Telnet কী?
A
ওয়েব ব্রাউজার
B
নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল
C
হার্ডডিস্কের অংশ
D
ফাইল স্টোরেজ
উত্তরের বিবরণ
Telnet
১. সংজ্ঞা
-
Telnet হলো একটি নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল, যা ব্যবহারকারীদের দূর থেকে কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়।
-
এটি ১৯৬০-এর শেষের দিকে ARPANET প্রকল্প থেকে উদ্ভূত।
২. ইতিহাস
-
Telnet-এর প্রথম সংস্করণ ১৯৭১ সালে প্রস্তাবিত হয়।
-
১৯৮৩ সালে এটি বাস্তবায়িত হয়।
-
মূল উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটারকে দূর থেকে সংযুক্ত করা।
৩. প্রযুক্তি
-
Telnet একটি Network Virtual Terminal (NVT) ব্যবহার করে, যা বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে সাধারণ নিয়ম প্রয়োগ করে।
-
এটি যোগাযোগের পার্থক্য দূর করতে সাহায্য করে।
৪. ব্যবহার
Telnet ব্যবহৃত হয়েছে:
-
লেটিন বোর্ড সিস্টেম (BBS)
-
লাইব্রেরির কার্ড ক্যাটালগ
-
টেক্সট-ভিত্তিক গেম
বর্তমানে এই অনেক অ্যাপ্লিকেশন ওয়েব-ভিত্তিক হয়ে গেছে।
৫. নিরাপত্তা ঝুঁকি
-
Telnet সব ডেটা plain text আকারে প্রেরণ করে, তাই হ্যাকাররা সহজে তথ্য পড়তে পারে।
-
হ্যাকাররা Telnet-এর বাগ ব্যবহার করে সীমাবদ্ধ সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে।
-
অনেক সিস্টেমে Telnet বন্ধ করা হয়েছে এবং এর পরিবর্তে Secure Shell (SSH) ব্যবহার করা হয়, যা সমস্ত ট্রাফিক এনক্রিপ্টেড করে।
উৎস: ব্রিটানিকা
0
Updated: 1 month ago
নন-ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
লেজার প্রিন্টার
B
ইংকজেট প্রিন্টার
C
থার্মাল প্রিন্টার
D
লাইন প্রিন্টার
লাইন প্রিন্টার হচ্ছে একটি ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার।
প্রিন্টার:
- কম্পিউটারের সঙ্গে ব্যবহৃত যন্ত্রের মধ্যে প্রিন্টার বহুল ব্যবহৃত ও প্রয়োজনীয়।
- কম্পিউটারে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পর ফলাফল লিখিত আকারে পাওয়ার জন্য প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়।
- কার্যপ্রণালী অনুসারে প্রিন্টারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়: ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার এবং নন-ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার।
ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার:
- যে সকল প্রিন্টারে প্রিন্ট হেড কাগজকে স্পর্শ করে, তাদেরকে সংস্পর্শ বা ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার বলা হয়।
- এ ধরনের প্রিন্টারের রেজুল্যশন ও গতি কম থাকে।
- দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
- ইম্প্যাক্ট প্রিন্টারকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়: লাইন প্রিন্টার ও অক্ষর প্রিন্টার।
নন-ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার:
- যে সকল প্রিন্টারে প্রিন্ট হেড সাধারণত কাগজকে স্পর্শ করে না, তাদেরকে নন-ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার বলা হয়।
- এ ধরনের প্রিন্টারের রেজুল্যশন ও গতি বেশি থাকে।
- দাম তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
- নন-ইম্প্যাক্ট প্রিন্টারের বিভিন্ন প্রকার: লেজার প্রিন্টার, ইংকজেট প্রিন্টার, থার্মাল প্রিন্টার, স্থির বা স্থিতি বৈদ্যুতিক প্রিন্টার।
উৎস: মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি Pay-As-You-Go ক্লাউড মডেলের সুবিধা?
Created: 1 month ago
A
পরিবর্তনশীল লোডের জন্য খরচ কার্যকর
B
ব্যবহার ট্র্যাক করার প্রয়োজন নেই
C
উচ্চ প্রাথমিক বিনিয়োগ
D
সবসময় সীমাহীন রিসোর্স
Pay-As-You-Go (PAYG) ক্লাউড মডেল
Pay-As-You-Go (PAYG) ক্লাউড মডেলটি মূলত খরচ কার্যকর এবং নমনীয়তা প্রদান করে। এতে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র ব্যবহৃত রিসোর্সের জন্যই অর্থ প্রদান করেন, যা বিশেষভাবে পরিবর্তনশীল লোড বা ট্রাফিকের জন্য উপযোগী। অর্থাৎ, হঠাৎ চাহিদা বাড়লেও অতিরিক্ত খরচ হয় না এবং কম ব্যবহারের সময় কম খরচ হয়। এই মডেলে কোনো উচ্চ প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই, তবে ব্যবহার ট্র্যাক না করলে খরচ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হতে পারে। এছাড়া, রিসোর্স সীমাহীন নয়; এটি প্রদানকৃত পরিমাণ অনুযায়ী সীমিত। তাই মূল সুবিধা হলো পরিবর্তনশীল লোডের জন্য খরচ কার্যকর।
সঠিক উত্তর: ক) পরিবর্তনশীল লোডের জন্য খরচ কার্যকর।
ক্লাউড কম্পিউটিং
-
ক্লাউড কম্পিউটিং এর মূল বিষয়টি হলো নিজের ব্যবহৃত কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভের পরিবর্তে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে সার্ভিস বা হার্ডওয়্যার ভাড়া নেওয়া।
-
ক্লাউড কম্পিউটিং কোনো নির্দিষ্ট টেকনোলজি নয়, বেশ কয়েকটি টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা একটি ব্যবসায়িক মডেল বা বিশেষ পরিসেবা।
-
অ্যামাজন বাণিজ্যিকভাবে ২০০৬ সালে এর ব্যবহার শুরু করে।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের প্রধান সার্ভিস মডেল
সেবার ধরণ অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিংকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১. Infrastructure-as-a-Service (IaaS)
-
ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার চালানোর জন্য ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নেটওয়ার্ক, সিপিইউ, স্টোরেজ ও অন্যান্য মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স ভাড়া দেয়।
-
উদাহরণ: Amazon Elastic Compute Cloud (EC2)।
২. Platform-as-a-Service (PaaS)
-
ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেজ ইত্যাদি থাকে।
-
অ্যাপলিকেশন ডেভেলপারগণ তাদের তৈরি করা সফ্টওয়্যার এই প্ল্যাটফর্মে ভাড়ায় চালাতে পারেন।
-
উদাহরণ: Google App Engine, Microsoft Azure।
৩. Software-as-a-Service (SaaS)
-
ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের তৈরিকৃত অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহারকারীগণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে চালাতে পারেন।
-
উদাহরণ: Google Docs।
NIST (National Institute of Standards and Technology) অনুযায়ী ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের বৈশিষ্ট্য
১. রিসোর্স স্কেলেবিলিটি: ছোট বা বড় যাই হোক, ক্রেতার সব ধরনের চাহিদাই মেটানো হবে। সেবা দাতা চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে পারবে।
২. অন-ডিমান্ড: ক্রেতা যখন চাইবে তখনই সেবা দিতে পারবে। ইচ্ছা অনুযায়ী চাহিদা বাড়াতে বা কমাতে পারবে।
৩. Pay-As-You-Go: এটি একটি পেমেন্ট মডেল। ক্রেতাকে আগে থেকে কোনো সার্ভিস রিজার্ভ করতে হবে না। ব্যবহার অনুযায়ী কেবলমাত্র তার জন্যই অর্থ প্রদান করতে হবে।
উৎস
১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
২. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
১ গিগাবাইট = ?
Created: 1 month ago
A
১০২৪ মেগাবাইট
B
১০০০ টেরাবাইট
C
১০২৪ কিলোবাইট
D
১০২৪ বাইট
১ গিগাবাইট = ১০২৪ মেগাবাইট।
বিট ও বাইট:
- বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ অথবা ১ অংককে বিট বলে।
- বিট ডেটা কমিউনিকেশনের মৌলিক একক
- ডেটা ও তথ্য পরিমাপের জন্য বিট একক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পরিমাপ:
- ১ নিবল = ৪ বিট।
- ১ বাইট = ৮ বিট।
- ১ কিলোবিট = ১০০০ বিট।
- ১ মেগাবিট = ১০০০ কিলোবিট।
- ১ গিগাবিট = ১০০০ মেগাবিট।
- ১ টেরাবিট = ১০০০ গিগাবিট।
- ১ কিলোবাইট = ১০২৪ বাইট।
- ১ মেগাবাইট = ১০২৪ কিলোবাইট।
- ১ গিগাবাইট = ১০২৪ মেগাবাইট।
- ১ টেরাবাইট = ১০২৪ গিগাবাইট।
- ১ পেটাবাইট = ১০২৪ টেরাবাইট।
উৎস:
১। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
২। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সঠিক তথ্য: ১ গিগাবাইট = ১০২৪ মেগাবাইট
বিট ও বাইট
-
বিট (Bit): বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির একক, যা ০ বা ১ হতে পারে।
-
বাইট (Byte): ৮ বিট সমান।
-
বিট হলো ডেটা কমিউনিকেশনের মৌলিক একক।
বিট (Bit): বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির একক, যা ০ বা ১ হতে পারে।
বাইট (Byte): ৮ বিট সমান।
বিট হলো ডেটা কমিউনিকেশনের মৌলিক একক।
ডেটা পরিমাপের একক
| একক | সমান |
|---|---|
| ১ নিবল | ৪ বিট |
| ১ বাইট | ৮ বিট |
| ১ কিলোবিট (Kb) | ১০০০ বিট |
| ১ মেগাবিট (Mb) | ১০০০ কিলোবিট |
| ১ গিগাবিট (Gb) | ১০০০ মেগাবিট |
| ১ টেরাবিট (Tb) | ১০০০ গিগাবিট |
| ১ কিলোবাইট (KB) | ১০২৪ বাইট |
| ১ মেগাবাইট (MB) | ১০২৪ কিলোবাইট |
| ১ গিগাবাইট (GB) | ১০২৪ মেগাবাইট |
| ১ টেরাবাইট (TB) | ১০২৪ গিগাবাইট |
| ১ পেটাবাইট (PB) | ১০২৪ টেরাবাইট |
উৎস:
১। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান
২। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমানএকাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমান।
0
Updated: 1 month ago