পতঙ্গনাশক হিসেবে কোন ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়?
A
Bacillus thuringiensis
B
Lactobacillus
C
Bacillus megaterium
D
Escherichia coli
উত্তরের বিবরণ
Bacillus thuringiensis (Bt)
পরিচিতি
-
Bacillus thuringiensis (Bt) একটি গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া, যা মাটিতে বাস করে।
-
এটি প্রাকৃতিকভাবে কিছু কীটপতঙ্গের জন্য বিষাক্ত প্রোটিন (Bt toxin) উৎপাদন করে।
-
কৃষিক্ষেত্রে এটি জৈব পতঙ্গনাশক (biopesticide) হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
-
Bt toxin মূলত কীটপতঙ্গের লার্ভা বা শূককীটকে ধ্বংস করে, ফলে শস্য ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।
ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) সংক্রান্ত তথ্য
-
শব্দের উৎস: গ্রিক শব্দ Bakterion অর্থাৎ ‘ছোট রড’।
-
ব্যাকটেরিয়া ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক জীব, এককোষী এবং আদিকোষী।
-
কোষের জড় কোষ প্রাচীর থাকে।
-
মানবদেহে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট কিছু রোগ: যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, ডিপথেরিয়া, আমাশয়, হুপিংকাশি ইত্যাদি।
ইতিহাস ও গবেষণা
-
অ্যান্টনি ভ্যান লীউয়েনহুক: ব্যাকটেরিওলজি ও প্রোটোজুওলজির জনক।
-
এরেনবার্গ (১৮২৯): ক্ষুদ্রজীবদের ব্যাকটেরিয়া নামে পরিচয় দেন।
-
লুই পাস্তুর (১৮৬৯): ব্যাকটেরিয়ার ওপর ব্যাপক গবেষণা এবং ব্যাকটেরিইয়া তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার
-
Gram-positive এবং মাটিতে বসবাসকারী।
-
Bt toxin উৎপাদন করে, যা নির্দিষ্ট পোকামাকড়ের লার্ভা ধ্বংস করে।
-
জৈব পতঙ্গনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি পরিবেশবান্ধব এবং নির্দিষ্ট কীটপতঙ্গের উপর কার্যকর।
উৎস: জীববিজ্ঞান ১ম পত্র, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান।
0
Updated: 1 month ago
কৃষিজমিতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে বহুল ব্যবহৃত লবণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কপার সালফেট
B
সিলভার সালফেট
C
পটাশিয়াম নাইট্রেটv
D
মারকিউরিক সালফেট
লবণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্য, কৃষি ও শিল্পকারখানায় এর ব্যবহার রয়েছে।
খাদ্যে লবণের ব্যবহার:
-
সাধারণ লবণ বা টেবিল লবণ (Sodium Chloride, NaCl) খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়।
-
তরকারি, পাউরুটি, আচার, চানাচুর ইত্যাদিতে এই লবণ ব্যবহার করা হয়।
-
খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য সোডিয়াম গ্লুটামেট ব্যবহার করা হয়, যা ‘টেস্টিং সল্ট’ নামে পরিচিত।
কৃষিতে লবণের ব্যবহার:
-
মাটির এসিডিটি কমাতে চুনাপাথর ব্যবহার করা হয়।
-
মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য সার হিসেবে লবণজাতীয় যৌগ ব্যবহার করা হয়, যেমন: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH4NO3), অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH4)3PO4), পটাশিয়াম নাইট্রেট (KNO3)।
-
তুঁতে বা কপার সালফেট (CuSO4) ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধে এবং শৈবালের বৃদ্ধি বন্ধে কার্যকর।
শিল্পকারখানায় লবণের ব্যবহার:
-
চামড়াশিল্পে চামড়া ট্যানিংয়ে, মাখন ও পনির প্রস্তুতিতে, কাপড় কাচার সোডা ও খাবার সোডা উৎপাদনে এবং সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের বিশ্লেষণে লবণ ব্যবহৃত হয়।
-
তুঁতে (CuSO4), মারকিউরিক সালফেট (HgSO4), সিলভার সালফেট (Ag2SO4) প্রভাবক হিসেবে শিল্পপ্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
ব্যাকটেরিয়ার কোষে নিচের কোনটি উপস্থিত?
Created: 1 month ago
A
প্লাসটিড
B
মাইটোকন্ড্রিয়া
C
নিউক্লিওলাস
D
ক্রোমাটিন বস্তু
আদিকোষ (Prokaryotic Cell)
ব্যাকটেরিয়ার কোষগুলোকে আদিকোষ বলা হয়।
-
এ ধরনের কোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস (nucleus) থাকে না। এ কারণেই এগুলোকে আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষও বলা হয়।
-
আদিকোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি ঝিল্লীবদ্ধ অঙ্গাণু থাকে না। তবে এতে রাইবোজোম এবং ক্রোমাটিন থাকে।
-
ক্রোমাটিনে কেবল DNA সংরক্ষিত থাকে।
-
ব্যাকটেরিয়ার কোষ সাধারণত জড় কোষপ্রাচীরবিশিষ্ট এককোষী অণুজীব।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
-
ব্যাকটেরিয়ার আকার প্রায় 0.2–50 মাইক্রোমিটার।
-
এরা আণুবীক্ষণিক (Microscopic) প্রাণী।
-
এগুলো এককোষী, তবে অনেকগুলো কোষ কলোনি বা দলবদ্ধভাবে থাকতে পারে।
-
কোষ প্রাককেন্দ্রিক (Prokaryotic), অর্থাৎ রাইবোজোম ছাড়া অন্য কোনো ঝিল্লীবদ্ধ অঙ্গাণু যেমন নিউক্লিয়াস, মাইটোকন্ড্রিয়া, ক্লোরোপ্লাস্ট, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, গলগি বডি, লাইসোসোম, সাইটোস্কেলেটন ইত্যাদি থাকে না।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
ব্যাকটেরিয়ার কোন বৈশিষ্ট্যটি সঠিক নয়?
Created: 1 month ago
A
এরা অকোষীয়
B
এদের কোষ প্রাককেন্দ্রিক
C
এদের কোষ প্রাককেন্দ্রিক
D
এরা আণুবীক্ষণিক জীব
ব্যাকটেরিয়া হলো জড় কোষ প্রাচীরবিশিষ্ট এককোষী আদিকেন্দ্রিক অণুজীব।
-
ব্যাকটেরিয়ার আকার সাধারণত ০.২-৫০ মাইক্রোমিটার।
-
এরা আণুবীক্ষণিক জীব।
-
এরা এককোষী, তবে একসাথে অনেকগুলো কোষ কলোনি বা দলবদ্ধভাবে থাকতে পারে।
-
এদের কোষ প্রাককেন্দ্রিক, তাই কোষে রাইবোসোম ছাড়া অন্য কোন ঝিল্লীবদ্ধ অঙ্গাণু (যেমন নিউক্লিয়াস, মাইটোকন্ড্রিয়া, ক্লোরোপ্লাস্ট, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, গলগি বডি, লাইসোসোম এবং সাইটোস্কেলেটন) থাকে না।
-
এরা পরজীবী ও রোগ উৎপাদনকারী, অধিকাংশই মৃতজীবি এবং কিছু স্বনির্ভর।
-
ব্যাকটেরিয়া সাধারণত দ্বিভাজন বা বাইনারি ফিশন প্রক্রিয়ায় সংখ্যাবৃদ্ধি করে।
-
এদের কোষ প্রাচীর প্রধানত পেপটিডোগ্লাইকান দ্বারা গঠিত, সাথে মিউরামিক অ্যাসিড এবং টিকোয়িক অ্যাসিড থাকে।
-
এরা ফায ভাইরাসের প্রতি সংবেদনশীল।
-
এরা অজৈব লবণ জারিত করে শক্তি সংগ্রহ করতে পারে।
-
এরা সাধারণত মৌলিক রং ধারণ করতে পারে, যেমন গ্রাম পজিটিভ বা গ্রাম নেগেটিভ।
-
এদের কোষে ক্রোমোসোম হিসেবে একটি দ্বিসূত্রক বৃত্তাকার DNA অণু থাকে, এতে ক্রোমোসোমাল হিস্টোন প্রোটিন থাকে না।
-
কিছু ব্যাকটেরিয়াতে নিউক্লিয়ার বহির্ভূত DNA থাকে, যা সাধারণত প্লাজমিড নামে পরিচিত।
0
Updated: 1 month ago