বাংলাদেশের বার্ষিক বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ নির্ধারণকারী সংস্থা কোনটি?
A
বিশ্বব্যাংক
B
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
C
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম
D
বাংলাদেশ ব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের বার্ষিক বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ নির্ধারণকারী সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম।
BDF:
- BDF-এর পূর্ণরূপ- Bangladesh Development Forum.
- বিডিএফ হলো বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী বা দাতাদের একটি ফোরাম ১৯৭৪ সালে গঠিত হয়।
- তখন এর নাম ছিলো বাংলাদেশ এইড গ্রুপ।
- ১৯৯৭ সালে এর নাম হয় 'প্যারিস কনসোর্টিয়াম গ্রুপ' এবং ২০০২ সালে এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম।
- প্রথমদিকে এর বৈঠক প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলেও ২০০৩ সাল থেকে এর বৈঠক নিয়মিতভাবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
- বিশ্বব্যাংক এই ফোরামের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে।
উৎস: i) প্রথম আলো।
ii) Economic Relations Division ওয়েবসাইট।
0
Updated: 1 month ago
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হচ্ছে -
Created: 1 month ago
A
যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাবলী সম্পর্কে একমত পোষণ করে।
B
যারা সরকারের নীতি নির্ধারণ করে।
C
যারা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
D
যারা রাজনৈতিক একক হিসেবে কাজ করে।
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি সংস্থা যা সরকারি নীতিমালা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। এগুলি সাধারণত কিছু সংখ্যক ব্যক্তি বা সদস্য নিয়ে গঠিত, যারা সাধারণ স্বার্থ বা লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। অনেকে এই ধরনের গোষ্ঠীকে স্বার্থকামী গোষ্ঠী বলেও অভিহিত করেন।
-
রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ভূমিকা:
-
রাজনৈতিক দলের ন্যায় চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী প্রতিটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ।
-
একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার সামগ্রিক প্রক্রিয়া বোঝার জন্য চাপ-সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর গঠন, আকৃতি-প্রকৃতি ও ভূমিকা বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
-
-
সংজ্ঞা অনুযায়ী:
-
এটি সাধারণ স্বার্থে আবদ্ধ বেসরকারি লোকের সমন্বয়ে গঠিত।
-
আইনসভার বাইরে থেকে সরকারি নীতিমালা প্রভাবিত করে সদস্যদের স্বার্থ ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য তৎপরতা চালায়।
-
-
উল্লেখযোগ্য মত: অধ্যাপক মাইনর ওয়েনার অনুযায়ী, চাপ সৃষ্টিকারী বা স্বার্থকামী গোষ্ঠী হলো এমন একটি গোষ্ঠী যা সরকারি নীতিমালা প্রভাবিত করতে চায়।
0
Updated: 4 weeks ago
সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে কোন সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন হয়?
Created: 1 month ago
A
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার
B
সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা
C
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
D
সামরিক সরকার
দ্বাদশ সংশোধনী বাংলাদেশের সংবিধানিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা দেশের সরকার ব্যবস্থা পুনরায় সংসদীয় কাঠামোয় ফিরিয়ে আনে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধান নির্বাহীর ভূমিকা স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও দৃঢ় করা হয়।
-
দ্বাদশ সংশোধনী আইন পাস হয় ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট।
-
এর মাধ্যমে সংবিধানের ৪৮, ৫৫, ৫৬, ৫৮, ৫৯, ৬০, ৭০, ৭২, ১০৯, ১১৯, ১২৪, ১৪১ক ও ১৪২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়।
-
সংশোধনীর মূল বিষয়বস্তু:
-
সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন; রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান,
-
প্রধানমন্ত্রী হন রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ জাতীয় সংসদের কাছে দায়বদ্ধ।
-
-
উপ-রাষ্ট্রপতির পদ বিলোপ করা হয়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটে।
-
সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্থানীয় সরকার কাঠামোয় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়, যা দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় করে।
0
Updated: 1 month ago
পাকিস্তানের গণপরিষদে সর্বপ্রথম কে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেন?
Created: 1 month ago
A
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
B
এ. কে. ফজলুল হক
C
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
D
প্রফেসর আবুল কাশেম
১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার কংগ্রেস দলীয় গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকেও গণপরিষদের ভাষা হিসেবে ব্যবহারের দাবি উত্থাপন করেন।
-
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সর্বপ্রথম পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব তোলেন।
-
তিনি সরকারি কাগজে বাংলা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন।
-
২৩ ফেব্রুয়ারি করাচিতে গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হলে, ২৫ ফেব্রুয়ারি অধিবেশনে তিনি সর্বপ্রথম বাংলা রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সোচ্চার হন।
-
অধিবেশনে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, গণপরিষদে কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুতে লেখা হয়, অথচ সমগ্র পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন।
-
তিনি ইংরেজি ও উর্দুর সঙ্গে বাংলারও ব্যবহার দাবী করেন।
-
উল্লেখযোগ্য, বাংলা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা, তাই রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা পাওয়া স্বাভাবিক ছিল।
-
তবে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং উর্দুভাষী বুদ্ধিজীবীরা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন এবং বাংলার দাবিকে উপেক্ষা করা হয়।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago