জীবন রক্ষা, সম্পত্তি ভোগ ও বৈধ পেশা গ্রহণ কোন স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত?
A
ব্যক্তি স্বাধীনতা
B
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা
C
সামাজিক স্বাধীনতা
D
জাতীয় স্বাধীনতা
উত্তরের বিবরণ
স্বাধীনতার বিভিন্ন রূপ
-
ব্যক্তি স্বাধীনতা
-
ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে এমন স্বাধীনতাকে বোঝানো হয়, যা ভোগ করলে অন্যের কোনো ক্ষতি হয় না।
-
উদাহরণ: ধর্মচর্চা করা, পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষা করা।
-
এ ধরনের স্বাধীনতা ব্যক্তির একান্ত নিজস্ব বিষয়।
-
-
সামাজিক স্বাধীনতা
-
জীবন রক্ষা, সম্পত্তি ভোগ এবং বৈধ পেশা গ্রহণ সামাজিক স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত।
-
এই স্বাধীনতা নাগরিক জীবন বিকশিত করে এবং সমাজে বসবাসকারী মানুষের অধিকার রক্ষা করে।
-
সামাজিক স্বাধীনতা এমনভাবে ভোগ করতে হয় যেন অন্যের অনুরূপ স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ না হয়।
-
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতা
-
ভোটদান, নির্বাচিত হওয়া, বিদেশে অবস্থানকালীন নিরাপত্তা লাভ ইত্যাদি রাজনৈতিক স্বাধীনতার উদাহরণ।
-
এসব স্বাধীনতার মাধ্যমে নাগরিক রাষ্ট্রীয় শাসনকাজে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
-
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
-
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা
-
যোগ্যতা অনুযায়ী পেশা গ্রহণ এবং উপযুক্ত পারিশ্রমিক লাভ করাকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলা হয়।
-
নাগরিকরা মূলত আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ভোগ করে।
-
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকলে অন্যান্য স্বাধীনতা ভোগ করা যায় না এবং সমাজের অন্য শ্রেণির শোষণ থেকে মুক্ত থাকা যায় না।
-
-
জাতীয় স্বাধীনতা
-
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, যা অন্য রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত।
-
এই অবস্থানকে জাতীয় স্বাধীনতা বা রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা বলা হয়।
-
জাতীয় স্বাধীনতার ফলে একটি রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের কর্তৃত্বমুক্ত থাকে এবং প্রত্যেক স্বাধীন রাষ্ট্র এই স্বাধীনতা ভোগ করে।
-
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি।
0
Updated: 1 month ago
ওপেনহাইমের মতে আইনের উৎস -
Created: 1 month ago
A
৫টি
B
৬টি
C
৭টি
D
৮টি
অপরাধ ও আইন সম্পর্কিত তত্ত্ব অনুযায়ী, ওপেনহাইম আইনের উৎসকে সাতটি ভাগে বর্ণনা করেছেন—
-
প্ৰথা (Customs)
-
ধর্ম (Religion)
-
বিচারকের রায় (Judicial Decisions)
-
ন্যায়বিচার (Equity/Justice)
-
বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা (Scholarly Writings)
-
আইনসভা (Legislature)
-
জনমত (Public Opinion)
এই সাতটি উৎস মিলে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগে সামাজিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
0
Updated: 1 month ago
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্টী কীসের ভিত্তিতে পরস্পর আবদ্ধ হন?
Created: 1 month ago
A
রাজনৈতিক ভিত্তিতে
B
সামাজিক ভিত্তিতে
C
স্বার্থের ভিত্তিতে
D
অর্থনৈতিক ভিত্তিতে
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী এমন একধরনের সংগঠিত দল যারা একই ধরনের স্বার্থ ও মনোভাবের কারণে একত্রিত হয় এবং নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য রাজনৈতিক বা সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে সচেষ্ট থাকে। তারা সরাসরি সরকার পরিচালনার চেষ্টা করে না, বরং বিভিন্ন উপায়ে নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে কাজ করে।
-
সংজ্ঞা: চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি দল যারা সমজাতীয় স্বার্থ ও মনোভাবের বন্ধনে আবদ্ধ এবং সেই স্বার্থ রক্ষার জন্য একত্রিত হয়।
-
অনেকের মতে, এদেরকে স্বার্থকামী গোষ্ঠী বলেও ডাকা হয় কারণ তাদের প্রধান লক্ষ্য নিজের স্বার্থ সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন।
-
আলফ্রেড গ্রজিয়ার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন এক সংগঠিত সামাজিক গোষ্ঠী যারা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে, বরং রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার জন্য কাজ করে।
-
তারা সরাসরি শাসনক্ষমতায় অংশ না নিয়ে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের মতাদর্শ ও দাবি প্রতিফলিত করতে চায়।
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক পরানীতিবিদ্যার (Meta-Ethics) প্রবর্তক বলা হয় কাকে?
Created: 1 month ago
A
হল্যান্ড
B
আরজ আলী মাতুব্বর
C
ডব্লিউ ডি হার্ডসন
D
জি. ই. ম্যুর
পরানীতিবিদ্যা (Meta-Ethics) হলো নৈতিক পদ, নৈতিক অবধারণ ও নৈতিক ভাষার অর্থ ও যৌক্তিকতা সংক্রান্ত আলোচনা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন নৈতিক মতবাদ গড়ে ওঠে। এটি নৈতিক উক্তি, পদ বা অবধারণ, এবং নৈতিক পদ ও অবধারণের যৌক্তিকতা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে গঠিত।
-
পরানীতিবিদ্যার অর্থ: ‘Meta Ethics’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো পরানীতিবিদ্যা।
-
ভিন্ন নীতিবিদ্যার সঙ্গে তুলনা:
-
মানমূলক নীতিবিদ্যা: আচরণের ভাল-মন্দ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন মানদন্ড বা আদর্শ ব্যবহার করে।
-
ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা: বাস্তব জীবনের চলতি সমস্যাকে নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে।
-
বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা: অভিজ্ঞতানির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত; এর উদাহরণ হলো বিবর্তনবাদী নীতিবিদ্যা।
-
-
উদ্ভাবক ও গুরুত্বপূর্ণ ধারণা:
-
ব্রিটিশ দার্শনিক জি. ই. ম্যূর (G. E. Moore) আধুনিক পরানীতিবিদ্যার প্রবর্তক।
-
১৯০৩ সালে তার বই ‘Principia Ethica’ এই ধরনের আলোচনার সূত্রপাত করে।
-
জি. ই. ম্যূর বলেন, “শুভের প্রতি অনুরাগ ও অশুভের প্রতি বিরাগ হলো নৈতিকতা।”
-
0
Updated: 1 month ago