পৃথিবীর অন্তঃস্থলের তাপমাত্রা কত?
A
৩০০০–৪০০০° সেলসিয়াস
B
৪০০০–৫০০০° সেলসিয়াস
C
৫০০০–৬০০০° সেলসিয়াস
D
৬০০০–৭০০০° সেলসিয়াস
উত্তরের বিবরণ
পৃথিবীর অন্তঃস্থল (Inner Core) ও কেন্দ্র
১. পৃথিবীর কেন্দ্র (Earth’s Core)
- 
অবস্থান: পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৯০০ কিমি গভীরে। 
- 
বৈশিষ্ট্য: অত্যন্ত উত্তপ্ত ও ঘন, বল-আকৃতির অংশ। 
- 
মোট ব্যাসার্ধ: প্রায় ৩,৪৮৫ কিমি। 
২. বহিঃকেন্দ্র (Outer Core)
- 
পুরুত্ব: প্রায় ২,২০০ কিমি। 
- 
উপাদান: তরল লোহা (Fe) ও নিকেল (Ni) মিশ্রণ (NiFe alloy)। 
- 
তাপমাত্রা: ৪,৫০০–৫,৫০০° সেলসিয়াস। 
৩. অন্তঃকেন্দ্র (Inner Core)
- 
ব্যাসার্ধ: প্রায় ১,২২০ কিমি। 
- 
উপাদান: কঠিন স্ফটিক আকারের লোহা (Fe) ও নিকেল। 
- 
তাপমাত্রা: ৫,২০০–৬,০০০° সেলসিয়াস (সূর্যের পৃষ্ঠের সমান)। 
- 
চাপ: প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন বায়ুমণ্ডল (atm)। 
উপসংহার:
পৃথিবীর Inner Core মূলত লোহা ও নিকেল দিয়ে গঠিত এবং অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপের অধীনে কঠিন অবস্থায় থাকে।
উৎস: ভূবিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
৫০° ফারেনহাইট উষ্ণতার সমান-
Created: 4 days ago
A
১০০° সেন্টিগ্রেড
B
৫০° সেন্টিগ্রেড
C
৩২° সেন্টিগ্রেড
D
১০° সেন্টিগ্রেড
ফারেনহাইট (°F) এবং সেন্টিগ্রেড (°C) তাপমাত্রা পরিমাপের দুটি ভিন্ন পদ্ধতি। ফারেনহাইটকে সেন্টিগ্রেডে রূপান্তর করার জন্য একটি সরল সূত্র ব্যবহার করা হয়:
প্রশ্নে দেওয়া আছে 50° ফারেনহাইট। এটি সেন্টিগ্রেডে রূপান্তর করতে হলে:
- 
সূত্রে মান বসিয়ে হিসাব করি: 
- 
পরীক্ষা: 
 ফারেনহাইট থেকে সেন্টিগ্রেডে রূপান্তর সঠিকভাবে 10° সেন্টিগ্রেড এসেছে।
উদাহরণ:
- 
32° F = 0° C 
- 
212° F = 100° C 
সংক্ষেপে, 50° ফারেনহাইট ১০° সেন্টিগ্রেড সমান।
- 
রূপান্তর সূত্র: 
- 
50° F এর জন্য: 
- 
সঠিক উত্তর হলো 10° সেন্টিগ্রেড। 
এই ব্যাখ্যা উত্তরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ, সরল এবং শিক্ষণীয়।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 4 days ago
পৃথিবী কোনো বস্তুকে উপরের দিকে ছুড়ে দিলে তা আবার নিচে পড়ে যায় কেন?
Created: 2 months ago
A
চৌম্বক শক্তির কারণে
B
ভর বৃদ্ধির কারণে
C
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের কারণে
D
পৃথিবীর সবল বলের কারণে
সাধারণ বিজ্ঞান
ইতিহাস
পৃথিবী পরিচিতি
পৃথিবী-Earth
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন
বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য
মহাকর্ষ (Gravity)
- 
যখন কোনো বস্তুকে উপরের দিকে ছোঁড়া হয়, এটি আবার নিচে ফিরে আসে, কারণ পৃথিবীর মহাকর্ষ বল তার প্রতি কাজ করে। 
- 
উদাহরণস্বরূপ: - 
লাফ দিয়ে উপরের দিকে উঠলে আমরা অনেক দূর যেতে পারি না এবং ফিরে এসে মাটিতে নামি। 
- 
গাছের ফল মাটিতে পড়ে। 
- 
ক্রিকেট বল উপরের দিকে ছুঁড়ে দিলে মাটিতে পড়ে। 
 
- 
- 
এর অর্থ, পৃথিবী সব বস্তুকে তার দিকে টানে বা আকর্ষণ করে। 
- 
শুধু পৃথিবী নয়, মহাবিশ্বের সকল বস্তুকণাই একে অপরকে টানে। 
- 
যে আকর্ষণ দুই বস্তুর মধ্যে কাজ করে, তাকে মহাকর্ষ বল বলা হয়। 
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
যে তাপমাত্রায় প্রমাণ চাপে বিশুদ্ধ বরফ গলতে শুরু করে, তাকে কী বলে?
Created: 2 weeks ago
A
স্টিম বিন্দু
B
ত্রৈধ বিন্দু
C
নিম্ন স্থির বিন্দু
D
ঊর্ধ্ব স্থির বিন্দু
থার্মোমিটার হলো এমন একটি যন্ত্র, যা কোনো পদার্থের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত একটি সরু কাঁচের নল, যার ভেতরে পারদ বা অ্যালকোহল ভরা থাকে। তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে সাথে তরলের প্রসারণ বা সংকোচনের মাধ্যমে তাপমাত্রা নির্ধারণ করা যায়।
- 
থার্মোমিটারের নলে তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য একটি দাগ কাটা স্কেল প্রয়োজন হয়। 
- 
এই দাগ কাটার ভিত্তি হিসেবে দুটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যেগুলোকে স্থিরাংক (Fixed points) বলা হয়। 
- 
পারদ থার্মোমিটারের ক্ষেত্রে - 
বরফের গলনাঙ্ক (0°C) হলো নিম্ন স্থিরাংক (Lower Fixed Point) 
- 
পানির স্ফুটাঙ্ক (100°C) হলো ঊর্ধ্ব স্থিরাংক (Upper Fixed Point) 
 
- 
- 
নলের যেসব স্থানে এই দুটি তাপমাত্রা নির্দেশক দাগ কাটা হয়, সেগুলোকে যথাক্রমে নিম্ন স্থির বিন্দু ও ঊর্ধ্ব স্থির বিন্দু বলা হয়। 
নিম্ন স্থির বিন্দু:
- 
যে তাপমাত্রায় প্রমাণ চাপে বিশুদ্ধ বরফ ও পানি সাম্যাবস্থায় থাকে, অর্থাৎ বরফ গলতে শুরু করে, তাকে নিম্ন স্থির বিন্দু বা বরফ বিন্দু (Ice Point) বলা হয়। 
ঊর্ধ্ব স্থির বিন্দু:
- 
যে তাপমাত্রায় প্রমাণ চাপে বিশুদ্ধ পানি জলীয় বাষ্পে পরিণত হতে শুরু করে, অর্থাৎ পানি স্ফুটিত হতে শুরু করে, তাকে ঊর্ধ্ব স্থির বিন্দু বা স্টিম বিন্দু (Steam Point) বলা হয়। 
ত্রৈধ বিন্দু (Triple Point):
- 
4.58 mm পারদস্তম্ভ চাপে যে তাপমাত্রায় বরফ, পানি ও জলীয় বাষ্প একসঙ্গে তাপীয় সাম্যাবস্থায় থাকে, তাকে পানির ত্রৈধ বিন্দু বলা হয়। 
- 
এই তাপমাত্রা হলো 0.01°C বা 273.16 K, যা আন্তর্জাতিকভাবে তাপমাত্রার মান নির্ধারণের মানদণ্ড হিসেবে গৃহীত। 
থার্মোমিটার তৈরিতে ব্যবহৃত তরল হিসেবে সাধারণত পারদ ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি সুষমভাবে প্রসারিত হয়, জমাট বাঁধার তাপমাত্রা কম এবং বাষ্পচাপ খুবই নগণ্য।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago