হিগস কণা (Higgs Boson) আবিষ্কারের জন্য কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে?
A
লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার
B
স্পিৎজার স্পেস টেলিস্কোপ
C
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ
D
কেপলার স্পেস অবজারভেটরি
উত্তরের বিবরণ
লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (LHC) বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী পার্টিকল অ্যাক্সিলারেটর, যা সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের সীমান্তে অবস্থিত CERN-এ স্থাপন করা হয়েছে। ২০১২ সালে এখানেই হিগস বোসনের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়, যা পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেল এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
হিগস বোসন:
- হিগস বোসন এর স্পিন 0, তবে এর ভর আছে।
- হিগস বোসন বুঝতে হলে হিগস ক্ষেত্র সম্বন্ধে জানতে হবে।
- হিগস ক্ষেত্র একটি তাত্ত্বিক বলক্ষেত্র যা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
- এই ক্ষেত্রের কাজ হলো মৌলিক কণাগুলোকে ভর প্রদান করা।
- যখন কোনো ভরহীন কণা হিগস ক্ষেত্রে প্রবেশ করে তখন তা ধীরে ধীরে ভর লাভ করে। ফলে তার চলার গতি ধীর হয়ে যায়।
- হিগস বোসনের মাধ্যমে ভর কণাতে স্থানান্ডরিত হয়।
- এই হিগস বোসন কণাই ঈশ্বর কণা ( God's Particle) নামে পরিচিত।
0
Updated: 1 month ago
সমুদ্রে দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়ের যন্ত্রের নাম -
Created: 6 days ago
A
ক্রনোমিটার
B
কম্পাস
C
সিসমোগ্রাফ
D
সেক্সট্যান্ট
0
Updated: 6 days ago
প্রকৃতিতে কত ধরনের মৌলিক বল আছে?
Created: 3 weeks ago
A
৪
B
৩
C
২
D
৫
বল হলো এমন একটি শারীরিক প্রক্রিয়া যা:
-
স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে চায় বা গতিশীল বস্তুর গতিতে পরিবর্তন ঘটায়।
-
সবসময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে।
-
প্রকৃতিতে চার ধরনের মৌলিক বল বিদ্যমান: মহাকর্ষ বল, তড়িৎ চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল, দুর্বল নিউক্লীয় বল, সবল নিউক্লীয় বল।
১. মহাকর্ষ বল:
-
সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে আকর্ষণ করে।
-
উদাহরণ: গ্যালাক্সির নক্ষত্র ঘুরপাক খায়, সূর্যের চারপাশে পৃথিবী ঘোরে, পৃথিবীর চারপাশে চাঁদ ঘোরে।
-
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে মধ্যাকর্ষণ বল বলা হয়।
-
এটি আমাদেরকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টেনে রাখে, যার ফলে আমরা ওজনের অনুভূতি পাই।
-
যেকোনো ভরবিশিষ্ট বস্তু অন্য বস্তুকে মহাকর্ষ বল প্রয়োগ করে।
২. তড়িৎ চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল:
-
দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের ওপর আকর্ষণ বা বিকর্ষণ প্রয়োগ করে।
৩. দুর্বল নিউক্লীয় বল:
-
নাম অনুসারে এটি দুর্বল, কারণ এটি তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের তুলনায় দুর্বল, তবে মহাকর্ষ বলের তুলনায় কম নয়।
-
এটি খুবই অল্প দূরত্বে (≈ 10⁻¹⁸ m) কার্যকর হয়।
-
মহাকর্ষ এবং তড়িৎ চৌম্বকীয় বল যেকোনো দূরত্ব থেকে কাজ করতে পারে, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বলের প্রভাব সীমিত।
৪. সবল নিউক্লীয় বল:
-
এটি সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল।
-
তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের চেয়ে ≈100 গুণ শক্তিশালী, তবে কার্যকর হয় খুব অল্প দূরত্বে (≈ 10⁻¹⁵ m)।
-
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো ও তাপ এই বলের কারণে তৈরি হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
বাতাসের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্রের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
মাইকোমিটার
B
হাইগ্রোমিটার
C
ব্যারোমিটার
D
গ্রাভিমিটার
বায়ুর আর্দ্রতা
বায়ুতে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিকে বায়ুর আর্দ্রতা বলা হয়। যদি বায়ুতে জলীয়বাষ্প না থাকে, তবে পানিচক্র সম্পূর্ণভাবে ঘটতে পারত না। সাধারণভাবে বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ খুব কম, প্রায় ১% এর কম। কিন্তু আর্দ্র বায়ুতে এটি প্রায় ২–৫% পর্যন্ত বেড়ে যায়।
বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ:
বায়ুর আর্দ্রতা হাইগ্রোমিটার দ্বারা মাপা হয়।
আর্দ্রতার প্রধান দুই প্রকার:
-
পরম আর্দ্রতা: নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে থাকা জলীয়বাষ্পের প্রকৃত পরিমাণ।
-
আপেক্ষিক আর্দ্রতা: নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে থাকা প্রকৃত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ও সেই আয়তনের বায়ুকে একই তাপমাত্রায় সম্পূর্ণ পরিপৃক্ত করতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প লাগবে, তার অনুপাত।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago