অসংগঠিত ডেটা যেমন ডকুমেন্ট, JSON বা ছবি পরিচালনা করার জন্য কোন ধরনের ডাটাবেস তৈরি করা হয়েছে?
A
Relational database
B
Hierarchical database
C
NoSQL database
D
Network database
উত্তরের বিবরণ
অসংগঠিত ডেটার জন্য সর্বোত্তম ডাটাবেস: NoSQL
NoSQL ডাটাবেস হলো এমন ধরনের ডাটাবেস যা অসংগঠিত বা অর্ধ-সংগঠিত ডেটা সংরক্ষণ ও পরিচালনার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি রিলেশনাল ডাটাবেসের তুলনায় বেশি নমনীয়, কারণ এতে টেবিল বা সুনির্দিষ্ট স্কিমার প্রয়োজন হয় না।
ডকুমেন্ট, JSON, XML, ছবি বা অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া ফাইল সহজেই সংরক্ষণ করা যায়।
বড় পরিমাণ ডেটা, উচ্চ-লেভেলের স্কেলেবিলিটি এবং দ্রুত অনুসন্ধানের সুবিধা প্রদান করে।
বিশেষ করে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং রিয়েল-টাইম ডেটা প্রসেসিং-এ ব্যবহৃত হয়।
সঠিক উত্তর: গ) NoSQL database
ডাটাবেজের মূল উপাদানসমূহ
১. ডাটা (Data): তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক, যেমন নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর।
২. তথ্য (Information): প্রক্রিয়াকরণকৃত ডাটা, যেমন কর্মচারীর নাম ও বেতন মিলিয়ে তৈরি বেতনশীট।
৩. রেকর্ড (Record): অনেকগুলো ফিল্ড মিলে একটি রেকর্ড তৈরি করে, যেমন কোনো গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর।
৪. ফিল্ড (Field): রেকর্ডের ক্ষুদ্রতম অংশ, প্রতিটি ফিল্ড একটি তথ্যের ধরন বোঝায়।
৫. রো (Row): টেবিলের একটি সারি যা একটি রেকর্ড ধারণ করে।
৬. কলাম (Column): একই ধরনের ডাটার সংরক্ষণ ক্ষেত্র, যেমন Name, Age, Address।
৭. ডাটা টেবিল (Data Table): ডেটা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত টেবিল।
৮. ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS): ডাটাবেজ তৈরি, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করে। উদাহরণ: MySQL, Microsoft Access, Oracle DB।
৯. রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (RDBMS): একাধিক টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে কাজ করা যায়। উদাহরণ: SQL Server, MySQL, Informix।
১০. ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেজ মডেল: ডাটাবেজ একাধিক স্থানে বিভক্ত থাকে এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
যখন কোনো ডাটাবেজ টেবিলের একাধিক ফিল্ড একত্রে ব্যবহার করে একটি অনন্য প্রাইমারি কী তৈরি করা হয়, তখন সেটিকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
প্রাইমারি কী
B
অল্টারনেট কী
C
কম্পোজিট প্রাইমারি কী
D
ফরেন কী
কী-ফিল্ড (Key Field)
ডাটাবেজে যে ফিল্ড বা কলামের মাধ্যমে ডেটা শনাক্ত, অনুসন্ধান ও সম্পর্ক স্থাপন করা হয়, তাকে কী-ফিল্ড বলা হয়।
ডাটাবেজ সিস্টেমে প্রধানত ৩ ধরনের কী-ফিল্ড ব্যবহৃত হয়—
প্রাইমারি কী (Primary Key)
ফরেন কী (Foreign Key)
কম্পোজিট প্রাইমারি কী (Composite Primary Key)
১. প্রাইমারি কী (Primary Key)
যে ফিল্ড একটি টেবিলের প্রতিটি রেকর্ডকে অদ্বিতীয় (Unique) ভাবে সনাক্ত করে, তাকে প্রাইমারি কী বলে।
এটি কখনো ফাঁকা (NULL) হতে পারে না।
প্রাইমারি কী-এর মাধ্যমে একাধিক টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে রিলেশনাল ডাটাবেজ তৈরি করা হয়।
উদাহরণ: Student টেবিলে StudentID ফিল্ড।
২. ফরেন কী (Foreign Key)
কোনো টেবিলের প্রাইমারি কী যদি অন্য একটি টেবিলে ব্যবহৃত হয়, তখন সেটিকে ফরেন কী বলা হয়।
ফরেন কী-এর মাধ্যমে একটি টেবিলের সাথে অন্য টেবিলের সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।
উদাহরণ:
Student টেবিলে → StudentID (Primary Key)
Student_Course টেবিলে → StudentID (Foreign Key)
৩. কম্পোজিট প্রাইমারি কী (Composite Primary Key)
যখন কোনো টেবিলে নির্দিষ্ট একক প্রাইমারি কী নেই, তখন একাধিক ফিল্ডকে একত্রে ব্যবহার করে একটি রেকর্ডকে অনন্যভাবে শনাক্ত করা হয়।
এ ধরনের প্রাইমারি কী-কে বলা হয় কম্পোজিট প্রাইমারি কী।
উদাহরণ:
Student_Course টেবিলে—
StudentID + CourseID একসাথে মিলে প্রতিটি রেকর্ডকে আলাদা করে সনাক্ত করে।
অতএব, এ দুটি ফিল্ড মিলে একটি Composite Primary Key।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
রিলেশনাল ডাটাবেজ মডেলের ধারণা প্রথম কে উপস্থাপন করেন?
Created: 4 weeks ago
A
ডেনিস রিচি
B
ল্যারি এলিসন
C
ই. এফ. কড
D
কেন থম্পসন
রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলো এমন একটি ডাটাবেজ যা রিলেশন বা ডাটা টেবিলের সমন্বয়ে গঠিত। ১৯৭০ সালে এডগার এফ. কড (Edgar F. Codd) আইবিএম গবেষণাগারে রিলেশনাল ডাটাবেজ মডেল প্রস্তাব করেন এবং তাঁর গবেষণাপত্র "A Relational Model of Data for Large Shared Data Banks" ডাটাবেজ প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটায়।
-
রিলেশনাল ডাটাবেজে ডাটা টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক (Relation) তৈরি করা যায়।
-
আধুনিক ডাটাবেজ সফটওয়্যার প্রায়শই রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই বোঝায়।
-
এডগার এফ. কড কে রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রবর্তক বলা হয়।
-
জনপ্রিয় রিলেশনাল ডাটাবেজ সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে রয়েছে Oracle, MySQL, Microsoft Access।
রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
সহজে টেবিল তৈরি করে ডাটা এন্ট্রি করা যায়।
-
ডাটা টেবিলের মধ্যে এক বা একাধিক রিলেশন তৈরি করা যায়।
-
অসংখ্য ডাটার মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত বের করা যায়।
-
এক ডাটাবেজ থেকে অন্য ডাটাবেজে তথ্য আদান-প্রদান সহজ।
-
সংখ্যাবাচক ডাটার উপর সূক্ষ্ম গাণিতিক কাজ করা যায়।
-
বিভিন্ন ফরম্যাটের রিপোর্ট তৈরি ও মুদ্রণ করা যায়।
-
প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লেবেল তৈরি ও ছাপানো যায়।
-
এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়।
-
বিভিন্ন ধরনের চার্ট তৈরি করা যায় এবং আকর্ষণীয় ডাটা এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়।
-
অন্যান্য ডাটাবেজ প্রোগ্রাম (যেমন FoxPro, Excel) থেকে ডাটা আনা যায়।
-
সহজে এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার/প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়।
0
Updated: 4 weeks ago
Database System-এ Primary Key এর কাজ কী?
Created: 1 month ago
A
ডাটা দ্রুত সার্চ করা
B
ডুপ্লিকেট রেকর্ড রোধ করা
C
নতুন টেবিল তৈরি করা
D
ইনডেক্সিং নিয়ন্ত্রণ করা
কী (Key) – ডেটাবেজ
কী-ফিল্ড:
-
ডাটাবেজে যে ফিল্ডের উপর ভিত্তি করে ডেটা শনাক্ত, অনুসন্ধান বা সম্পর্ক স্থাপন করা হয় তাকে কী-ফিল্ড বলে।
কী-এর ধরন (৩টি):
১. প্রাইমারি কী (Primary Key):
-
একটি টেবিলের এমন একটি ফিল্ড বা অ্যাট্রিবিউট যা প্রতিটি রেকর্ডকে অনন্য (Unique) করে।
-
একই ধরনের ডুপ্লিকেট ডেটা প্রবেশে বাধা দেয় এবং প্রতিটি রেকর্ডকে আলাদাভাবে শনাক্ত করতে সহায়তা করে।
-
উদাহরণ: ID, রোল নম্বর, মোবাইল নম্বর।
২. কম্পোজিট প্রাইমারি কী (Composite Primary Key):
-
একাধিক ফিল্ড একসাথে মিলে প্রাইমারি কী হিসাবে কাজ করলে সেটি কম্পোজিট প্রাইমারি কী।
৩. ফরেন কী (Foreign Key):
-
একটি টেবিলের প্রাইমারি কী যদি অন্য একটি টেবিলে ব্যবহৃত হয় তবে সেটি ফরেন কী।
-
এটি টেবিলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক (Relationship) তৈরি করে।
-
উদাহরণ: কোম্পানির দুটি টেবিলে এমপ্লয়িদের ফিল্ড একই থাকলে একটি টেবিলে সেটি প্রাইমারি কী, অপর টেবিলে সেটি ফরেন কী।
0
Updated: 1 month ago