প্রকল্প হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক যাত্রা শুরু করে কবে?
A
১৯৭৬ সালে
B
১৯৭৮ সালে
C
১৯৮২ সালে
D
১৯৮৪ সালে
উত্তরের বিবরণ
গ্রামীণ ব্যাংক
-
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস:
-
১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক একটি প্রকল্প হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
-
১৯৮৩ সালের ২ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে চালু হয়।
-
প্রতিষ্ঠাতা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
-
ক্ষুদ্রঋণের ধারণা বাংলাদেশের বাইরে প্রথম মালয়েশিয়ায় চালু হয়।
-
-
মূল উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম:
-
মূলত ভূমিহীন এবং দরিদ্র নারীদের ৫ জনের ক্ষুদ্র দল গঠনের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান।
-
ঋণের মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সমাজের নীচ থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন।
-
৯৮% ঋণগ্রহীতা নারী।
-
নারী ঋণগ্রহীতাদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি দারিদ্র্য বিমোচন এবং উন্নত জীবনে অগ্রগতি।
-
সেগমেন্ট: ভিক্ষুকদের জন্য সুদ-মুক্ত ঋণ প্রদান।
-
-
সাফল্য ও স্বীকৃতি:
-
ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও প্রান্তিক দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ।
-
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প শুরু হয়েছিল চট্টগ্রাম জেলার জোবরা গ্রামে।
-
ব্যাংকের নীতিমালা ও কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে ইউনূসের গবেষণা ও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তৈরি।
-
উৎস: গ্রামীণ ব্যাংক ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
খাসিয়া গ্রামগুলো কী নামে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
পাড়া
B
পুঞ্জি
C
মৌজা
D
মাহাতো
খাসিয়া জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে বসবাসরত একটি মাতৃতান্ত্রিক নৃগোষ্ঠী, যা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। এদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য, সামাজিক কাঠামো ও ধর্মীয় জীবন তাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে পরিচিত।
-
জাতিগত শ্রেণি: মাতৃতান্ত্রিক নৃগোষ্ঠী, মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
শারীরিক বৈশিষ্ট্য: গাত্রবর্ণ হরিদ্রাভ, নাক-মুখ চ্যাপ্টা, চোয়াল উঁচু, ছোট টানা কালো চোখ, খর্বকায়।
-
অভিবাসন: প্রায় পাঁচ শতাব্দী আগে আসাম থেকে বাংলাদেশে আগমন।
-
গ্রাম ও নেতৃত্ব: গ্রামের নাম পুঞ্জি, পুঞ্জিপ্রধানকে সিয়েম বলা হয়।
-
বাংলাদেশে বসতি: উত্তরপূর্ব সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।
-
ভারতে বসতি: মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশ।
-
ধর্ম: বর্তমান শতকরা ৮০-৯০ ভাগ খাসিয়া খ্রিস্টান।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করবেন?
Created: 1 month ago
A
১৫ নং
B
১৭ নং
C
১৮ক নং
D
১৯ নং
বাংলাদেশের সংবিধান নাগরিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানা ধারা নির্ধারণ করেছে। সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকবে।
১৯ নং অনুচ্ছেদের উপবিভাগসমূহ:
-
১৯(১): রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন।
-
১৯(২): সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য দূরীকরণ, সম্পদের সুষম বণ্টন এবং দেশের সর্বত্র সমান স্তরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
-
১৯(৩): জাতীয় জীবনের প্রতিটি স্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।
অন্য অনুচ্ছেদসমূহের উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
১৫ নং অনুচ্ছেদ: মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
-
১৭ নং অনুচ্ছেদ: অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা।
-
১৮ক নং অনুচ্ছেদ: পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদের ক্ষমতা বর্ণিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৬৫ নং অনুচ্ছেদ
B
৬৬ নং অনুচ্ছেদ
C
৬৭ নং অনুচ্ছেদ
D
৬৮ নং অনুচ্ছেদ
জাতীয় সংসদ ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা (সংবিধান, অনুচ্ছেদ ৬৫)
জাতীয় সংসদের গঠন ও কার্যক্ষমতা:
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, “জাতীয় সংসদ” নামে একটি একক সংসদ থাকবে।
-
এই সংসদের উপর প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত সকল ক্ষমতা ন্যস্ত থাকবে।
-
সংবিধানের পঞ্চম ভাগে জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলীর বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
আইন প্রণয়নের ক্ষমতা:
-
আইন প্রণয়নের একক এখতিয়ার জাতীয় সংসদের হাতে রয়েছে।
-
সংসদের আইন দ্বারা যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন বা আইনগত কার্যকরতার চুক্তিপত্র প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হলেও, সংসদ নিজে এই ক্ষমতা থেকে মুক্ত নয়।
-
আইন প্রণয়নের পাশাপাশি সংসদ সংবিধান সংশোধন, নতুন আইন প্রণয়ন এবং পুরাতন আইন বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
জাতীয় সংসদ দেশের প্রধান আইনসভা, যা সংবিধানের বিধান অনুযায়ী দেশের আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ।
-
আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংসদ সংবিধানের মৌলিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখে।
-
প্রয়োজনে সংসদ সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং প্রয়োজনে গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
উপসংহার:
সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের আইন প্রণয়নের একমাত্র সংবিধিবদ্ধ ক্ষমতাধারী প্রতিষ্ঠান, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা, শাসন ও প্রশাসন কার্যক্রমের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
0
Updated: 1 month ago