মানবদেহে আকারে সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘতম হাড়ের নাম কী?
A
Humerus
B
Femur
C
Tibia
D
Radius
উত্তরের বিবরণ
ফিমার বা উরুর হাড় মানবদেহের সবচেয়ে দীর্ঘ হাড়।
ফিমার (Femur):
- এটি মানবদেহের দীর্ঘতম এবং বৃহত্তম হাড়।
- পায়ের গঠন ও কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ফিমার শরীরের ওজনকে সমর্থন করার জন্য এবং হাঁটা, দৌড়ানো এবং লাফানো সহ বিভিন্ন পায়ের নড়াচড়ার সুবিধার জন্য দায়ী। - এর উর্ধ্বপ্রান্তে একটি গোল মস্তক, গ্রীবা ও ছোট-বড় ট্রোকেল্টার অবস্থিত।
- নিম্নপ্রান্ত দুটি কন্ডাইল বিশিষ্ট।
- ফিমারের মস্তক শ্রোণিচক্রে অ্যাসিটাবুলামের সাথে যুক্ত থাকে।
- এর প্রান্তে প্যাটেল (Patella) নামক চ্যাপ্টা সিগময়েড অস্থি থাকে। উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
                                                                            ফিমার (Femur):
- এটি মানবদেহের দীর্ঘতম এবং বৃহত্তম হাড়।
- পায়ের গঠন ও কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ফিমার শরীরের ওজনকে সমর্থন করার জন্য এবং হাঁটা, দৌড়ানো এবং লাফানো সহ বিভিন্ন পায়ের নড়াচড়ার সুবিধার জন্য দায়ী।
- নিম্নপ্রান্ত দুটি কন্ডাইল বিশিষ্ট।
- ফিমারের মস্তক শ্রোণিচক্রে অ্যাসিটাবুলামের সাথে যুক্ত থাকে।
- এর প্রান্তে প্যাটেল (Patella) নামক চ্যাপ্টা সিগময়েড অস্থি থাকে।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
শরীরের কোষে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য কোন রক্তকণিকা দায়ী?
Created: 1 month ago
A
নিউট্রোফিল
B
প্লাজমা
C
এরিথ্রোসাইট
D
থ্রম্বোসাইট
এরিথ্রোসাইট (লোহিত রক্তকণিকা) হলো মানবদেহের প্রধান রক্তকণিকাগুলোর মধ্যে একটি, যার প্রধান কাজ হলো ফুসফুস থেকে সারা শরীরে অক্সিজেন পরিবহন করা।
প্রধান বৈশিষ্ট্য ও কার্যাবলী:
- 
এরিথ্রোসাইট বা লোহিত রক্তকণিকা রক্তের মোট আয়তনের প্রায় ৪৫% দখল করে। 
- 
এতে থাকা হিমোগ্লোবিন নামক লৌহযুক্ত প্রোটিন ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেয়। 
- 
লোহিত রক্তকণিকার আয়ু ১২০ দিন। 
- 
লাল অস্থিমজ্জা (Red Bone Marrow) লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে। 
- 
তৈরি হওয়ার পর, লোহিত রক্তকণিকা প্লীহায় (Spleen) সঞ্চিত থাকে এবং প্রয়োজনে রক্তপ্রবাহে সরবরাহ করা হয়। 
- 
রক্তকণিকার মধ্যে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। 
- 
লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস নেই এবং এর আকৃতি হলো দ্বি-অবতল বৃত্তাকার। 
উল্লেখযোগ্য অন্যান্য রক্তকণিকা ও উপাদান:
- 
নিউট্রোফিল (Neutrophil): শ্বেত রক্তকণিকা, যা রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
- 
প্লাজমা (Plasma): রক্তের তরল অংশ, যা হরমোন, প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদান পরিবহন করে। 
- 
থ্রম্বোসাইট (Platelets): রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
পিটুইটারি গ্রন্থির কোন হরমোনটি মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে?
Created: 1 month ago
A
অক্সিটোসিন
B
ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন
C
প্রোল্যাকটিন
D
ভ্যাসোপ্রেসিন
ভ্যাসোপ্রেসিন বা অ্যান্টি-ডাইইউরেটিক হরমোন (ADH) শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা এবং মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- 
পিটুইটারি গ্রন্থি - 
মানব মস্তিষ্কের নিচে অবস্থিত ক্ষুদ্র, লালচে-ধূসর রঙের মটর-সদৃশ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। 
- 
ওজন মাত্র ০.৫ গ্রাম। 
- 
অন্তঃক্ষরাতন্ত্রের প্রধান হরমোন সৃষ্টিকারী গ্রন্থি (Principal/Master gland) হিসেবে পরিচিত। 
- 
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসরণ করে এবং থাইরয়েড, অ্যাড্রেনাল ও প্রজনন গ্রন্থি সহ অন্যান্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। 
- 
হাইপোথ্যালামাসের সাথে সংযুক্ত থাকে। 
 
- 
- 
প্রধান অংশ ও হরমোনসমূহ 
 ১. অগ্র পিটুইটারি (Anterior Pituitary/Adenohypophysis)- 
দেহের বৃদ্ধি, বিপাক এবং অন্যান্য গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। 
- 
গুরুত্বপূর্ণ হরমোন: - 
গ্রোথ হরমোন (GH): দেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। 
- 
থাইরয়েড-স্টিমুলেটিং হরমোন (TSH): থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে। 
- 
অ্যাড্রেনোকর্টিকোট্রপিক হরমোন (ACTH): অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে। 
- 
ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH) ও লিউটিনাইজিং হরমোন (LH): একত্রে গোনাডোট্রপিক হরমোন (GTH) নামে পরিচিত, প্রজনন অঙ্গের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। 
- 
প্রোল্যাকটিন (Prolactin): দুগ্ধ উৎপাদনে সহায়তা করে। 
- 
মেলানোসাইট স্টিমুলেটিং হরমোন (MSH): ত্বক ও চুলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। 
 
- 
 ২. পশ্চাৎ পিটুইটারি (Posterior Pituitary/Neurohypophysis) - 
নিজে কোনো হরমোন তৈরি করে না, বরং হাইপোথ্যালামাস থেকে আসা হরমোন সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে নিঃসরণ করে। 
- 
সংরক্ষিত হরমোন: - 
ভ্যাসোপ্রেসিন (Vasopressin/ADH): কিডনির মাধ্যমে মূত্র নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। 
- 
অক্সিটোসিন (Oxytocin): সন্তান প্রসবকালে জরায়ুর সংকোচন ঘটায় এবং দুগ্ধ নিঃসরণে সাহায্য করে। 
 
- 
 
- 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
রেশম উৎপাদনের জন্য রেশম পোকা প্রতিপালনের পদ্ধতিকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
এপিকালচার
B
পিসিকালচার
C
সেরিকালচার
D
হর্টিকালচার
• রেশম পোকার চাষ পদ্ধতিকে সেরিকালচার (Sericulture) বলা হয়।
• সেরিকালচার:
- বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রেশম পোকার চাষ পদ্ধতিকে বলে সেরিকালচার।
- রেশম পোকার ইংরেজি নাম Silk Worm.
- বৈজ্ঞানিক নাম: Bombyx Mori.
- তুঁতজাত রেশম মথের প্রতিপালন এবং এর গুটি থেকে অপরিশোধিত রেশম নিষ্কাশন ও পরিশোধন করে ব্যবহারোপযোগী পণ্যে পরিণত করার সার্বিক পদ্ধতিই সেরিকালচার নামে পরিচিত।
অন্যদিকে,
মৌমাছি পালন পদ্ধতি - এপিকালচার।
মৎস্য চাষ বিদ্যা - পিসিকালচার।
উদ্যান বিষয়ক বিদ্যা - হর্টিকালচার,
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago