প্লটার মূলত কোন ধরনের ডিভাইস?
A
ইনপুট ডিভাইস
B
আউটপুট ডিভাইস
C
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
D
স্টোরেজ ডিভাইস
উত্তরের বিবরণ
কম্পিউটারের ডিভাইসসমূহ
১. ইনপুট ডিভাইস (Input Devices)
সংজ্ঞা: কম্পিউটারে ডেটা বা তথ্য পাঠানোর যন্ত্র।
উদাহরণ:
-
কি-বোর্ড (Keyboard)
-
ওএমআর (OMR)
-
মাউস (Mouse)
-
ওসিআর (OCR)
-
ট্র্যাকবল (Trackball)
-
স্ক্যানার (Scanner)
-
জয়স্টিক (Joystick)
-
ডিজিটাইজার (Digitizer)
-
লাইটপেন (Light pen)
-
বার কোড রিডার (Bar Code Reader)
-
গ্রাফিক্স প্যাড (Graphics Pad)
-
পয়েন্ট অফ সেল (Point-of-Sale)
-
ডিজিটাল ক্যামেরা (Digital Camera)
২. আউটপুট ডিভাইস (Output Devices)
সংজ্ঞা: কম্পিউটারে প্রক্রিয়াজাত তথ্য বা ফলাফল প্রদর্শনের যন্ত্র।
উদাহরণ:
-
মনিটর (Monitor)
-
প্রিন্টার (Printer)
-
প্লটার (Plotter)
-
স্পিকার (Speaker)
-
মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর (Multimedia Projector)
-
ইমেজ সেটার (Image Setter)
-
ফিল্ম রেকর্ডার (Film Recorder)
-
হেডফোন (Headphone)
৩. ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস (Input-Output Devices)
সংজ্ঞা: এমন ডিভাইস যা একই সাথে তথ্য পাঠানো ও প্রাপ্তি দুটোই করতে পারে।
উদাহরণ:
-
হার্ডডিস্ক
-
সিডি বা ডিভিডি
-
পেনড্রাইভ
-
টাচ স্ক্রিন
উৎস: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি-১, এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল), মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
Unicode এর কোড সাইজ কত বিট?
Created: 1 month ago
A
8 বিট
B
16 বিট
C
32 বিট
D
64 বিট
সঠিক তথ্য: Unicode এর কোড সাইজ ১৬ বিট (২ বাইট)
ইউনিকোড (Unicode)
-
উদ্ভাবন: ১৯৯১ সালে Apple ও Xerox-এর প্রকৌশলী দল যৌথভাবে উদ্ভাবন করেন।
-
উদ্দেশ্য: বিশ্বের সব ভাষার অক্ষরকে কম্পিউটারে কোডভুক্ত করা।
-
কোড সাইজ: ২ বাইট বা ১৬ বিট
-
সংখ্যা: ৬৫,৫৩৬ বা ২০টি অদ্বিতীয় চিহ্ন নির্ধারণ করা যায়।
-
বিশেষত্ব: প্রতিটি অক্ষরের ইউনিক নম্বর যেকোনো সিস্টেমে একই থাকে।
-
ইতিহাস: ইউনিকোডের প্রথম সংস্করণ ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয়; সর্বশেষ সংস্করণে ১০০,০০০-এরও বেশি অক্ষর অন্তর্ভুক্ত।
-
ASCII: ইউনিকোডের আগে বিভিন্ন এনকোডিং সিস্টেম ছিল, যেমন ASCII।
উৎস:
১। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান
২। ব্রিটানিকা
0
Updated: 1 month ago
এমবেডেড কম্পিউটারের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ডেস্কটপ কম্পিউটার
B
ল্যাপটপ
C
স্মার্টফোন
D
সার্ভার
Embedded Computer হলো এমন একটি বিশেষায়িত কম্পিউটার, যা নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য অন্য কোনো ডিভাইসের ভেতরে স্থাপন করা থাকে। স্মার্টফোন এর একটি উদাহরণ, কারণ এর ভেতরে এমবেডেড প্রসেসর/চিপ থাকে যা নির্দিষ্ট কাজ (ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ, নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট, সেন্সর কন্ট্রোল ইত্যাদি) সম্পাদন করে।
এমবেডেড কম্পিউটার:
- এমবেডেড কম্পিউটার হলো একটি বিশেষায়িত কম্পিউটার সিস্টেম যা একটি বৃহৎ সিস্টেম বা মেশিনের অংশবিশেষ হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।
- এমবেডেড সিস্টেমে সাধারণত একটি মাইক্রোপ্রসেসর বোর্ড এবং কিছু সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম সম্বলিত রম থাকে।
- আধুনিক এম্বেডেড সিস্টেমে মাইক্রোকন্ট্রোলার এর ব্যবহার হয়।
এমবেডেড কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ হলো:
- গাড়ি,
- সেলফোন ও স্মার্টফোন,
- প্রিন্টার,
- মাইক্রোওয়েভ,
- ওয়াশিং মেশিন,
- এয়ার কন্ডিশন(এসি),
- ঘড়ি,
- থার্মোস্ট্যাট,
- ভিডিও গেমস্,
- ভ্যাকুয়াম ক্লিনিং,
- ATM,
- সিকিউরিটি ক্যামেরা ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
একটি হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে, যদি ডিভাইস A তথ্য প্রেরণ করছে, ডিভাইস B-এর কী হবে?
Created: 1 month ago
A
একসাথে ডেটা পাঠাতে পারবে
B
B এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
C
A এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
D
B স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে চলে যাবে
হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেম
হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে তথ্য আদানপ্রদান দুই দিকেই হয়, কিন্তু এক সময়ে কেবল একটি দিকেই ডেটা প্রেরণ সম্ভব। অর্থাৎ, একই মুহূর্তে দুইটি ডিভাইস একসাথে ডেটা প্রেরণ করতে পারে না। সুতরাং, যদি ডিভাইস A তথ্য প্রেরণ করছে, ডিভাইস B কে অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ না A-এর প্রেরণ সম্পন্ন হয়। এই কারণে, B-এর তথ্য প্রেরণ তখনই শুরু করা যায় যখন চ্যানেল খালি হয়। হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে এক সময়ে এক পক্ষই প্রেরণকারী এবং অন্য পক্ষ গ্রাহক থাকে, যা সম্পূর্ণ ডুপ্লেক্সের থেকে আলাদা। তাই সঠিক উত্তর হবে: গ) A এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ডাটা ট্রান্সমিশন মোড
উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডাটা প্রবাহের দিককে বিবেচনা করে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতিকে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডাটা প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১. সিমপ্লেক্স (Simplex)
-
শুধুমাত্র একদিকে ডাটা প্রেরণের মোড বা পদ্ধতিকে বলা হয় সিমপ্লেক্স।
-
এক্ষেত্রে গ্রাহক যন্ত্রটি কখনোই প্রেরক যন্ত্রটিতে ডাটা পাঠাতে পারে না।
-
উদাহরণ: রেডিও, টিভি, কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডাটা প্রেরণ।
২. হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex)
-
হাফ-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে যে কোন প্রান্ত ডাটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে কিন্তু গ্রহণ এবং প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না।
-
উদাহরণ: ওয়াকিটকি।
৩. ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex)
-
ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে একই সময়ে উভয় দিক হতে ডাটা প্ররণের ব্যবস্থা থাকে।
-
যে কোন প্রান্ত প্রয়োজনে ডাটা প্রেরণ করার সময় ডাটা গ্রহণ অথবা ডাটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারবে।
-
উদাহরণ: টেলিফোন, মোবাইল ফোন।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটানিকা।
0
Updated: 1 month ago