কত সালে দেশে বীমা শিল্পকে জাতীয়করণ করা হয়?
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
বীমা জাতীয়করণ:
- বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে বীমা শিল্পকে জাতীয়করণ করা হয়।
উল্লেখ্য,
- ১৯৭২ সালের ২৬শে মার্চ Bangladesh Insurance (Emergancy Provision) Order, 1972 জারি করা হয়।
- এতে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনটি বাংলাদেশের বীমা আইন বলে বিবেচিত হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
- পরবর্তীতে একই সালের ৮ই আগস্ট রাষ্ট্রপতির ৯৫ নং আদেশ বলে তৎকালিন ৭৫টি বীমা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করে প্রথমে ৫টি সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যথা- ১. বাংলাদেশ জাতীয় বীমা কর্পোরেশন, ২. কর্ণফুলী বীমা কর্পোরেশন, ৩. তিস্তা বীমা কর্পোরেশন, ৪. সুরমা জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং ৫. রূপসা জীবন বীমা কর্পোরেশন।
- অতপর ১৯৭৩ সালের ১৪ই মে বীমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ (Insurance Corporation Ordinance, 1973) ঘোষণার মধ্য দিয়ে ৫টি বীমা সংস্থাকে ২টি সংস্থার অধীনে আনা হয়, যথা- ১। জীবন বীমা কর্পোরেশন ও ২। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন।
- ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ব বীমা কর্পোরেশনের পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানায় বীমা ব্যবসার অনুমতি দেয়া হয়।
- বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর বেসরকারী বীমা ব্যবসা চালু আছে।
উৎস: ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ ২য় পত্র, এইচ এস সি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা কত?
Created: 1 month ago
A
৫২টি
B
৫০টি
C
৪৮টি
D
৪৫টি
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তথ্য দেশে তাদের সংখ্যাগত অবস্থান ও বিস্তারের একটি পরিষ্কার চিত্র প্রদান করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
দেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা: ৫০টি।
-
বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (জনসংখ্যা অনুযায়ী): চাকমা।
-
দ্বিতীয় বৃহত্তম: মারমা (২,২৪,২৯৯ জন)
-
তৃতীয় বৃহত্তম: ত্রিপুরা (১,৫৬,৬২০ জন)
-
সবচেয়ে ছোট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী: ভিল (৯৫ জন)
-
জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা: রাঙ্গামাটি (৩,৭২,৮৭৫ জন)
-
জেলা পর্যায়ে সর্বনিম্ন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা: লালমনিরহাট (১১৮ জন)
0
Updated: 1 month ago
২০২৫ সালে কতজন ব্যক্তিকে একুশে পদক দেওয়া হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯ জন
B
১৭ জন
C
১৫ জন
D
১২ জন
একুশে পদক বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা, যা ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য প্রদান করা হয়। ২০২৫ সালে মোট ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে এই পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
-
ক্রীড়া: বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল
-
গবেষণা: মঈদুল হাসান (মূলধারা ৭১-এর রচয়িতা)
-
ভাষা ও সাহিত্য: শহীদুল জহির (মরণোত্তর), হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর)
-
সংস্কৃতি ও শিক্ষা: ড. শহীদুল আলম
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: মেহেদী হাসান খান, রিফাত নবী, মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম, শাবাব মুস্তাফা
-
সাংবাদিকতা: মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর)
-
সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার: মাহমুদুর রহমান
-
শিল্পকলার চলচ্চিত্র: আজিজুর রহমান
-
সংগীত: উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া, ফেরদৌস আরা
-
আলোকচিত্র: নাসির আলী মামুন
-
চিত্রকলা: রোকেয়া সুলতানা
-
শিক্ষা: ড. নিয়াজ জামান
-
সমাজসেবা: মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরি
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘ সনদের কত নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শান্তিরক্ষী বাহিনী বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করে?
Created: 1 month ago
A
৩৯ নং
B
৪৪ নং
C
৪৬ নং
D
৪৯ নং
শান্তিরক্ষী বাহিনী (Peacekeeping Forces) জাতিসংঘের মূল শান্তি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমের অংশ।
-
জাতিসংঘ সনদের রচয়িতা: আর্চিবাল্ড ম্যাকলিশ (Archibald Macleish)
-
সনদ: অধ্যায়-১৯, মোট ১১১টি অনুচ্ছেদ
প্রধান কার্যক্রম:
-
নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী জাতিসংঘ মহাসচিবের তত্ত্বাবধানে শান্তিরক্ষী মিশন পরিচালিত হয়
-
সনদের ৪৩ ও ৪৪ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজ করে:
-
বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমন
-
যুদ্ধবিরতি চুক্তি তদারকি
-
কার্যকর স্থিতাবস্থা বজায় রাখা
-
-
প্রথম শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু: ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে, জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে
সম্পর্কিত ধারাসমূহ:
-
ধারা ৩৯: শান্তির প্রতি হুমকি, শান্তিভঙ্গ বা আক্রমণাত্মক কার্য নির্ধারণ নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব
-
ধারা ৪৬: সামরিক বাহিনী নিয়োগ ও পরিকল্পনা নিরাপত্তা পরিষদের নেতৃত্বে, সামরিক স্টাফ কমিটির সহায়তায় সম্পন্ন হবে
-
ধারা ৪৯: শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সদস্য রাষ্ট্রদের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান বাধ্যতামূলক
0
Updated: 1 month ago