কসমিক রে মূলত কী দ্বারা গঠিত?
A
আলো বহনকারী ফোটন
B
উচ্চ শক্তিসম্পন্ন চার্জযুক্ত কণা
C
শব্দ তরঙ্গ
D
শব্দ তরঙ্গ
উত্তরের বিবরণ
কসমিক রে হল মহাকাশ থেকে আগত উচ্চ গতির কণা।- এগুলোর বেশিরভাগই প্রোটন (হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস), কিছু আলফা কণা (হিলিয়াম নিউক্লিয়াস) এবং সামান্য ইলেকট্রন ও ভারী নিউক্লিয়াস নিয়ে গঠিত। এগুলো আলোর কণা নয়, কারণ আলো ফোটন দিয়ে গঠিত এবং বৈদ্যুতিক চার্জ বহন করে না।
মহাজাগতিক রশ্মি: - মহাজাগতিক রশ্মি হল উচ্চ-গতির কণা, যা পারমাণবিক নিউক্লিয়াস বা ইলেকট্রন হতে পারে।- এগুলো মহাকাশে ভ্রমণ করে এবং প্রধানত গ্যালাকটিক মহাজাগতিক রশ্মি (GCRs) নামে পরিচিত।
- বেশিরভাগ GCR আসে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি থেকে। কিছু আসে সূর্য থেকে (সৌর মহাজাগতিক রশ্মি)। সর্বোচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণাগুলি সম্ভবত মিল্কিওয়ের বাইরের উৎস থেকে আসে।
- প্রাথমিক মহাজাগতিক রশ্মি সরাসরি পৃথিবীর পৃষ্ঠে দেখা যায় না। প্রাথমিক কণা পর্যবেক্ষণ করতে উচ্চ-উচ্চতার বেলুন বা মহাকাশযান ব্যবহার করা হয়।
মহাজাগতিক রশ্মি:
- বেশিরভাগ GCR আসে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি থেকে। কিছু আসে সূর্য থেকে (সৌর মহাজাগতিক রশ্মি)। সর্বোচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণাগুলি সম্ভবত মিল্কিওয়ের বাইরের উৎস থেকে আসে।
- প্রাথমিক মহাজাগতিক রশ্মি সরাসরি পৃথিবীর পৃষ্ঠে দেখা যায় না। প্রাথমিক কণা পর্যবেক্ষণ করতে উচ্চ-উচ্চতার বেলুন বা মহাকাশযান ব্যবহার করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার কবে দেওয়া হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯২২ সালে
B
১৯৩৬ সালে
C
১৯৪৫ সালে
D
১৯৫০ সালে
Cosmic Rays (মহাজাগতিক রশ্মি):-
-
সংজ্ঞা: মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন আহিত কণাসমূহ প্রবেশ করলে সেগুলিকে মহাজাগতিক রশ্মি বা Cosmic rays বলা হয়।
-
আবিষ্কারক: ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস, একজন অস্ট্রীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
-
বেলুনে বহনযোগ্য যন্ত্র ব্যবহার করে প্রমাণ করেন যে, বিকিরণের উৎস মহাজাগতিক এবং এটি পরিবেশকে আয়নিত করে।
-
-
পুরস্কার: ১৯৩৬ সালে কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসনের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কারের জন্য।
উৎস: ব্রিটানিকা ও নোবেল পুরস্কার ওয়েবসাইট।
0
Updated: 1 month ago
জীবজগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রশ্মি কোনটি?
Created: 2 months ago
A
আলফা রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
গামা রশ্মি
D
আলট্রাভায়োলেট রশ্মি
জীবজগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর বিকিরণ হলো গামা রশ্মি। কারণ, এর ভেদন ক্ষমতা (penetration power) আলফা ও বিটা রশ্মির তুলনায় অনেক বেশি। গামা রশ্মি এমনকি কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত সীসা (lead) ভেদ করতে সক্ষম।
অন্যদিকে, সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি (Ultraviolet) রশ্মিও ক্ষতিকর হলেও তা গামা রশ্মির মতো প্রাণঘাতী নয়। এর ক্ষতিকর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম।
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য (wavelength) সব ধরনের বিকিরণের মধ্যে সবচেয়ে কম। এজন্যই এর ভেদন ক্ষমতাও সবচেয়ে বেশি। উল্লেখযোগ্যভাবে, পারমাণবিক বিস্ফোরণ থেকে গামা রশ্মি নির্গত হয়, যা পরিবেশ ও জীবজগতের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক।
তুলনামূলকভাবে, আলফা ও বিটা রশ্মি গামা রশ্মির চেয়ে কম ক্ষতিকর, কারণ এগুলোর ভেদন ক্ষমতা সীমিত।
উৎস: NASA (nasa.gov)
0
Updated: 2 months ago
কোন রশ্মি চোখের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর?
Created: 1 month ago
A
রঞ্জন রশ্মি
B
গামা রশ্মি
C
অতিবেগুনি রশ্মি
D
ইনফ্রারেড রশ্মি
অতিবেগুনি, গামা ও এক্স-রশ্মি হলো বিভিন্ন ধরনের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ, যা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এবং শক্তির দিক থেকে ভিন্ন। অতিবেগুনি রশ্মি চোখের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর, কারণ এটি চোখের উপরিভাগের কোষ নষ্ট করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে চোখের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। গামা রশ্মি ও এক্স-রে শক্তিশালী হলেও সাধারণত চোখে সরাসরি ক্ষতি করে না, আর ইনফ্রারেড রশ্মি তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর।
গামা রশ্মি (γ-ray):
-
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻¹¹ m থেকে ছোট।
-
ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কারণে কম্পাঙ্ক এবং শক্তি অত্যন্ত বেশি।
-
দৃশ্যমান আলোর তুলনায় শক্তি প্রায় ৫০,০০০ গুণ বেশি।
-
তেজস্ক্রিয় মৌল এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্গত হয়।
-
প্রাণীর দেহের জন্য ক্ষতিকর।
এক্স রশ্মি (X-ray):
-
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻¹¹ m থেকে 10⁻⁸ m পর্যন্ত।
-
উলহেলম রন্টজেন ১৮৯৫ সালে আবিষ্কার করেন; রঞ্জন রশ্মি নামেও পরিচিত।
-
গামা রশ্মির তুলনায় কম্পাঙ্ক ও শক্তি অপেক্ষাকৃত কম।
-
মানুষের দেহের নরম অংশের মধ্য দিয়ে যেতে পারে, কিন্তু হাড় বা টিউমারজাত শক্ত টিস্যুর মধ্য দিয়ে যায় না।
-
চিকিৎসায় দেহের হাড় এবং টিউমার সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
অতিবেগুনি রশ্মি (Ultraviolet ray):
-
এক্স-রে এবং দৃশ্যমান আলোর মধ্যবর্তী, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻⁸ m থেকে 4×10⁻⁷ m পর্যন্ত।
-
সূর্য রশ্মি প্রধান উৎস।
-
ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
দীর্ঘ সময় পড়লে চোখ ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
0
Updated: 1 month ago