হিগস কণা (Higgs Boson) আবিষ্কারের জন্য কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে?
A
লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার
B
স্পিৎজার স্পেস টেলিস্কোপ
C
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ
D
কেপলার স্পেস অবজারভেটরি
উত্তরের বিবরণ
লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (LHC) বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী পার্টিকল অ্যাক্সিলারেটর, যা সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের সীমান্তে অবস্থিত CERN-এ স্থাপন করা হয়েছে। ২০১২ সালে এখানেই হিগস বোসনের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়, যা পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেল এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
হিগস বোসন:
- হিগস বোসন এর স্পিন 0, তবে এর ভর আছে।
- হিগস বোসন বুঝতে হলে হিগস ক্ষেত্র সম্বন্ধে জানতে হবে।
- হিগস ক্ষেত্র একটি তাত্ত্বিক বলক্ষেত্র যা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
- এই ক্ষেত্রের কাজ হলো মৌলিক কণাগুলোকে ভর প্রদান করা।
- যখন কোনো ভরহীন কণা হিগস ক্ষেত্রে প্রবেশ করে তখন তা ধীরে ধীরে ভর লাভ করে। ফলে তার চলার গতি ধীর হয়ে যায়।
- হিগস বোসনের মাধ্যমে ভর কণাতে স্থানান্ডরিত হয়।
- এই হিগস বোসন কণাই ঈশ্বর কণা ( God's Particle) নামে পরিচিত।
0
Updated: 1 month ago
n-টাইপ অর্ধপরিবাহীতে কোনটি বেশি থাকে?
Created: 1 month ago
A
ধনাত্মক আয়ন
B
ঋণাত্মক আয়ন
C
হোল
D
মুক্ত ইলেকট্রন
অর্ধপরিবাহী ডায়োড বা জাংশন ডায়োড মূলত p-টাইপ ও n-টাইপ অর্ধপরিবাহীকে এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করে তৈরি করা হয়, যা প্যার্টিকেল এবং বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সংযোগের ফলে একটি p-n জাংশন তৈরি হয় যা বৈদ্যুতিক প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে।
-
একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহী ও একটি n-টাইপ অর্ধপরিবাহীকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করলে সংযোগ পৃষ্ঠ বা জাংশন তৈরি হয়, যাকে p-n জাংশন বা জাংশন ডায়োড বলা হয়। দুইটি অর্ধপরিবাহী মিলিয়ে গঠিত হওয়ায় একে অর্ধপরিবাহী ডায়োডও বলা হয়।
-
বাস্তবে দুটি আলাদা অর্ধপরিবাহীকে জোড়া লাগিয়ে ডায়োড তৈরি করা হয় না; বরং একটি বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহীর এক অর্ধাংশে ত্রিযোজী অপদ্রব্য এবং অন্য অর্ধাংশে পঞ্চযোজী অপদ্রব্য মিশিয়ে p-n জাংশন তৈরি করা হয়।
-
একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহীর ভেতরে বহুসংখ্যক হোল এবং অতি অল্প সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে, আর n-টাইপ অর্ধপরিবাহীতে বহুসংখ্যক মুক্ত ইলেকট্রন এবং অতি অল্পসংখ্যক হোল থাকে।
-
p-n জাংশন তৈরি হলে p-অঞ্চলের হোলের সংখ্যা n-অঞ্চলের হোলের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় হোলগুলো n-অঞ্চলে প্রবাহিত হওয়ার চেষ্টা করে, যাতে উভয় অঞ্চলে হোলের ঘনত্ব সমান হয়।
-
একইভাবে n-অঞ্চল থেকে কিছু ইলেকট্রন p-অঞ্চলে চলে আসে। p-অঞ্চল থেকে কিছু হোল n-অঞ্চলে প্রবেশ করলে মুক্ত ইলেকট্রনের সাথে মিলিত হয়ে তড়িৎ নিরপেক্ষ হয়, ফলে n-অঞ্চলে সমসংখ্যক ধনাত্মক দাতা আয়ন তৈরি হয়। n-অঞ্চল থেকে ইলেকট্রন p-অঞ্চলে গেলে ঋণাত্মক গ্রাহক আয়ন তৈরি হয়।
-
ফলে জাংশনের সংলগ্ন অঞ্চলে p-অঞ্চলে ঋণাত্মক আয়ন এবং n-অঞ্চলে ধনাত্মক আয়ন তৈরি হয়। যখন পর্যাপ্ত গ্রাহক ও দাতা আয়ন তৈরি হয়, তখন হোল ও ইলেকট্রনের ব্যাপন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
-
p-n জাংশনের বিভব বাঁধা অংশে n-অঞ্চলে ধনাত্মক আয়ন এবং p-অঞ্চলে ঋণাত্মক আয়ন থাকে। এই অঞ্চলে মুক্ত চার্জ বাহক অনুপস্থিত, এবং এটি নিঃশেষিত স্তর বা ডিপ্লেশন স্তর (Depletion layer) নামে পরিচিত।
0
Updated: 1 month ago
কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রবর্তন করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ম্যাক্স প্লাঙ্ক
B
নিউটন
C
আইনস্টাইন
D
গ্যালিলিও
কোয়ান্টাম তত্ত্ব:
কোয়ান্টাম তত্ত্ব:
- ১৯০০ সালে ম্যাক্স প্লাঙ্ক আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রস্তাবনা করেন।
- এই তত্ত্ব অনুসারে শক্তি কোনো উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে বের হয়ে না, বরং ক্ষুদ্র শক্তির প্যাকেট বা গুচ্ছ আকারে নির্গত হয়।
- প্রতি কম্পাঙ্কের (রঙের আলোর) জন্য এই শক্তি প্যাকেটের একটি সর্বনিম্ন মান নির্দিষ্ট থাকে। এই সর্বনিম্ন শক্তি সম্পন্ন কণিকার নাম কোয়ান্টাম বা ফোটন।
- প্লাঙ্কের মতে, কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ আলাদা আলাদা বা গুচ্ছ আকারে সংঘটিত হয়।
- ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন, যার ফলে আলোর কণা তত্ত্ব পুনর্জীবিত হয়।
- এই তত্ত্ব অনুসারে শক্তি কোনো উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে বের হয়ে না, বরং ক্ষুদ্র শক্তির প্যাকেট বা গুচ্ছ আকারে নির্গত হয়।
- প্রতি কম্পাঙ্কের (রঙের আলোর) জন্য এই শক্তি প্যাকেটের একটি সর্বনিম্ন মান নির্দিষ্ট থাকে। এই সর্বনিম্ন শক্তি সম্পন্ন কণিকার নাম কোয়ান্টাম বা ফোটন।
- প্লাঙ্কের মতে, কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ আলাদা আলাদা বা গুচ্ছ আকারে সংঘটিত হয়।
- ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন, যার ফলে আলোর কণা তত্ত্ব পুনর্জীবিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
সমুদ্রে দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়ের যন্ত্রের নাম -
Created: 6 days ago
A
ক্রনোমিটার
B
কম্পাস
C
সিসমোগ্রাফ
D
সেক্সট্যান্ট
0
Updated: 6 days ago