যুগ সন্ধিক্ষণের কবি হিসেবে পরিচিত কে?
A
বিহারীলাল চক্রবর্তী
B
ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত
C
ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর
D
আলাওল
উত্তরের বিবরণ
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯): কবি, সাংবাদিক। ‘ক্রমবর্ধমান যুগ’ ও ‘আধুনিক যুগের মিলনকারী’ কবি হিসেবে পরিচিত। কারণ তিনি সমকালের সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে কবিতা রচনা করলেও তাঁর ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কার ছিলো মধ্যযুগীয়। ব্যঙ্গ-বিদ্রূপই ছিল তাঁর রচনার বিশেষত্ব।
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’ সম্পাদনা করেন। তিনি ১৮৩১ সালে সংবাদ প্রভাকর (সাপ্তাহিক) পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন। এবং ১৮৩৯ সাল থেকে এটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
- তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো কবিয়ালদের লুপ্তপ্রায় জীবনী উদ্ধার করে প্রকাশ করা।
- ঈশ্বরচন্দ্র সংবাদ প্রভাকর ছাড়াও সংবাদ রত্নাবলী, পাষণ্ডপীড়ন ও সংবাদ সাধুরঞ্জন পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া; লাইব্রেরি এশিয়াটিক সোসাইটি। (Slight correction of the source, "লাইব্রেরি এশিয়াটিক সোসাইটি" seems more appropriate than "লাইভ এশিয়াটিক লেকচার")
0
Updated: 5 months ago
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে কোন ধর্মপ্রচারক-এর প্রভাব অপরিসীম?
Created: 2 months ago
A
শ্রীচৈতন্যদেব
B
শ্রীকৃষ্ণ
C
আদিনাথ
D
মনোহর দাশ
শ্রী চৈতন্যদেব এবং চৈতন্যযুগ
-
শ্রী চৈতন্যদেব মধ্যযুগের বাংলার একজন প্রভাবশালী ধর্মপ্রচারক। যদিও তিনি নিজে কোনো সাহিত্যিক কাব্য রচনা করেননি, তবু তাঁর নামেই একটি সাহিত্য যুগের সূচনা হয়, যা চৈতন্যযুগ নামে পরিচিত।
-
তাঁর প্রভাবে বৈষ্ণব সাহিত্য জন্মে, যা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ফসল বলে বিবেচিত। এই সাহিত্য বাঙালির স্বজাত্যবোধ এবং নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
-
বাংলায় চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনী গ্রন্থ হলো বৃন্দাবন দাসের রচিত ‘চৈতন্য-ভাগবত’।
-
বাংলা সাহিত্যের মধ্যে চৈতন্যযুগের সময়কাল ১৫০০ থেকে ১৭০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
-
শ্রীচৈতন্যদেবের পিতৃদত্ত নাম বিশম্ভর মিশ্র, ডাকনাম নিমাই।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে।
বৈষ্ণব সাহিত্য
বৈষ্ণব সাহিত্য প্রধানত তিন প্রকারে বিভক্ত:
-
জীবনীকাব্য
-
বৈষ্ণব শাস্ত্র
-
পদাবলী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
মধ্যযুগ-আধুনিক যুগের সন্ধিক্ষণের কবি কাকে বলা হয়?
Created: 4 days ago
A
ভরত চন্দ্র রায়কে
B
বিহারীলাল চক্রবর্তীকে
C
ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্তকে
D
মধূসূদন দত্তকে
বাংলা সাহিত্যে “মধ্যযুগ-আধুনিক যুগের সন্ধিক্ষণের কবি” বলতে সেই কবিকে বোঝায়, যিনি মধ্যযুগীয় সাহিত্যধারা থেকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের দিকে ধীরপন্থী পরিবর্তনের সূচনা করেন। এই সময়ে বাংলা সাহিত্যে ধারা, ভাষা ও বিষয়বস্তুতে পরিবর্তন দেখা দেয়। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত এই পর্যায়ের প্রধান প্রতিনিধি, যিনি মধ্যযুগীয় ধ্রুপদী ও কাব্যধারার সঙ্গে আধুনিক চিন্তাভাবনা এবং ভাষার সহজতা ও প্রাঞ্জলতা যুক্ত করেছেন।
এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা যায়:
-
মধ্যযুগীয় প্রভাব: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের রচনায় মধ্যযুগের কাব্যধারা, ধর্মীয় আখ্যান ও রীতিনীতির ছাপ দেখা যায়। তিনি পূর্বের কাব্যধারার সৌন্দর্য ও নৈতিকতা বজায় রেখে লিখেছেন।
-
আধুনিকতার ছোঁয়া: একই সঙ্গে তার সাহিত্য আধুনিক চিন্তাভাবনা, বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ও মানবিক অনুভূতির প্রতিফলন ধারণ করে। এটি তাকে মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের সংযোগকারী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
-
ভাষার সরলীকরণ: পূর্বের কাব্যের তুলনায় ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ভাষা আরও সরল, প্রাঞ্জল এবং সহজবোধ্য। এটি সাধারণ পাঠকের কাছে সাহিত্যকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তোলে।
-
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: তার রচনায় নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক সচেতনতা প্রতিফলিত হয়েছে। এছাড়াও, তার কবিতা এবং নাটকগুলোতে সংলাপ, চরিত্রায়ন এবং ঘটনার তীব্রতা মধ্যযুগীয় রীতিকে আধুনিক রূপে উপস্থাপন করেছে।
-
সাহিত্য ইতিহাসে স্থান: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় মধ্যযুগ-আধুনিক যুগের সন্ধিক্ষণের কবি হিসেবে, কারণ তিনি পুরোনো ও নতুন ধারা সংযুক্ত করে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করেছেন।
সারসংক্ষেপে, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত এমন একজন কবি যিনি মধ্যযুগীয় কাব্যধারার নৈতিকতা ও রীতিনীতির সঙ্গে আধুনিক চিন্তাভাবনা, মানবিকতা এবং ভাষার সরলতা মেলাতে সক্ষম হয়েছেন। এই কারণে তাকে বাংলার সাহিত্য ইতিহাসে মধ্যযুগ-আধুনিক যুগের সন্ধিক্ষণের কবি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তার সাহিত্য পাঠককে অতীত ও বর্তমানের সংযোগ বোঝায় এবং বাংলা সাহিত্যের পরিবর্তন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।
0
Updated: 4 days ago
’মনসামঙ্গল’ কাব্যের আদি কবি কে?
Created: 2 months ago
A
কানা হরিদত্ত
B
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
C
মানিক দত্ত
D
দ্বিজ রামদেব
মনসামঙ্গল কাব্য
-
বিষয়: সাপের দেবী মনসার স্তব, স্তুতি ও কাহিনি
-
ধরন: এক ধরনের পদ্মপুরাণ
-
উৎস: বাংলার প্রাকৃত জীবন ও লৌকিক জীবনাচার
-
আদি কবি: কানা হরিদত্ত
প্রধান চরিত্র:
-
সাপের দেবী মনসা
-
চাঁদ সওদাগর
-
বেহুলা
-
লখিন্দর
-
সনকা
অন্য কাব্য ও কবি:
-
চণ্ডীমঙ্গল → আদি কবি: মানিক দত্ত, প্রধান বা শ্রেষ্ঠ কবি: মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
0
Updated: 2 months ago