ট্রোজান হর্স কী?
A
একটি ভাইরাস যা শুধুমাত্র হার্ডওয়্যারের ক্ষতি করে
B
একটি ভাইরাস যা আপনার কম্পিউটারকে রক্ষা করে
C
একটি ভাইরাস যা বৈধ সফটওয়্যার হিসেবে ছদ্মবেশে থাকে
D
একটি ভাইরাস যা চালানোর পর নিজেই মুছে যায়
উত্তরের বিবরণ
ট্রোজান হর্স (Trojan Horse)
সংজ্ঞা:
ট্রোজান হর্স হলো একটি ধরনের ম্যালওয়্যার, যা সরাসরি ক্ষতি করার পরিবর্তে বৈধ সফটওয়্যারের আকারে কম্পিউটারে প্রবেশ করে। এটি ব্যবহারকারীর জ্ঞাত ছাড়া ইনস্টল হয় এবং প্রায়শই পেছনের দরজা (backdoor) তৈরি করে, যা হ্যাকারদের কম্পিউটারের তথ্য চুরি, ফাইল মুছে ফেলা বা অন্যান্য ক্ষতিকর কাজ করার সুযোগ দেয়।
সঠিক উত্তর: গ) একটি ভাইরাস যা বৈধ সফটওয়্যারের ছদ্মবেশে থাকে।
বৈশিষ্ট্য:
নিজে নিজে ছড়ায় না; ব্যবহারকারীর ভুল বা ভুয়া সফটওয়্যার ডাউনলোডের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
প্রথমে নিরাপদ সফটওয়্যারের মতো দেখায়, কিন্তু চালু হলে ক্ষতি করে।
হ্যাকারের জন্য পেছনের দরজা তৈরি করে।
এটি সাধারণ ভাইরাসের মতো অপ্রত্যক্ষ ক্ষতি করে।
কম্পিউটার ভাইরাস:
এক ধরনের প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক্সিকিউট হয় এবং তথ্য ও উপাত্তকে আক্রমণ করে।
১৯৮০ সালে ফ্রেড কোহেন ভাইরাসের নামকরণ করেন।
ভাইরাস নিজেকে পুনরায় সৃষ্টি করতে সক্ষম এবং কম্পিউটারকে অচল করতে পারে।
ভাইরাসের ধরন: বুট সেক্টর ভাইরাস, ট্রোজান হর্স, ফাইল সংক্রামক ভাইরাস, ম্যাক্রো ভাইরাস, ওভাররাইটিং ভাইরাস, মেমোরি রেসিডেন্ট ভাইরাস, মিউটেটিং ভাইরাস, স্টোন ভাইরাস ইত্যাদি।
কম্পিউটার এন্টি-ভাইরাস:
ভাইরাস, ওয়ার্ম বা ট্রোজান হর্স থেকে কম্পিউটার রক্ষা করার জন্য এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়।
জনপ্রিয় এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার: নরটন, অ্যাভাস্ট, প্যান্ডা, কাসপারেস্কি, মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনসিয়াল।
উৎস:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অষ্টম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে ইউনিকোড ব্যবহারের কারণ কী?
Created: 1 month ago
A
নেটওয়ার্কের পারফরম্যান্স উন্নত করে
B
ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করে
C
টেক্সট সঠিকভাবে দেখায়
D
অ্যাপের আকার হ্রাস করে
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে ইউনিকোড ব্যবহারের প্রধান কারণ হলো টেক্সট সঠিকভাবে প্রদর্শন করা। ইউনিকোড একটি আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড যা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার অক্ষর, চিহ্ন এবং প্রতীক সমর্থন করে। এটি ব্যবহার করলে অ্যাপ্লিকেশনে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি বা যেকোনো ভাষার লেখা সঠিকভাবে দেখা যায়। ইউনিকোড ব্যবহার না করলে ভাষাগত অক্ষরগুলোর অবস্থান, চিহ্ন এবং ফন্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা খারাপ করে। সুতরাং মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপাররা ইউনিকোডকে অগ্রাধিকার দেন, যাতে টেক্সট সব প্ল্যাটফর্মে এবং ডিভাইসে সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয়। সঠিক উত্তর হলো টেক্সট সঠিকভাবে দেখায়।
ইউনিকোড সম্পর্কে তথ্য:
-
উদ্ভাবন ও উন্নয়ন:
-
১৯৯১ সালে Apple Computer Corporation এবং Xerox Corporation-এর একদল প্রকৌশলী যৌথভাবে ইউনিকোড উদ্ভাবন করেন।
-
শুরু থেকেই ইউনিকোডকে আরও বৃহৎ ভাষা সমর্থনের জন্য উন্নত করা হয়, যাতে এটি বিশ্বের সকল প্রধান ভাষার অক্ষর ও প্রতীক সমর্থন করতে পারে।
-
-
ইউনিকোড প্ল্যাটফর্ম-নিরপেক্ষ, অর্থাৎ বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম, ডিভাইস ও সফটওয়্যারে এটি একইভাবে কাজ করে।
আমি চাইলে ইউনিকোডের প্রধান ব্লক ও কোড পয়েন্ট সম্পর্কেও বিস্তারিত সংযোজন করতে পারি।
0
Updated: 1 month ago
কম্পিউটার সিস্টেম এ Scanner একটি কোন ধরনের যন্ত্র?
Created: 2 months ago
A
Input
B
Out put
C
উভয়েই
D
কোনোটিই নয়
ইনপুট ডিভাইস (Input Devices)
যে সব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে কম্পিউটারে তথ্য বা নির্দেশ দেওয়া যায়, সেগুলোকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
কীবোর্ড
-
মাউস
-
স্ক্যানার
-
OMR (Optical Mark Reader)
-
OCR (Optical Character Reader) ইত্যাদি
আউটপুট ডিভাইস (Output Devices)
যন্ত্রাংশের মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে ডাটা বা ফলাফল গ্রহণ করা হয়, তাকে আউটপুট ডিভাইস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
মনিটর
-
প্রিন্টার
-
প্রজেক্টর
-
স্পিকার
-
প্লটার ইত্যাদি
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস (Input-Output Devices)
কিছু ডিভাইস রয়েছে যেগুলো একই সঙ্গে ইনপুট ও আউটপুট উভয় কাজ করে।
উদাহরণ:
-
হেডফোন
-
ডিজিটাল ক্যামেরা
-
মডেম
-
টাচস্ক্রিন ইত্যাদি
উৎস: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি-২, এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল), নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাধারণত কোন কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
সুপারকম্পিউটার
B
মেইনফ্রেম
C
মিনি কম্পিউটার
D
মাইক্রোকম্পিউটার
আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরির জন্য প্রচুর পরিমাণ ডেটা যেমন বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য, মহাসাগরের স্রোত, স্যাটেলাইট ইমেজ এবং জটিল গাণিতিক মডেল প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। এই কাজের জন্য অত্যন্ত দ্রুত প্রসেসিং ক্ষমতা এবং বৃহৎ স্টোরেজ ক্যাপাসিটি প্রয়োজন। সুপারকম্পিউটার একসাথে কোটি কোটি গণনা সম্পন্ন করতে পারে এবং জটিল মডেল চালিয়ে স্বল্প সময়ে সঠিক পূর্বাভাস তৈরি করতে সক্ষম।
-
সুপারকম্পিউটার হলো সবচেয়ে শক্তিশালী, ব্যয়বহুল এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটার।
-
এটি একসাথে একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য কাজ করতে পারে।
-
বিপুল পরিমাণ ডেটা সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত মেমোরি এবং উচ্চ ক্ষমতার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট থাকে।
-
একাধিক প্রসেসর সমান্তরালভাবে কাজ করে এবং প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক কাজ সম্পন্ন করে।
-
এর ব্যবহার ক্ষেত্রগুলো হলো: সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা, ডেটা বিশ্লেষণ, নভোযান ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, আগ্নেয়াস্ত্র ডিজাইন, সিমুলেশন এবং পারমাণবিক চুল্লি নিয়ন্ত্রণ।
সুপারকম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
বিশাল সংখ্যার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট।
-
RAM টাইপ মেমরি ইউনিটের বৃহৎ সংগ্রহ।
-
নোডের মধ্যে উচ্চ গতির আন্তঃসংযোগ।
-
দ্রুত ইনপুট/আউটপুট সিস্টেম।
-
কাস্টম সফ্টওয়্যার ব্যবহার।
-
কার্যকর তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
-
বিপুল পরিমাণ গণনা পরিচালনার ক্ষমতা যা মানুষের সাধ্যের বাইরে।
0
Updated: 1 month ago