টেকটোনিক প্লেট তত্ত্বের প্রবক্তা কে?
A
আলফ্রেড ওয়েগেনার
B
চার্লস ডারউইন
C
আইজ্যাক নিউটন
D
নিকোলাস কোপার্নিকাস
উত্তরের বিবরণ
টেকটোনিক প্লেট (Tectonic Plate)
পরিচিতি
-
আলফ্রেড ওয়েগেনার (Alfred Wegener) ১৯১২ সালে মহাদেশীয় সঞ্চালন তত্ত্ব (Continental Drift Theory) প্রস্তাব করেন।
-
পরবর্তীতে এই তত্ত্ব থেকে জন্ম নেয় টেকটোনিক প্লেট তত্ত্ব।
-
তত্ত্ব অনুযায়ী, পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠ বিশাল পাথরের প্লেট দ্বারা গঠিত, যা ধীরে ধীরে সরে যায়।
-
টেকটোনিক প্লেটের গতি ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, এবং পাহাড় গঠনের জন্য দায়ী।
টেকটোনিক প্লেটের বৈশিষ্ট্য
-
প্লেট হলো পৃথিবীর অভ্যন্তরের গলিত অংশের সবচেয়ে বাইরের আবরণ।
-
এর উপরে পৃথিবীর সব ভূ-গঠন অবস্থান করছে।
-
১৯১২ সালে ওয়েগেনারের মহীসঞ্চারণ তত্ত্ব অনুসারে, এক সময় সব মহাদেশ মিলিত ছিল, যা প্যানজিয়া (Pangaea) নামে পরিচিত।
-
ভূ-ত্বক প্রধানত ৭টি বড় এবং কয়েকটি ছোট গতিশীল প্লেট দ্বারা গঠিত।
প্রধান ৭টি টেকটোনিক প্লেট
-
ইউরেশীয় প্লেট (Eurasian Plate)
-
উত্তর আমেরিকান প্লেট (North American Plate)
-
দক্ষিণ আমেরিকান প্লেট (South American Plate)
-
আফ্রিকান প্লেট (African Plate)
-
অ্যান্টার্কটিক প্লেট (Antarctic Plate)
-
ভারত-অস্ট্রেলীয় প্লেট (Indo-Australian Plate)
-
প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট (Pacific Plate)
উৎস: ভূগোল, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 1 month ago
কোনো বস্তুর ওজন কোথায় সবচেয়ে বেশি?
Created: 3 months ago
A
খনির ভেতর
B
পাহাড়ের ওপর
C
মেরু অঞ্চলে
D
বিষুব অঞ্চলে
একটি বস্তু যত বল দ্বারা পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হয়, তাকেই ঐ বস্তুর ওজন বলা হয়। ওজন নির্ভর করে অভিকর্ষজ ত্বরণের ওপর।
অভিকর্ষজ ত্বরণ (g) যে স্থানে বেশি, সেখানে বস্তুর ওজনও তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। মেরু অঞ্চলে g-এর মান নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় বেশি হওয়ায়, ঐ স্থানে বস্তুগুলোর ওজনও বেশি হয়।
বিপরীতে, পৃথিবীর কেন্দ্রে g-এর মান শূন্য হওয়ায়, সেখানে কোনো বস্তুর ওজন থাকবে না, অর্থাৎ ওজন হবে শূন্য।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি
0
Updated: 3 months ago
যখন সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে চাঁদ সরলরেখায় অবস্থান করে তখন হয়-
Created: 3 months ago
A
চন্দ্রগ্রহণ
B
সূর্যগ্রহণ
C
অমাবস্যা
D
পূর্ণিমা
সূর্যগ্রহণ:
যখন চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে এবং চাঁদ ঠিক পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন সূর্যের আলো কিছু সময়ের জন্য পৃথিবীতে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত হয়। এই অবস্থায় সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ঢাকা পড়ে, যাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। এ সময় চাঁদ পৃথিবীর ওপর ছায়া ফেলে।
চন্দ্রগ্রহণ:
চন্দ্রগ্রহণ ঘটে তখন, যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে। ফলে সূর্যের আলো চাঁদের গায়ে পৌঁছাতে পারে না, কারণ পৃথিবী সেই আলো রোধ করে। তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে, এবং আমরা চাঁদকে আংশিক বা সম্পূর্ণ ঢেকে যেতে দেখি।
পূর্ণিমা:
পূর্ণিমা তখনই ঘটে, যখন চাঁদ পৃথিবীর এমন একটি অবস্থানে থাকে, যেখানে পৃথিবীর একদিকে সূর্য এবং অপরদিকে চাঁদ থাকে। এতে সূর্যের পূর্ণ আলো চাঁদের দৃশ্যমান অংশে পড়ে এবং চাঁদ সম্পূর্ণ উজ্জ্বল দেখায়।
অমাবস্যা:
অমাবস্যার সময় চাঁদ অবস্থান করে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে, এবং তিনটি বস্তু একই সরলরেখায় থাকে। এ কারণে চাঁদের সূর্যালোকিত অংশটি পৃথিবীর দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকে এবং চাঁদ অদৃশ্য হয়ে যায়।
উৎস: বিবিসি বাংলা, ৪ ডিসেম্বর ২০২১
0
Updated: 3 months ago
ঘন পাতাবিশিষ্ট বৃক্ষের নিচে রাতে ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়, কারণ গাছ হতে-
Created: 3 months ago
A
অধিক পরিমাণে অক্সিজেন নির্গত হয়
B
অধিক পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়
C
অধিক পরিমাণে কার্বন মনো-অক্সাইড নির্গত হয়
D
বিষাক্ত সায়ানাইড নির্গত হয়
ঘন পাতাওয়ালা গাছগুলো রাতে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে শ্বসন প্রক্রিয়া চালায়।
রাতের সময় এই গাছগুলোর নিচে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, কারণ শ্বসনের মাধ্যমে তারা বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবেশে ছেড়ে দেয়।
এ সময় উদ্ভিদ বাইরের বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে নিজস্ব জৈব প্রক্রিয়া চালায়, ফলে আশপাশের বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং রাতের বেলায় গাছের নিচে অক্সিজেনের ঘনত্ব কমে যায়।
0
Updated: 3 months ago