“সততার সাথে ভোট দান” কোন ধরনের কর্তব্য?
A
আইনগত কর্তব্য
B
সামাজিক কর্তব্য
C
রাজনৈতিক কর্তব্য
D
নৈতিক কর্তব্য
উত্তরের বিবরণ
কর্তব্যের শ্রেণিবিভাগ
নাগরিকদের অধিকার ভোগের সঙ্গে যুক্ত যে দায়িত্বগুলো পালন করা হয়, তা কর্তব্য বলে। নাগরিকের কর্তব্যকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়:
-
নৈতিক কর্তব্য
-
নৈতিক কর্তব্য মানুষের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ থেকে উদ্ভূত হয়।
-
উদাহরণ:
-
নিজেকে শিক্ষিত করা এবং সন্তানদের শিক্ষিত করা
-
সততার সঙ্গে ভোট প্রদান
-
রাষ্ট্রের সেবা করা
-
বিশ্বমানবতার সহায়তায় এগিয়ে আসা
-
-
যেহেতু এসব কর্তব্য নাগরিকদের বিবেক ও ন্যায়বোধ থেকে আসে, এগুলোকে নৈতিক কর্তব্য বলা হয়।
-
-
আইনগত কর্তব্য
-
রাষ্ট্রের আইন দ্বারা আরোপিত কর্তব্যকে আইনগত কর্তব্য বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন
-
আইন মেনে চলা
-
নিয়মিত কর প্রদান
-
-
এসব কর্তব্য রাষ্ট্রের আইন দ্বারা স্বীকৃত, এবং পালন না করলে শাস্তি দেওয়া হয়।
-
আইনগত কর্তব্য রাষ্ট্র ও নাগরিকের কল্যাণ নিশ্চিত করতে অপরিহার্য।
-
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি।
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
২০০৮ সালে
B
২০১০ সালে
C
২০১২ সালে
D
২০১৩ সালে
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো এমন একটি নীতি ও পরিকল্পনা যা সমাজ ও রাষ্ট্রে নৈতিকতা ও সততা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয় পর্যায়ে শুদ্ধাচারের মানদণ্ড প্রচলনের জন্য প্রণীত।
-
শুদ্ধাচার বলতে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ বোঝানো হয়। এটি সমাজের প্রথা, নীতি ও মানদণ্ডের প্রতি আনুগত্যকেও নির্দেশ করে। ব্যক্তি পর্যায়ে এর অর্থ হল কর্তব্যনিষ্ঠা ও চরিত্রনিষ্ঠা। এই দলিলে শুদ্ধাচারের এই সংজ্ঞা গ্রহণ করা হয়েছে।
-
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে।
-
কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
কৌশলে উল্লেখ করা হয়েছে যে রাষ্ট্র ও সমাজে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা সরকারের সাংবিধানিক ও আইনগত স্থায়ী দায়িত্ব, এবং সরকারকে অব্যাহতভাবে এই লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
রূপকল্প: সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা
-
অভিলক্ষ্য: রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা
0
Updated: 1 month ago
নৈতিকতার মূল লক্ষ্য কী?
Created: 1 month ago
A
মানুষের কল্যাণ সাধন
B
স্বাধীনতা অর্জন
C
আইন প্রতিষ্ঠা
D
ধর্মীয় বিধান প্রতিষ্ঠা
নৈতিকতা
-
নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তরর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি
-
নৈতিকতার উদ্ভব মানুষের বিবেকবোধ থেকে
-
এটি একটি মানসিক বিষয়
-
নৈতিকতার উপর রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব আরোপিত নয়, অর্থাৎ নৈতিকতা লঙ্ঘনকারীকে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় আইন শাস্তি প্রদান করতে পারে না
-
বিবেকের দংশনই নৈতিকতার সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ
-
মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধনই নৈতিকতার লক্ষ্য
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
স্বৈরাচার
B
গোপনীয়তা
C
দমন-পীড়ন
D
স্বচ্ছতা
সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়, যা সামাজিক ন্যায়-বিচার ও বহুত্ববাদের সাথে সংযুক্ত। সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
-
সুশাসনের উপাদানসমূহ:
-
গণতন্ত্র
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
স্বচ্ছতা
-
বৈধতা
-
দায়িত্বশীলতা
-
জবাবদিহিতা
-
জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্যতা
-
স্বাধীন প্রচার মাধ্যম
-
অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া
-
আইনের শাসন
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
-
জনবান্ধব প্রশাসন
-
সততা
-
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা
-
সুশীল সমাজ দক্ষতা
-
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
-
বিকেন্দ্রীকরণ
-
লিঙ্গ বৈষম্যের অনুপস্থিতি
-
প্রচার মাধ্যমের স্বাধীনতা
-
0
Updated: 1 month ago