আধুনিক কম্পিউটারে CPU সাধারণত কোথায় থাকে?
A
আলাদা আলাদা সার্কিট বোর্ডে
B
ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট চিপে
C
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে
D
র্যাম চিপে
উত্তরের বিবরণ
সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU)
-
সংজ্ঞা: CPU হলো যেকোনো ডিজিটাল কম্পিউটার সিস্টেমের প্রধান অংশ এবং এটি কম্পিউটারের "ফিজিক্যাল হার্ট" হিসেবে কাজ করে।
-
গঠন:
১. প্রধান মেমরি (Main Memory)
২. কন্ট্রোল ইউনিট (Control Unit)
৩. অ্যারিথমেটিক-লজিক ইউনিট (ALU – Arithmetic Logic Unit) -
কাজ:
-
কন্ট্রোল ইউনিট কম্পিউটারের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় করে।
-
প্রধান মেমরি থেকে নির্দেশাবলী নির্বাচন, পুনরুদ্ধার ও ব্যাখ্যা করে সিস্টেমের অন্যান্য অংশ সক্রিয় করে।
-
ALU মৌলিক গাণিতিক ফাংশন (যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ) এবং লজিক অপারেশন সম্পাদন করে।
-
-
আধুনিক রূপ: আধুনিক কম্পিউটারে CPU সাধারণত একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) চিপে থাকে, যাকে মাইক্রোপ্রসেসর বলা হয়।
-
সংযুক্তি: CPU বিভিন্ন ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস এবং সহায়ক স্টোরেজ ইউনিটের সাথে সংযুক্ত থাকে।
উৎস: ব্রিটানিকা
0
Updated: 1 month ago
TCP/IP মডেল মূলত কোন লেয়ার নেটওয়ার্কের মধ্যে প্যাকেটের রুট নির্ধারণ করে?
Created: 1 month ago
A
Application Layer
B
Internet Layer
C
Transport Layer
D
Network Access Layer
TCP/IP মডেল – Internet Layer
Internet Layer নেটওয়ার্কের মধ্যে প্যাকেটের রুট নির্ধারণ করে। এই স্তর মূলত ডেটা প্যাকেটকে উৎস থেকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দায়ী। এখানে IP (Internet Protocol) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা প্রতিটি প্যাকেটে উৎস এবং গন্তব্যের ঠিকানা যোগ করে। এছাড়াও এই লেয়ারে রাউটিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, অর্থাৎ কোন পথে ডেটা গন্তব্যে যাবে তা নির্ধারণ করা হয়। বিভিন্ন রাউটার ও মধ্যবর্তী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সঠিক রুট খুঁজে বের করে প্যাকেটকে পাঠানোই Internet Layer-এর প্রধান কাজ। তাই সঠিক উত্তর হলো খ) Internet Layer।
TCP/IP
-
TCP/IP প্রোটোকলটি ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।
-
ইন্টারনেটের সকল কম্পিউটার কমান্ড এবং ডাটা আদান-প্রদানের TCP/IP প্রোটোকল ব্যবহার করে।
-
ইন্টারনেটে যেকোনো কম্পিউটার আরেকটি কম্পিউটারে সাথে সহজেই সংযোজিত হতে পারে।
-
একটি কম্পিউটার প্রথমে লোকাল বা স্থানীয় নেটওয়ার্কের সাথে সংযোজিত হয়, অতঃপর ইন্টারনেট ব্যাকবোনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
-
ইন্টারনেটের সকল কম্পিউটারেরই একটি IP Address থাকে এবং প্রায় সকলের একটি ঠিকানা থাকে, যা ডোমেইন নেম সিস্টেম ব্যবহার করে।
অপশন আলোচনা
ক) Application Layer: এটি ব্যবহারকারীর অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রোটোকলের সাথে সম্পর্কিত, রাউটিং নির্ধারণ করে না।
খ) Internet Layer: এটি নেটওয়ার্কের মধ্যে প্যাকেটের রুট নির্ধারণ করে, যেমন IP প্রোটোকল।
গ) Transport Layer: এটি এন্ড-টু-এন্ড ডেটা ট্রান্সফার ও পোর্ট নিয়ন্ত্রণ করে, রাউটিং নয়।
ঘ) Network Access Layer: এটি ফিজিক্যাল ও ডাটা লিঙ্ক লেয়ার কাজ করে, স্থানীয় নেটওয়ার্কে ডেটা প্রেরণ করে, রাউটিং নয়।
সঠিক উত্তর: খ) Internet Layer
উৎস: মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
কম্পিউটারের Virtual Memory বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
Cache Memory-এর অংশ যা দ্রুত ডেটা সংরক্ষণ করে
B
গ্রাফিক্স কার্ডের ভেতরে থাকা Video RAM
C
বাহ্যিক স্টোরেজ ডিভাইস (CD/DVD)-এ থাকা মেমরি
D
হার্ডডিস্ক বা SSD-এর একটি অংশ, যা অতিরিক্ত RAM-এর মতো ব্যবহৃত হয়
◉ Virtual Memory হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক বা SSD-এর একটি অংশকে সাময়িকভাবে RAM-এর সম্প্রসারণ (extension) হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যখন RAM পূর্ণ হয়ে যায়, তখন অপারেটিং সিস্টেম কম ব্যবহৃত ডেটা RAM থেকে ডিস্কে সরিয়ে রাখে এবং প্রয়োজনে আবার ফিরিয়ে আনে।
ভার্চুয়াল মেমরি:
- ভার্চুয়াল মেমরি (Virtual Memory) হলো কম্পিউটার সিস্টেমের একটি প্রযুক্তি যা প্রধান মেমরির (RAM) সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- এটি এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে হার্ড ড্রাইভের একটি অংশকে অস্থায়ীভাবে RAM হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যাতে একসাথে আরও বেশি প্রোগ্রাম চালানো যায়।
- অপারেটিং সিস্টেম নিজেই ঠিক করে কোন অংশ RAM-এ থাকবে আর কোন অংশ হার্ড ড্রাইভে যাবে।
- যখন RAM পূর্ণ হয়ে যায়, তখন কম ব্যবহার হওয়া ডেটাগুলো হার্ড ড্রাইভের একটি নির্দিষ্ট অংশে (page file/swap space) পাঠানো হয়।
- প্রয়োজনে আবার সেই ডেটা RAM-এ ফিরিয়ে আনা হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারীর অজান্তেই ঘটে।
0
Updated: 1 month ago
১ গিগাবাইট = ?
Created: 1 month ago
A
১০২৪ মেগাবাইট
B
১০০০ টেরাবাইট
C
১০২৪ কিলোবাইট
D
১০২৪ বাইট
১ গিগাবাইট = ১০২৪ মেগাবাইট।
বিট ও বাইট:
- বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ অথবা ১ অংককে বিট বলে।
- বিট ডেটা কমিউনিকেশনের মৌলিক একক
- ডেটা ও তথ্য পরিমাপের জন্য বিট একক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পরিমাপ:
- ১ নিবল = ৪ বিট।
- ১ বাইট = ৮ বিট।
- ১ কিলোবিট = ১০০০ বিট।
- ১ মেগাবিট = ১০০০ কিলোবিট।
- ১ গিগাবিট = ১০০০ মেগাবিট।
- ১ টেরাবিট = ১০০০ গিগাবিট।
- ১ কিলোবাইট = ১০২৪ বাইট।
- ১ মেগাবাইট = ১০২৪ কিলোবাইট।
- ১ গিগাবাইট = ১০২৪ মেগাবাইট।
- ১ টেরাবাইট = ১০২৪ গিগাবাইট।
- ১ পেটাবাইট = ১০২৪ টেরাবাইট।
উৎস:
১। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
২। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সঠিক তথ্য: ১ গিগাবাইট = ১০২৪ মেগাবাইট
বিট ও বাইট
-
বিট (Bit): বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির একক, যা ০ বা ১ হতে পারে।
-
বাইট (Byte): ৮ বিট সমান।
-
বিট হলো ডেটা কমিউনিকেশনের মৌলিক একক।
বিট (Bit): বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির একক, যা ০ বা ১ হতে পারে।
বাইট (Byte): ৮ বিট সমান।
বিট হলো ডেটা কমিউনিকেশনের মৌলিক একক।
ডেটা পরিমাপের একক
| একক | সমান |
|---|---|
| ১ নিবল | ৪ বিট |
| ১ বাইট | ৮ বিট |
| ১ কিলোবিট (Kb) | ১০০০ বিট |
| ১ মেগাবিট (Mb) | ১০০০ কিলোবিট |
| ১ গিগাবিট (Gb) | ১০০০ মেগাবিট |
| ১ টেরাবিট (Tb) | ১০০০ গিগাবিট |
| ১ কিলোবাইট (KB) | ১০২৪ বাইট |
| ১ মেগাবাইট (MB) | ১০২৪ কিলোবাইট |
| ১ গিগাবাইট (GB) | ১০২৪ মেগাবাইট |
| ১ টেরাবাইট (TB) | ১০২৪ গিগাবাইট |
| ১ পেটাবাইট (PB) | ১০২৪ টেরাবাইট |
উৎস:
১। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান
২। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমানএকাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমান।
0
Updated: 1 month ago