সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবর্তক কারা ছিলেন?
A
প্লেটো, এরিস্টটল, সিসারো
B
মেকিয়াভেলি, মন্টেস্কু, কান্ট
C
সক্রেটিস, এরিস্টটল, সেন্ট অগাস্টিন
D
হবস্, লক ও রুশো
উত্তরের বিবরণ
সামাজিক চুক্তি মতবাদ
-
এ মতবাদের মূলকথা হলো—সমাজে বসবাসকারী জনগণের পারস্পরিক চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।
-
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদার্শনিক টমাস হবস্ ও জন লক এবং ফরাসি দার্শনিক জ্যাঁ জ্যাক রুশো সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবর্তক ছিলেন।
-
এ মতবাদ অনুযায়ী, রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে বসবাস করত।
-
তারা প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলত এবং প্রাকৃতিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করত।
-
কিন্তু প্রকৃতির রাজ্যে আইন অমান্য করলে শাস্তি দেওয়ার কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না।
-
ফলে সামাজিক জীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
-
মানুষ হয়ে উঠে স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক; দুর্বলের উপর চলে সবলের অত্যাচার।
-
এ কারণে মানুষের জীবন কষ্টকর ও দুর্বিষহ হয়ে উঠে।
-
এছাড়া, প্রকৃতির রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যক্তিগত সম্পত্তির আকাঙ্ক্ষা ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
-
প্রকৃতির রাজ্যের এ অরাজকতাপূর্ণ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ নিজেদের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র সৃষ্টি করে এবং নিরাপত্তার বিনিময়ে নিজেদের উপর শাসন করার জন্য স্থায়ীভাবে শাসকের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
বিশ্বব্যাংক কবে প্রথম ‘সুশাসন’ শব্দটি ব্যবহার করে?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৫ সালে
B
১৯৭৯ সালে
C
১৯৮৯ সালে
D
১৯৯১ সালে
সুশাসন বলতে এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে বোঝায় যা দক্ষ, নির্ভুল এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো এই শব্দটির আনুষ্ঠানিক ব্যবহার দেখা যায় এবং পরবর্তীতে এটি উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিশেষ গুরুত্ব লাভ করে।
মূল তথ্যগুলো হলো
-
সুশাসন শব্দের উৎস: ইংরেজি Governance শব্দের সাথে বাংলা সু প্রত্যয় যোগ করে এ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে, যা শাসনের নৈতিক বা মানদণ্ডভিত্তিক দিককে প্রকাশ করে।
-
ধারণার বিকাশ: সুশাসন ধারণাটি বিশ্বব্যাংক উদ্ভাবিত এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বব্যাংকই প্রথম উন্নয়ন প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব তুলে ধরে।
-
প্রথম ব্যবহার: ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় সর্বপ্রথম ‘সুশাসন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
-
সংজ্ঞা: সুশাসনের অর্থ দাঁড়ায় নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
প্রধান স্তম্ভ: ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক জানায় যে সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত—
-
দায়িত্বশীলতা
-
স্বচ্ছতা
-
আইনি কাঠামো
-
অংশগ্রহণ
-
0
Updated: 1 month ago
কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করা যায়?
Created: 1 month ago
A
শ্রম
B
অভিজ্ঞতা
C
ঐতিহ্য
D
শিক্ষা
মূল্যবোধ
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় মানুষের আচরণের মাধ্যমে। অর্থাৎ, এর মাধ্যমে মানুষ “ভুল” ও “শুদ্ধ”, “ভাল” ও “মন্দ”-এর পার্থক্য চিহ্নিত করতে পারে।
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী মানদণ্ড ও নীতি।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করা যায়।
-
জন্মের পর থেকেই মানুষ মূল্যবোধের শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে, যা জীবনব্যাপী চলতে থাকে।
-
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধের শিক্ষা ও প্রকাশের ধরনও পরিবর্তিত হয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
"দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো" কোন ধরনের মূল্যবোধ?
Created: 1 month ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
C
সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ
D
নৈতিক মূল্যবোধ
নৈতিক মূল্যবোধ হলো মানুষের সেই মনোভাব ও আচরণ, যা সবসময় ভালো, কল্যাণকর ও অপরিহার্য হিসেবে বিবেচিত হয় এবং মানসিক তৃপ্তি প্রদান করে। নৈতিক মূল্যবোধের মূল উৎস হলো নীতি এবং উচিত-অনুচিত বোধ। শিশু তার পরিবার থেকে শুরু করে প্রাথমিকভাবে এই মূল্যবোধের শিক্ষা গ্রহণ করে।
-
নৈতিক মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত—
-
অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা
-
সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলা
-
অন্যকে অন্যায় থেকে বিরত রাখতে পরামর্শ দেওয়া
-
দুঃস্থ ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সাহায্য করা
-
অসহায় বা ঋণগ্রস্থ মানুষকে ঋণমুক্ত হতে সাহায্য করা
-
এই সব আচরণ ও মনোভাব মানুষকে নৈতিক ও দায়বদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
0
Updated: 1 month ago