কোন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়?
A
ভিটামিন A
B
ভিটামিন B
C
ভিটামিন C
D
ভিটামিন D
উত্তরের বিবরণ
ভিটামিন A
-
প্রধান কাজ:
-
চোখের রেটিনায় রড সেলের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখা।
-
দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও গঠন নিশ্চিত করা।
-
ত্বক, চোখের কর্নিয়া ও অন্যান্য আবরণী কলাকে স্বাভাবিক ও সজীব রাখা।
-
হাড় ও দাঁতের গঠন এবং দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখা।
-
দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখা ও রাতকানা (Night Blindness) প্রতিরোধ।
-
দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
-
-
অভাবের ফলে সমস্যা:
-
রাতকানা রোগ (Night Blindness)।
-
দীর্ঘস্থায়ী অভাবে কর্নিয়ায় আলসার, যা জেরপথ্যালমিয়া নামে পরিচিত এবং পুরোপুরি অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।
-
দেহের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হওয়া।
-
ঘা, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেওয়া।
-
ত্বকের লোমকূপের গোড়ায় ছোট ছোট গুটি সৃষ্টি হওয়া।
-
0
Updated: 1 month ago
মায়ের দুধে কোন ধরনের ইমিউনোগ্লোবিউলিন পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
IgG
B
IgA
C
IgE
D
IgM
অ্যান্টিবডি (Antibody):
দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্র (immune system) থেকে উৎপন্ন এক ধরনের দ্রবণীয় গ্লাইকোপ্রোটিন, যা রোগ-ব্যাধি সৃষ্টিকারী নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন (যেমন: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া) ধ্বংস করে।
প্রত্যেকটি অ্যান্টিবডি হলো ইমিউনোগ্লোবিউলিন (Ig) নামে বিশেষ ধরনের প্রোটিন অণু।
লিম্ফোসাইট ও অ্যান্টিবডি উৎপাদন:
শ্বেত রক্তকণিকার একটি প্রধান অংশ হলো লিম্ফোসাইট, যা দুটি ধরনের:
১. T-কোষ
২. B-কোষ
B-লিম্ফোসাইটের একটি উপধরন হলো প্লাজমা B-কোষ (Plasmacell), যেখান থেকে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়।
প্রয়োজন হলে প্রতিটি প্লাজমাকোষ প্রতি সেকেন্ডে কয়েক হাজার অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে।
মানুষের দেহে প্রায় ১০০ মিলিয়ন (১০ কোটি) প্রকারের অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হতে পারে।
অ্যান্টিবডির প্রকারভেদ:
অ্যান্টিবডির গঠনে যে ভারী শৃঙ্খল রয়েছে, তার অ্যামিনো এসিড ক্রমের ভিত্তিতে ৫ ধরনের:
- γ (gamma), α (alpha), μ (mu), ε (epsilon), δ (delta)
এ পাঁচ ধরনের ভারী শৃঙ্খল অনুযায়ী অ্যান্টিবডি শ্রেণিভুক্ত:
১. ইমিউনোগ্লোবিউলিন G (IgG)
২. ইমিউনোগ্লোবিউলিন A (IgA)
৩. ইমিউনোগ্লোবিউলিন M (IgM)
৪. ইমিউনোগ্লোবিউলিন D (IgD)
৫. ইমিউনোগ্লোবিউলিন E (IgE)
ইমিউনোগ্লোবিউলিন A (IgA):
দেহের মোট Ig-র মধ্যে প্রায় ১৫% হলো IgA।
এটি মিউকাস ঝিল্লিতে থাকে (যেমন: পরিপাক, জনন ও শ্বসনতন্ত্র), যেখানে রোগ সৃষ্টিকারী অনুজীব ও অণুকণাকে প্রতিরোধ করে।
মায়ের দুধেও IgA থাকে এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর দেহে স্থানান্তরিত হয়।
উৎস: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (গাজী আজমল)
0
Updated: 1 month ago
রক্তশূন্যতার জন্য কোন বি ভিটামিন দায়ী?
Created: 5 days ago
A
বি১
B
বি১২
C
বি২
D
বি৬
0
Updated: 5 days ago
কোন ভিটামিন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে?
Created: 1 month ago
A
ভিটামিন ‘কে’
B
ভিটামিন ‘সি’
C
ভিটামিন ‘বি’
D
ভিটামিন ‘ডি’
ভিটামিন কে (Vitamin K):
ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়ক একটি অপরিহার্য ভিটামিন। এর রাসায়নিক নাম ফাইলোকুইনন (Phylloquinone) বা ন্যাপথোকুইনন (Naphthoquinone)। এটি তাপ, আর্দ্রতা ও বায়ুর সংস্পর্শে সহজে নষ্ট হয় না।
ভিটামিন কে-এর উৎস:
-
সবুজ শাক-সবজি
-
ডিমের কুসুম
-
দুধ
-
যকৃত
-
মাংস
-
মাছ
-
লেটুস পাতা
-
বাঁধাকপি, ফুলকপি
-
মটরশুঁটি ইত্যাদি
ভিটামিন কে-এর কাজ:
১. রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে (প্রোথ্রম্বিন প্রোটিন সক্রিয়করণে সহায়তা করে)।
২. পিত্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. যকৃতের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বজায় রাখে।
অভাবজনিত অবস্থা:
-
রক্ত জমাট বাঁধা ব্যাহত হয়।
-
সামান্য কাটা-ছেঁড়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ঘটে।
0
Updated: 1 month ago