ই-গভর্নেন্স হল একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা জনগণের কাছে সহজ, স্বচ্ছ এবং দ্রুত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। এর মাধ্যমে নাগরিকরা কম খরচে এবং ঝামেলাবিহীনভাবে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন সরকারি সেবা পেতে পারেন, ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পায় এবং দুর্নীতি হ্রাস পায়। দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য, যা সব স্তরের মানুষের জন্য সরকারি সেবা পৌঁছানোর একটি কার্যকর জানালা খুলে দেয়।
-
E-Governance এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Governance।
-
ই-গর্ভনেন্সের মাধ্যমে সরকারি সেবা নাগরিকদের কাছে সহজে এবং দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়।
-
নাগরিকরা স্বল্প ব্যয়ে, ঝামেলাবিহীনভাবে সপ্তাহে ৭ দিন, দিনে ২৪ ঘন্টা সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
-
ই-গভর্নেন্সের ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি হ্রাস পায়।
-
দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই ই-গভর্নেন্সের মূল উদ্দেশ্য।
-
এটি সর্বস্তরের মানুষের জন্য সরকারি সেবা পাওয়ার একটি জানালা উন্মোচন করে।
উল্লেখযোগ্য:
-
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ই-গভর্নেন্সকে 'SMART Government' হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
তাঁর মতে SMART শব্দটির পূর্ণরূপ হলো: Simple, Moral, Accountable, Responsive, Transparent, অর্থাৎ সরকার যদি সহজ সরল, নৈতিক, জবাবদিহিমূলক, দ্রুত সাড়া প্রদানকারী এবং স্বচ্ছ হয়, তখনই তাকে SMART Governance বলা যায়।