ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডকে একত্রিত করে কোন ব্যাংক গঠিত হয়?
A
যমুনা ব্যাংক
B
পূবালী ব্যাংক
C
জনতা ব্যাংক
D
রূপালী ব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
জনতা ব্যাংক পিএলসি
-
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভাঙা আর্থিক ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
-
এই প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য পূর্বে পরিচালিত বেশ কয়েকটি ব্যাংককে একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
-
১৯৭২ সালে ব্যাংক জাতীয়করণ আদেশ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২৬) এর অধীনে পূর্ববর্তী ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডকে একত্রিত করে জনতা ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
⇒ ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর জনতা ব্যাংক জয়েন্ট স্টক রেজিস্ট্রারের সাথে নিবন্ধিত হয়ে জনতা ব্যাংক লিমিটেড নামে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়।
-
কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর ২০২০ সংশোধনীর আওতায় ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে জনতা ব্যাংক পিএলসি রাখা হয়।
-
বর্তমান চেয়ারম্যান: জনাব এম. ফজলুর রহমান।
উৎস: জনতা ব্যাংক পিএলসি ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা
B
সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়
C
অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বর প্রতি সম্মান প্রদর্শন
D
অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা
পররাষ্ট্রনীতি হলো কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের গ্রহণকৃত নীতি, যা রাষ্ট্র তার জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে অনুসরণ করে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা এবং সাবভৌমত্ব রক্ষাকে কেন্দ্র করে তৈরি।
-
প্রধান লক্ষ্য: বহিঃশক্তির প্রভাব থেকে দেশের সাবভৌমত্ব ও ভূখণ্ড রক্ষা করা।
-
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতিসমূহ:
১. সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়:
-
বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। তাই কোনো বৃহৎ শক্তির পক্ষাভিমুখী না হয়ে, অন্যটির বিরাগভাজন হতে চায় না। দেশের ইতিহাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর, বাংলাদেশ চায় না যে সে কোনো বৃহৎ শক্তির খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
২. অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান:
-
জাতিসংঘ সনদের ২(৪) ধারার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
৩. অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা:
-
জাতিসংঘ সনদের ২(৭) ধারার উপর ভিত্তি করে। ২ ও ৩ নম্বর মূলনীতি দু’টি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় আচরণের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে।
৪. বিশ্ব শান্তি:
-
বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী।
-
যে কোনো বিবাদ শান্তিপূর্ণ উপায়ে মীমাংসা করা।
-
আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন শান্তিপূর্ণভাবে ঘটবে।
-
বাংলাদেশ কখনও বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রের শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি প্রদর্শন করবে না।
-
পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
১. আত্বরক্ষা
২. অর্থনৈতিক অগ্রগতি
৩. জাতীয় শক্তি রক্ষা ও প্রয়োজনমতো বৃদ্ধি
৪. নিজস্ব মতবাদে দৃঢ় থাকা
৫. জাতীয় মর্যাদা বৃদ্ধি
দ্রষ্টব্য: সামরিক শক্তি বৃদ্ধি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত নয়।
0
Updated: 1 month ago
কে ইলিয়াস শাহকে 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ' উপাধিতে ভূষিত করেন?
Created: 1 month ago
A
সম্রাট আকবর
B
ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ
C
শামস-ই-সিরাজ আফীফ
D
ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহ
শামস-ই-সিরাজ আফীফ ইলিয়াস শাহকে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যা বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি। সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ এবং তাঁর শাসনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা করলেও, সুলতানি যুগের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
-
তিনি দুই বাংলার সমগ্র সীমানা একত্রিত করে ‘বাঙ্গালাহ’ নামটি প্রচলিত করেন।
-
তাঁর রাজত্বকালে বাঙালিরা সর্বপ্রথম একটি জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
-
এ সময় বাংলার লোকেরা বাঙালি হিসেবে পরিচিত হয়।
-
ঐতিহাসিকরা তাঁকে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
-
ইলিয়াস শাহ ১৬ বছর রাজত্ব করার পর ১৩৫৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
-
১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের পুত্র ও সোনারগাঁও-এর শাসক ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহকে পরাজিত করে পূর্ব বঙ্গে রাজ্য সম্প্রসারণ করেন।
-
লখনৌতি, সাতগাঁও এবং সোনারগাঁও অধিকার করে ইলিয়াস শাহ সমগ্র বাংলার একচ্ছত্র অধিপতির মর্যাদা লাভ করেন।
-
এর আগে এই বিরল গৌরব কোনো মুসলিম শাসক অর্জন করতে পারেননি।
-
এই কারণে ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ এবং ‘সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ?
Created: 1 month ago
A
ঋণ নিয়ন্ত্রণ
B
সঞ্চয় স্থানান্তর
C
ঋণ প্রদান
D
আমানত গ্রহণ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক:
- প্রতিটি দেশে বাধ্যতামূলকভাবে একটি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে মুদ্রা বাজার এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থেকে এসকল কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকে। এটিকে সরকারের ব্যাংক বলে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্য ছাড়া অর্থ ও মূদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা, ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্ব অপরিসীম। সৃষ্টির পর থেকেই মুদ্রা প্রচলন, অর্থ সরবরাহ এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক পালন করে আসছে।
- বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
⇒ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি:
- মুদ্রা প্রচলন।
- মুদ্রার মুল্যমান সংরক্ষণ।
- মুদ্রা বাজার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ।
- ঋণ নিয়ন্ত্রণ।
- রিজার্ভ সংরক্ষণ।
- বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণ।
- বৈদেশিক মূদ্র্য ও বিনিময় নিয়ন্ত্রণ।
- সরকারের উপদেষ্টা ও প্রতিনিধি।
- সরকারের আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
উৎস: ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago