অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৪ অনুসারে, টাকার অঙ্কে কোন দেশ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে?
A
ভারত
B
চীন
C
যুক্তরাষ্ট্র
D
জার্মানি
উত্তরের বিবরণ
দেশভিত্তিক আমদানি (বাংলাদেশ – অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী)
আমদানি রিপোর্ট
-
চীন: ১২,৫৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৮.৪৬%)
-
ভারত: ৫,৯১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৩.৪২%)
-
যুক্তরাষ্ট্র: ১,৯৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪.৫১%)
-
মালয়েশিয়া: ১,৪৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩.৩৬%)
-
সিঙ্গাপুর: ১,৩৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩.১৫%)
-
জাপান: ১,৩৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩.০৫%)
-
দক্ষিণ কোরিয়া: ৭৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১.৭০%)
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয় চীন থেকে।
-
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি হয় ভারত থেকে।
-
আমদানির ক্ষেত্রে ট্যারিফ অপারেটিভ ধাপ: ৬টি।
-
সর্বোচ্চ শুল্কহার: ২৫%।
-
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) ভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরবর্তী ৩ বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার আন্তর্জাতিক প্রচারণায় কোন শিল্পী বিশেষ ভূমিকা রাখেন?
Created: 1 month ago
A
জর্জ হ্যারিসন
B
জন লেনন
C
বব মার্লে
D
এলভিস প্রিসলি
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের খবর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসন বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
কনসার্ট ফর বাংলাদেশ:
-
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয় ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।
-
৪০ হাজারের বেশি মানুষ এই কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন।
-
যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী জর্জ হ্যারিসন এই কনসার্ট আয়োজন করেন এবং প্রাপ্ত অর্থ মুজিবনগর সরকারের কাছে তুলে দেন।
-
ভারতের খ্যাতিমান সেতারবাদক রবি শঙ্কর কনসার্ট আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন এবং তিনি মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে উজ্জীবিত করেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
কনসার্টের আয়োজকদের মধ্যে রবি শঙ্কর অন্যতম।
-
বাংলাদেশের জনগণের সাহায্যার্থে রবি শঙ্কর প্রথম যোগাযোগ করেন বিটলসের সদস্য জর্জ হ্যারিসনের সঙ্গে।
-
১৯৭১ সালের ১লা আগস্টের কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন পপ সঙ্গীতের সুপারস্টার বব ডিলান, জর্জ হ্যারিসন এবং এরিক ক্ল্যাপটন সহ আরও বিশিষ্ট শিল্পীরা।
0
Updated: 1 month ago
জেনারেল এরশাদের আমলে কোন সংসদে অষ্টম সংশোধনী পাস হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
তৃতীয় সংসদ
B
চতুর্থ সংসদ
C
পঞ্চম সংসদ
D
ষষ্ঠ সংসদ
বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী (১৯৮৮)
-
সংসদে উত্থাপন: ১১ মে, ১৯৮৮
-
উত্থাপনকারী: সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ
-
সংসদে গৃহীত: ৭ জুন, ১৯৮৮
-
রাষ্ট্রপতির সম্মতি: ৯ জুন, ১৯৮৮
মূল বিষয়বস্তু:
-
ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা: বাংলাদেশে ইসলামকে সরকারি ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
হাইকোর্টের আঞ্চলিক বেঞ্চ স্থাপন: বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর ও সিলেটে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন।
-
বিদেশি উপাধি গ্রহণে নিয়ন্ত্রণ: কোনো নাগরিক রাষ্ট্রপতির অনুমতি ব্যতীত বিদেশ থেকে উপাধি গ্রহণ করতে পারবে না।
-
রাজধানী ও ভাষার বানান সংশোধন:
-
রাজধানী Dacca → Dhaka
-
বাংলা ভাষা English: Bengali → Bangla
-
সংক্ষেপে, অষ্টম সংশোধনী ধর্মীয় স্বীকৃতি, বিচারিক কাঠামো, বিদেশি উপাধি নিয়ন্ত্রণ এবং সাংস্কৃতিক-ভাষাগত বানান সংশোধনের জন্য গৃহীত হয়।
0
Updated: 1 month ago
মারমাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম -
Created: 1 month ago
A
রাশ
B
বিজু
C
বাইশু
D
সাংগ্রাই
মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব হলো সাংগ্রাই, যা মূলত তাদের বর্ষবরণ উৎসব। এটি শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং তাদের সামাজিক ঐতিহ্য ও পারস্পরিক সম্প্রীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ।
মারমা ও সাংগ্রাই উৎসব সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
মারমা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী সম্প্রদায়।
-
তাদের বসবাসের মূল এলাকা হলো রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি — এই তিন পার্বত্য জেলা।
-
তারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যা ভোট বর্মী শাখার বর্মী দলভুক্ত।
-
মারমা সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন স্তরের প্রথাগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিদ্যমান:
-
গ্রাম পর্যায়ের প্রধানের পদবী কারবারি,
-
মৌজা পর্যায়ের প্রধান হেডম্যান,
-
সার্কেলের প্রধান রাজা।
-
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংগ্রাই, যা এসেছে ‘সাক্রাই’ শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘সংক্রান্তি’।
-
সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালিত হয়।
-
সাংগ্রাইয়ের মূল আকর্ষণ হলো ‘পানিখেলা’ বা জলোৎসব, যেখানে নৌকা বা বড় পাত্রে পানি রেখে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে আনন্দ করে।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্ষবরণ উৎসবের আলাদা আলাদা নাম থাকলেও, এই তিন বড় নৃগোষ্ঠীর উৎসবকে একত্রে বৈসাবি বলা হয়।
-
ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব: বৈসুখ/বৈসু/বাইশু
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসব: সাংগ্রাই
-
চাকমাদের বর্ষবরণ উৎসব: বিজু
এই তিনটি উৎসব একত্রে বৈসাবি নামে পরিচিত। সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় উৎসবটি পালিত হয়।
অন্যদিকে, মণিপুরিদের প্রধান উৎসব হলো রাস, যা শরতের পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 1 month ago