্টোরেজ সিস্টেম হিসেবে কাজ করে।
-
কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় ROM-এ সংরক্ষিত প্রোগ্রামগুলো (যেমন BIOS বা Boot Program) কম্পিউটারকে প্রাথমিকভাবে চালু করতে সহায়তা করে।
-
বিদ্যুৎ চলে গেলেও ROM-এর তথ্য অক্ষত থাকে।
-
যেহেতু ROM-এ তথ্য পরিবর্তন করা যায় না, তাই এর আকার বা পরিমাণ সিস্টেমের কর্মক্ষমতায় কোনো ভূমিকা রাখে না।
অন্যদিকে, কম্পিউটারের পারফরম্যান্স বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নিম্নলিখিত মেমোরিগুলো—
RAM (Random Access Memory):
-
এটি মাদারবোর্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত একটি অস্থায়ী মেমোরি।
-
RAM-এ তথ্য শুধু তখনই সংরক্ষিত থাকে, যতক্ষণ কম্পিউটার চালু থাকে; বিদ্যুৎ বন্ধ হলে সমস্ত তথ্য মুছে যায়।
-
এতে পঠন ও লিখন উভয় কাজই করা যায়।
-
RAM-এর পরিমাণ যত বেশি হবে, কম্পিউটারের মাল্টি-টাস্কিং ও ডেটা প্রক্রিয়াকরণ তত দ্রুত হবে।
-
তাই RAM-এর আকার সরাসরি কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
Cache Memory:
-
Cache Memory হলো এমন একটি দ্রুতগতির মেমোরি, যা RAM ও CPU-এর মধ্যে অবস্থিত।
-
কম্পিউটার যেসব ডেটা বারবার ব্যবহার করে, সেগুলো Cache-এ অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
-
Cache-এর গতি বেশি হওয়ায় CPU-কে RAM থেকে বারবার ডেটা আনতে হয় না, ফলে ডেটা প্রক্রিয়াকরণে সময় কম লাগে।
-
Cache Memory যত দ্রুত ও বড় হবে, কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা তত বৃদ্ধি পাবে।
Register:
-
Register হলো মাইক্রোপ্রসেসরের অভ্যন্তরীণ অস্থায়ী মেমোরি, যা ফ্লিপ-ফ্লপ সার্কিট দ্বারা গঠিত।
-
এর কাজ হলো CPU-তে চলমান প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত ডেটা সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করা।
-
Register-এর গতি অন্যান্য মেমোরির তুলনায় অনেক বেশি, কারণ এটি সরাসরি প্রসেসরের ভেতরে অবস্থিত।
-
মাইক্রোপ্রসেসর যখন গাণিতিক বা যৌক্তিক কাজ সম্পাদন করে, তখন ডেটা দ্রুত প্রক্রিয়া করার জন্য Register ব্যবহার করা হয়।
সব মিলিয়ে, কম্পিউটারের পারফরম্যান্স নির্ভর করে মূলত RAM, Cache Memory ও Register-এর উপর, কিন্তু ROM-এর আকার বা ক্ষমতা কম্পিউটারের গতি বা দক্ষতায় কোনো প্রভাব ফেলে না।
0
Updated: 1 week ago
“ওয়ার্ম (Worm)” এর বৈশিষ্ট্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ফাইল সংযুক্ত হয়ে ছড়ায়
B
নেটওয়ার্কের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়ায়
C
ব্যবহারকারীকে ফাঁদে ফেলে তথ্য নেয়
D
হার্ডওয়্যার ড্রাইভার বদলায়
Worm হলো এক ধরনের Self-Replicating Malware, যা ব্যবহারকারীর কোনো কাজ ছাড়াই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি ভাইরাসের মতো ফাইলের সাথে যুক্ত হয়ে ছড়ায় না।
ম্যালওয়্যার (Malware) শব্দটি "Malicious Software" থেকে এসেছে, যার অর্থ ক্ষতিকর সফটওয়্যার।
- এটি এমন একটি প্রোগ্রাম বা কোড, যা কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক বা ডিভাইসে ক্ষতি করতে, তথ্য চুরি করতে বা নিয়ন্ত্রণ নিতে ডিজাইন করা হয়।
বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার:
ভাইরাস (Virus): ফাইলের সাথে সংযুক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
ওয়ার্ম (Worm): নিজে নিজেই ছড়ায়, অন্য ফাইলের প্রয়োজন হয় না।
র্যানসমওয়্যার (Ransomware): ফাইল এনক্রিপ্ট করে মুক্তিপণ চায়।
স্পাইওয়্যার (Spyware): ব্যবহারকারীর কার্যকলাপ গোপনে নজরদারি করে।
ট্রোজান হর্স (Trojan Horse): সাধারণ প্রোগ্রামের ছদ্মবেশে ক্ষতিকর কোড চালায়।
অ্যাডওয়্যার (Adware): বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা ম্যালওয়্যার।
0
Updated: 1 month ago