A
চারণকবি
B
সাপুড়ে
C
সুদখোর
D
কৃষিজীবী
উত্তরের বিবরণ
কুসীদজীবী
-
শব্দের ব্যবহার: বিশেষ্য ও বিশেষণ উভয়ভাবে করা যায়।
-
উৎপত্তি: সংস্কৃত থেকে এসেছে।
-
অর্থ: যে ব্যক্তি সুদে টাকা ধার দেয়, অর্থাৎ সুদখোর।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।

0
Updated: 1 day ago
‘সোমত্ত’ শব্দটির উৎপত্তি কোন শব্দ থেকে?
Created: 21 hours ago
A
সোপান
B
সমর্থ
C
সোল্লাস
D
সওয়ার
সোমত্ত / সমত্ত (বিশেষণ)
-
এটি একটি তৎসম শব্দ।
অর্থ:
-
বিয়ের উপযুক্ত (যেমন: ঘরে আমার সোমত্ত মেয়ে)
-
যৌবনপ্রাপ্ত
-
সক্ষম বা সমর্থ
-
বয়ঃপ্রাপ্ত (যেমন: সোমত্ত মেয়ে মাথার উপরে — কাজী আবদুল ওদুদ)
উৎস: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান এবং অভিগম্য অভিধান।

0
Updated: 21 hours ago
দ্রৌপদী কে?
Created: 2 weeks ago
A
রামায়ণে সীতার সহচরী
B
মহাভারতে দুর্যোধনের স্ত্রী
C
রামায়ণে লক্ষ্মণের প্রণয়প্রার্থী নারী
D
মহাভারতে পাঁচ ভাইয়ের একক স্ত্রী
মহাভারত ও বাংলা মহাভারত
-
দ্রৌপদী মহাভারতের অন্যতম প্রধান নারী চরিত্র। তিনি পাণ্ডুর পাঁচ পুত্র – যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব – অর্থাৎ পঞ্চপাণ্ডবের সম্মিলিত স্ত্রী ছিলেন।
-
মহাভারত মূলত ঋষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস রচিত একটি সংস্কৃত মহাকাব্য। এর প্রধান উপজীব্য হলো কুরু-বংশের দুই শাখা – ধৃতরাষ্ট্রপুত্র দুর্যোধনসহ শতকৌরব ও পান্ডুপুত্র পাণ্ডবদের মধ্যে বিরোধ, যা শেষ পর্যন্ত কুরুক্ষেত্রের মহাযুদ্ধে রূপ নেয়।
-
কৌরবদের নাম এসেছে তাঁদের প্রপিতামহ কুরু-এর নাম থেকে, আর পান্ডবদের নাম এসেছে তাঁদের পিতা পাণ্ডু-এর নাম থেকে। এদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধই ইতিহাসে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
ভারতের প্রায় সব আঞ্চলিক ভাষায় মহাভারতের অনুবাদ হয়েছে। বাংলা ভাষায়ও এর অনুবাদ ও পুনর্লিখন দেখা যায়। তবে বাংলা মহাভারত কেবল অনুবাদ নয়; বরং রচয়িতাদের নিজস্ব জীবনবোধ, সমাজচেতনা ও কাব্যশৈলীর কারণে এটি মৌলিক রূপ লাভ করেছে।
-
বাংলা মহাভারতের রচয়িতা একাধিক। প্রথম বাংলা মহাভারত রচনা করেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর, যা পরিচিত কবীন্দ্র মহাভারত নামে।
-
পরে সপ্তদশ শতকে কাশীরাম দাস পদ্যে মহাভারত রচনা করেন। তাঁর রচিত কাশীদাসী মহাভারত আঠারোটি পর্ব ও একশত পর্বাধ্যায়ে বিভক্ত, যা বাঙালি পাঠকের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণ।
-
এই গ্রন্থের বিভিন্ন পর্বে নানা কাহিনি বর্ণিত হয়েছে, যেমন—
-
আদিপর্ব → কুরু-পাণ্ডব বংশবিবরণ, জতুগৃহদাহ ও দ্রৌপদীর সঙ্গে পাণ্ডবদের বিবাহ।
-
সভাপর্ব → যুধিষ্ঠিরের পাশা খেলা (দ্যূতক্রীড়া) ও পরাজয়।
-
বনপর্ব → পাণ্ডবদের বনবাস।
-
বিরাটপর্ব → বিরাট নগরে অজ্ঞাতবাস।
-
উদ্যোগপর্ব → যুদ্ধের প্রস্তুতি প্রভৃতি।
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
কোন উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত?
Created: 5 days ago
A
উপনেতা
B
উপভোগ
C
উপগ্রহ
D
উপসাগর
উপসর্গ এবং বাংলায় এর ব্যবহার
উপসর্গ হলো এমন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
উপসাগর, উপগ্রহ, উপনেতা – এখানে “উপ” ক্ষুদ্র অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
উপভোগ – এখানে “উপ” বিশেষ বা অতিরিক্ত অর্থ প্রকাশ করছে।
বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন ধরনের হয়:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। এর সংখ্যা ২১।
উদাহরণ: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
দ্রষ্টব্য: আ, সু, বি, নি এই চারটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়। -
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত থেকে আগত উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ বলা হয়।
প্রধান ২০টি তৎসম উপসর্গ:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ। -
বিদেশি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় দীর্ঘ সময় ধরে প্রচলিত বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ।-
আরবি: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু: হর
-
ইংরেজি: হেড, সাব, ফুল, হাফ
-
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 5 days ago