২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মোট কত মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে?
A
৫৪ বিলিয়ন ডলার
B
৬১ বিলিয়ন ডলার
C
৬৭ বিলিয়ন ডলার
D
৭১ বিলিয়ন ডলার
উত্তরের বিবরণ
দেশে আমদানি:
- ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মোট ৬১ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে।
- সব মিলিয়ে সোয়া ১৪ কোটি টন পণ্য আমদানি হয়েছে।
- এনবিআরের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল, দেশীয় শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ দেশে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, এ রকম অনেক পণ্য আমদানি হয়েছে।
উল্লেখ্য,
- ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ৬ হাজার ৫১৪ কোটি ডলারের পণ্য।
0
Updated: 1 month ago
সিপাহী বিদ্রোহ কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
কানপুর
B
ব্যারাকপুর
C
দিল্লি
D
মিরাট
সিপাহী বিদ্রোহ ভারতীয়দের প্রথম জাতীয় সংগ্রাম বা ‘স্বাধীনতা লড়াই’ হিসেবে পরিচিত, যা ব্রিটিশ শাসন অবসানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন হিসেবে ইতিহাসে রেকর্ড আছে। এই বিদ্রোহের বিস্তারিত তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে মঙ্গল পান্ডে নামক একজন সিপাহী প্রকাশ্যে বিদ্রোহ শুরু করেন।
-
ক্রমে এই বিদ্রোহ মিরাট, দিল্লি, বেরলী, ফতেহপুর, কানপুর, বুন্দেল খণ্ড, রোহিলা খণ্ড, এলাহাবাদ, অযোধ্যা, কলকাতা, বিহার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, যশোর, দিনাজপুর প্রভৃতি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
-
বিদ্রোহীরা মোগল সম্রাট ২য় বাহাদুর শাহকে ভারতের বাদশাহ ও বিদ্রোহের নেতা ঘোষণা করে।
-
নানা সাহেব (মারাঠা নেতা), ঝাঁসির রাণি লক্ষ্মীবাঈ, মৌলভী লিয়াকত আলী, মৌলভী আহম্মদ উল্লাহ প্রমুখ বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
-
সিপাহীরা জেলখানা ভেঙ্গে কয়েদিদের মুক্তি, খাজাঞ্চিখানা লুঠ এবং সর্বত্র ব্রিটিশদের আক্রমণ করে।
-
এ লড়াই শুধু সিপাহীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; ভারতের হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সাধারণ জনগণও সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করে।
এ বিদ্রোহের কারণগুলোকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:
-
পরোক্ষ কারণ:
-
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সামরিক অসন্তোষ।
-
-
প্রত্যক্ষ কারণ:
-
১৮৫৬ সালে সেনাবাহিনীতে ‘এনফিল্ড রাইফেল’ প্রচলন।
-
কার্তুজ ব্যবহারের জন্য দাঁতে কেটে ভরা বাধ্যতামূলক করা হতো।
-
গুজব রটে যে কার্তুজে শুকর ও গরুর চর্বি মেশানো আছে।
-
এটি ধর্মনাশের একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে ভারতের হিন্দু-মুসলমান সিপাহীদের মধ্যে দারুণ বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় 'বিকল্প সরকার' বলতে কোনটি কে বোঝানো হয়?
Created: 1 month ago
A
সামরিক সরকার
B
বিরোধী দল
C
সাময়িক তত্ত্বাবধায়ক সরকার
D
ক্যাবিনেট
বিকল্প সরকার হলো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দলকে বোঝানো, যা সরকারের কার্যক্রমে নজরদারি এবং সমালোচনা করে। এটি সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার বা স্বৈরাচার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে বিকল্প সরকার বলতে বিরোধী দলকে বোঝানো হয়।
-
উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরোধী দল সরকারি দলের ন্যায় ছায়া মন্ত্রিসভা গঠন করে।
-
সরকারের স্বৈরাচারি বা দুর্নীতিপরায়ণ হতে প্রতিরোধ করার জন্য, বিরোধী দল ছায়া সরকার বা বিকল্প সরকারের ভূমিকা পালন করে এবং সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
-
বর্তমান সময়ে গণতন্ত্রকে প্রায়শই দলীয় শাসন বলা হয়।
0
Updated: 4 weeks ago
সংবিধানের কোন ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বর্ণিত আছে?
Created: 1 month ago
A
প্রথম ভাগ
B
দ্বিতীয় ভাগ
C
তৃতীয় ভাগ
D
চতুর্থ ভাগ
বাংলাদেশের সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধান আইন ও রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো নির্ধারণকারী দলিল। এটি ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে কার্যকর হয়। সংবিধান মোট ১১টি ভাগ এবং ১৫৩টি অনুচ্ছেদ নিয়ে গঠিত।
-
সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বর্ণিত হয়েছে, যেখানে সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদসহ অন্যান্য মৌলিক দিক নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত।
সংবিধানের ভাগসমূহ:
-
প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
-
দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
-
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
-
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
-
পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
-
ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগ
-
সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
-
অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
-
দশম ভাগ: সংবিধান-সংশোধন
-
একাদশ ভাগ: বিবিধ
0
Updated: 4 weeks ago