বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল কোন দেশ? [আগস্ট, ২০২৫]
A
কুয়েত
B
সৌদি আরব
C
কাতার
D
সংযুক্ত আরব আমিরাত
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল
-
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।
-
এর মধ্যে সর্বাধিক গন্তব্য সৌদি আরব → মোট নারী অভিবাসীর ৭২%।
অন্যান্য প্রধান গন্তব্যস্থল:
-
জর্ডান → ১৮%
-
কাতার → ৮%
-
কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত → ১% করে
📌 উৎস: বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (BMET)।
0
Updated: 1 month ago
রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য কী?
Created: 1 month ago
A
জনসেবা
B
সরকার গঠন
C
আন্দোলন করা
D
সামাজিক সেবা প্রদান
রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জন ও সরকার গঠন করা, যাতে নিজেদের নীতিমালা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যায়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এই প্রক্রিয়া দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
রাষ্ট্রক্ষমতা লাভ ও সরকার গঠন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য।
-
আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দলগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে এবং নিজেদের মতাদর্শ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
-
ক্ষমতায় থাকা দল নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকে।
-
বিরোধী দলগুলো শাসক দলের ব্যর্থতা তুলে ধরার মাধ্যমে জনমত গঠন করে এবং নিজেদের আদর্শের ভিত্তিতে ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা চালায়।
-
এভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া কার্যকর হয়।
0
Updated: 1 month ago
জুলাই ঘোষণাপত্রে কয়টি দফা রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
২০টি
B
২২টি
C
২৪টি
D
২৮টি
জুলাই ঘোষণাপত্র
-
জুলাই ঘোষণাপত্র হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের একটি দলিল, যার মাধ্যমে ওই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
-
৫ই আগস্ট, ২০২৫, রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন।
-
ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের নিরন্তর সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা।
-
এতে মোট ২৮টি দফা রয়েছে, যা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি দফার সারাংশ:
১. ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও গণপ্রতিরোধের ইতিহাস।
২. জাতীয় মুক্তির মূলনীতি—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার।
৩. ১৯৭২ সালের সংবিধানের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
৪. বাকশাল ও একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর বিপ্লব।
৫. সামরিক স্বৈরতন্ত্রবিরোধী ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব।
৬. ১/১১ ষড়যন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হওয়া।
৭. বিগত ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের চিত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার।
৮. গণহত্যা, গুম-খুন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং প্রতিষ্ঠান ধ্বংস।
৯. বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও মাফিয়া রাষ্ট্রে রূপান্তরের অভিযোগ।
১০. দুর্নীতি, ব্যাংক লুট ও পরিবেশবিনাশের চিত্র।
১১. জনগণের ওপর দীর্ঘ দমনপীড়নের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম।
১২. বিদেশী আধিপত্যবিরোধী আন্দোলন দমন ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন।
১৩. তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা।
১৪. বৈষম্যমূলক নিয়োগ নীতি ও তরুণদের প্রতি নিপীড়নের অভিযোগ।
১৫. নিপীড়নের ফলে জনরোষ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের উত্থান।
১৬. কোটা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্বরতা।
১৭. নারী-শিশুসহ এক হাজারের বেশি মানুষ হত্যার অভিযোগ।
১৮. ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের প্রেক্ষাপট।
১৯. গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা।
২০. ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আইনি ভিত্তি।
২১. ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ।
২২. সুশাসন, আইনের শাসন ও সাংবিধানিক সংস্কারে জনগণের প্রতিশ্রুতি।
২৩. গুম-খুন, গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের ঘোষণা।
২৪. আন্দোলনকারীদের সুরক্ষা ও শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা।
২৫. অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ।
২৬. জলবায়ু ও পরিবেশসহ টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
২৭. ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান।
২৮. ঘোষণাপত্রকে গণঅভ্যুত্থান বিজয়ের চূড়ান্ত দলিল হিসেবে ঘোষণা।
তথ্যসূত্র: জুলাই ঘোষণাপত্র
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে 'কাস্টিং ভোট' সম্পর্কে বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৭১ নং
B
৭২ নং
C
৭৩ নং
D
৭৫ নং
কাস্টিং ভোট (Casting Vote) হলো সংসদে স্পীকারের বিশেষ ভোটাধিকার, যা সংবিধানের ৭৫ (১) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রযোজ্য।
-
সংসদে কোনো বিষয়ে দুই পক্ষের ভোট সমান হলে স্পীকার নিজের ভোট প্রয়োগ করে সংসদের অচলাবস্থা দূর করেন।
-
অন্যভাবে বলতে গেলে, কোনো বিলের ভোটাভুটিতে যখন পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট পড়ে, তখন স্পীকার তার নির্ণায়ক ভোট প্রয়োগ করেন।
-
সাধারণ ক্ষেত্রে স্পীকার নিজের ভোটাধিকার ব্যবহার করতে পারেন না; কেবল সমসংখ্যক ভোটের অবস্থায়ই এটি প্রযোজ্য।
-
এই বিশেষ ভোটকে ‘কাস্টিং বা নির্ণায়ক ভোট’ বলা হয়।
অন্য সংবিধানিক প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ:
-
৭১ নং অনুচ্ছেদ: দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা
-
৭২ নং অনুচ্ছেদ: সংসদের অধিবেশন
-
৭৩ নং অনুচ্ছেদ: সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী
উৎস:
0
Updated: 1 month ago