মধ্যযুগের শেষ কবি কে?
A
আব্দুল হাকিম
B
বড়ু চণ্ডীদাস
C
আলাওল
D
ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর
উত্তরের বিবরণ
অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
- তিনি মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি।
- তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।
- রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে তিনি অন্নদামঙ্গলকাব্য রচনা করেন।
- রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ভারতচন্দ্রকে ‘রায়গুণাকর’ উপাধি দেন।
- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরকে ‘মধ্যযুগের শেষ বড় কবি’ বলা হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 5 months ago
১১) কোন যুগে বাংলা সাহিত্যে গদ্যসাহিত্যের উদ্ভব ঘটে?
Created: 2 months ago
A
মধ্যযুগে
B
আধুনিক যুগে
C
প্রাচীন যুগে
D
চর্যাযুগে
আধুনিক যুগে বাংলা সাহিত্যের উদ্ভব
-
উনবিংশ শতাব্দীর আগে বাংলা সাহিত্যের মূলভিত্তি ছিল কবিতা বা পদ্য।
-
আধুনিক যুগে বাংলা সাহিত্যে নতুন বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ্য করা যায়।
প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ
১. গদ্যসাহিত্যের উদ্ভব
২. সাময়িকপত্রের আবির্ভাব
৩. নাট্যসাহিত্যের জন্ম
৪. প্রবন্ধ (চিন্তামূলক) সাহিত্যের সৃষ্টি
-
এই সময়ে প্রথাগত কবিতার পাশাপাশি কাব্যক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পাশ্চাত্য প্রভাবও গ্রহন করা হয়।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago
মধ্যযুগের প্রথম কবি কে?
Created: 8 hours ago
A
চন্ডীদাস
B
বিদ্যাপতি
C
দৌলত কাজী
D
বডু চন্ডীদাস
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মধ্যযুগ একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যেখানে ধর্মীয় ভাব, ভক্তি ও মানবপ্রেম কবিতার মূল বিষয় হয়ে উঠেছিল। এই যুগের সূচনা হয় প্রায় চতুর্দশ শতাব্দীর দিকে। গবেষণা অনুযায়ী, বাংলা মধ্যযুগের প্রথম কবি হলেন বডু চন্ডীদাস। তাই সঠিক উত্তর হলো বডু চন্ডীদাস।
বডু চন্ডীদাস ছিলেন মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের এক অগ্রগণ্য কবি, যিনি প্রেম ও ভক্তিকে একসঙ্গে মিলিয়ে কবিতার এক অনন্য ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর রচনার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাব্যগ্রন্থ হিসেবেও বিবেচিত। এই গ্রন্থের বিষয়বস্তু মূলত কৃষ্ণ ও রাধার প্রেমকাহিনি, তবে এর ভেতরে নিহিত রয়েছে গভীর ধর্মীয় ও মানবিক দার্শনিক ভাবনা।
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ গ্রন্থটি ১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ কর্তৃক আবিষ্কৃত হয়। এতে মোট ১৩টি খণ্ড ও প্রায় ৪১৮টি পদ রয়েছে। এই কাব্যগ্রন্থের ভাষা প্রাচীন রূপের বাংলা, যেখানে সংস্কৃত, প্রাকৃত ও দেশজ শব্দের মিশ্রণ দেখা যায়। এটি ভাষা ও সাহিত্য গবেষণার জন্য অমূল্য দলিল, কারণ এর মাধ্যমে মধ্যযুগের প্রথম দিককার বাংলা ভাষার ধ্বনিগত ও রূপগত বৈশিষ্ট্য জানা যায়।
বডু চন্ডীদাসের কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য হলো মানবপ্রেম ও ভক্তির সংমিশ্রণ। তিনি কৃষ্ণ-রাধার প্রেমের মাধ্যমে মানবজীবনের আনন্দ, দুঃখ, আকুলতা ও আত্মার মুক্তির তৃষ্ণাকে প্রতীকীভাবে প্রকাশ করেছেন। তাঁর কবিতায় ধর্মীয় ভক্তি কেবল ঈশ্বরপ্রীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা মানুষের অন্তর্জগতের অনুভূতি ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবেও ধরা দেয়।
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর সংলাপনির্ভর কাঠামো। এখানে চরিত্রগুলোর মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমে কাহিনি এগোয়, যা নাট্যরীতির প্রভাব প্রকাশ করে। এই দিক থেকে একে বাংলা নাট্যসাহিত্যের প্রাথমিক রূপ হিসেবেও দেখা যায়।
বডু চন্ডীদাসের রচনার মাধ্যমে মধ্যযুগের সাহিত্যে যে ভক্তিমূলক ধারার সূচনা হয়েছিল, তা পরবর্তী সময়ে আরও বিকশিত হয়। তাঁর প্রভাবেই পরে চন্ডীদাস, বিদ্যাপতি, বড়ু চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস প্রমুখ কবিরা বৈষ্ণবপদের রচনায় অনুপ্রাণিত হন। বলা যায়, তিনি ছিলেন বাংলা বৈষ্ণব সাহিত্যের পথপ্রদর্শক।
ইতিহাসবিদরা মনে করেন, বডু চন্ডীদাস ছিলেন বীরভূম জেলার নানুর অঞ্চলের বাসিন্দা, এবং তিনি সম্ভবত চতুর্দশ শতাব্দীতে জীবিত ছিলেন। তাঁর রচনায় যে গভীর মানবিক অনুভূতি ও আধ্যাত্মিক প্রেম প্রকাশ পেয়েছে, তা তাঁকে শুধু মধ্যযুগের প্রথম কবিই নয়, বরং বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবেও প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, বডু চন্ডীদাসই বাংলা মধ্যযুগের প্রথম কবি, যিনি ভক্তি ও মানবপ্রেমকে কাব্যভাষায় রূপ দিয়ে বাংলা সাহিত্যের ভিত্তি স্থাপন করেন। তাঁর ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ শুধু সাহিত্যিক সৃষ্টি নয়, বরং বাংলা ভাষার বিবর্তনের এক জীবন্ত নিদর্শন, যা আজও সাহিত্য ও ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
0
Updated: 8 hours ago
বাংলা সাহিত্যে রোমান্টিক প্রণয়োপখ্যান ধারার প্রবর্তক-
Created: 2 months ago
A
সাবিরিদ খান
B
শাহ মুহাম্মদ সগীর
C
দৌলত উজির বাহরাম খান
D
কোরেশী মাগন ঠাকুর
শাহ মুহাম্মদ সগীর
-
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা কবি
-
জন্ম: আনুমানিক ১৪ শতকের শেষ ভাগে, মৃত্যু ১৫ শতকে
-
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সভাকবি
-
তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত কাব্য: ‘ইউসুফ জোলেখা’
-
এই কাব্যের মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যে রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রবর্তন করেন
0
Updated: 2 months ago