যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই সেখানে নিকাশ ঘরের দায়িত্ব পালন করে -
A
অগ্রণী ব্যাংক
B
সোনালী ব্যাংক
C
রূপালী ব্যাংক
D
জনতা ব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
নিকাশ ঘর
-
নিকাশ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে দেনা-পাওনা সহজে নিষ্পত্তি করা যায়।
-
এজন্য বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট সময়ে একটি স্থানে একত্রিত হয়ে নেতা ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আদিষ্ট চেক, ড্রাফট ইত্যাদি দলিল বিনিময় করেন।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
ব্যাংক ব্যবস্থার শুরুতে দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চালু ছিল না।
-
১৯৩৫ সালে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠার পূর্বে এ অঞ্চলে ইম্পেরিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে নিকাশ কার্য সম্পন্ন হতো।
-
স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে নিকাশ ব্যবস্থার দায়িত্ব গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বর্তমান অবস্থা:
-
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৬টি জেলা শহরে নিকাশ ঘর পরিচালনা করছে।
-
এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি ৪টি কেন্দ্র পরিচালনা করে।
-
যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই, সেখানে সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের হয়ে নিকাশ ঘরের দায়িত্ব পালন করে (১২টি কেন্দ্র)।
📌 উৎস:
i) বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়েবসাইট
ii) ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সংবিধানের প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বিষয়টি কত নং অনুচ্ছেদে সন্নিবেশ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১১১ নং
B
১১৩ নং
C
১১৭ নং
D
১১৯ নং
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (অনুচ্ছেদ ১১৭)
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগের তৃতীয় পরিচ্ছেদে ১১৭ নং অনুচ্ছেদে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিষয়বস্তু উল্লেখ রয়েছে।
১১৭ (১) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠনের উদ্দেশ্য:
সংসদ আইনের মাধ্যমে এক বা একাধিক প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে:
-
সরকারি চাকরির শর্ত ও শাস্তি: সংবিধানের নবম ভাগে বর্ণিত বিষয় এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের চাকরির শর্ত, যেমন জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তি।
-
রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ বা সরকারি কর্তৃপক্ষ: এ ধরনের উদ্যোগ বা কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, চাকরি বিষয়ক বিষয় এবং সরকারের মালিকানাধীন বা পরিচালিত সম্পত্তির ক্রয়, প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও বণ্টন।
-
আইনের বিষয়: সংবিধানের ১০২(৩) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত কোনো আইনের বিষয়।
১১৭ (২) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা:
-
যদি কোনো প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়, তবে তার এখতিয়ারের আওতাভুক্ত বিষয়ে অন্য কোনো আদালত মামলা গ্রহণ বা আদেশ দিতে পারবে না।
-
তবে সংসদ আইনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা বা আপিলের ব্যবস্থা করতে পারে।
উল্লেখযোগ্য:
-
ষষ্ঠ ভাগে মোট ৩টি পরিচ্ছদ রয়েছে:
-
১ম পরিচ্ছদ: সুপ্রীম কোর্ট (অনুচ্ছেদ ৯৪–১১৩)
-
২য় পরিচ্ছদ: অধস্তন আদালত (অনুচ্ছেদ ১১৪–১১৬)
-
৩য় পরিচ্ছদ: প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (অনুচ্ছেদ ১১৭)
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা কে?
Created: 1 month ago
A
প্রধান বিচারপতি
B
অ্যাটর্নি জেনারেল
C
আইনমন্ত্রী
D
স্পিকার
অ্যাটর্নি জেনারেল:
- বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল।
- তিনি আইনগত দিক নিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে আদালতে বক্তব্য পেশ করেন।
- বাংলাদেশ সংবিধানের চতুর্থ ভাগে নির্বাহী বিভাগের ৫ম পরিচ্ছেদে ৬৪নং অনুচ্ছেদে অ্যাটর্নি জেনারেল পদের কথা উল্লেখ রয়েছে।
⇒ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক হবার যোগ্য কোন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি এটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগদান করবেন।
- রাষ্ট্রপতির সন্তোষানুযায়ী সময়সীমা পর্যন্ত এটর্নি জেনারেল স্বীয় পদে বহাল থাকবেন এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত পারিশ্রমিক লাভ করবেন।
- বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করতে পারবেন।
- বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের ন্যায় মর্যাদা ভোগের অধিকারী হবেন।
⇒ অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি:
- অ্যাটর্নি-জেনারেল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
- অ্যাটর্নি-জেনারেলের দায়িত্বপালনের জন্য বাংলাদেশের সকল আদালতে তাঁর বক্তব্য পেশ করার অধিকার থাকবে।
- বাংলাদেশ সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য,
- দেশের বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট তিনি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
উৎস: i) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ওয়েবসাইট।
ii) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
0
Updated: 1 month ago
পাকিস্তানি সেনাদের পরিকল্পিত অভিযানের অংশ ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এ ঢাকা শহরে গণহত্যা পরিচালনার মূল দায়িত্ব কার ওপর অর্পিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
খাদিম হোসাইন রাজা
B
লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান
C
আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী
D
মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
অপারেশন সার্চলাইট (২৫ মার্চ ১৯৭১)
পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধান:
-
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এই অপারেশন চালানোর পরিকল্পনা করেন জেনারেল খাদিম হোসাইন রাজা।
-
ঢাকায় গণহত্যা ও সুনির্দিষ্ট অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী-কে।
-
সার্বিক তত্ত্বাবধান ছিলেন গভর্নর লে. জেনারেল টিক্কা খান।
ঢাকায় কার্যক্রম:
-
ঢাকা শহরের পিলখানা ইপিআর হেডকোয়ার্টার্স ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পাকিস্তানি সেনাদের দখলে নেওয়া।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমণ।
-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা।
-
টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, রেডিও-টেলিভিশন, স্টেট ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিয়ন্ত্রণ।
-
আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতার।
-
শহরের যাতায়াত ব্যবস্থা ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ঢাকার বাইরে কার্যক্রম:
-
রাজশাহী, যশোর, খুলনা, রংপুর, সৈয়দপুর, কুমিল্লা-তে সেনা, ইপিআর, আনসার ও পুলিশের বাঙালি সদস্যদের নিরস্ত্র করা।
-
চট্টগ্রাম বন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখল রাখা।
-
ঢাকার বাইরে প্রধান দায়িত্ব পান মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা।
উপসংহার:
অপারেশন সার্চলাইট ছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা পরিকল্পিতভাবে চালানো এক সুনির্দিষ্ট ও সামরিক গণহত্যা অভিযান, যার মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সেনা ও পুলিশের বাঙালি সদস্যদের উপর দমন চালানো হয়েছিল।
0
Updated: 1 month ago