সবচেয়ে কম বয়সে কোন লেখক বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান?
A
শওকত আলী
B
সেলিনা হােসেন
C
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
D
সৈয়দ শামসুল হক
উত্তরের বিবরণ
- শওকত আলী: জন্ম ১৯৩৬; বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৬৮ সালে, বয়স ৩২ বছর। 
- 
সেলিনা হোসেন: জন্ম ১৯৪৭; বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৮০ সালে, বয়স ৩৩ বছর। 
- 
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস: জন্ম ১৯৪৩; বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৮২ সালে, বয়স ৩৯ বছর। 
- 
সৈয়দ শামসুল হক: জন্ম ১৯৩৫; বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৬৬ সালে, বয়স ৩১ বছর। 
নিষ্কর্ষ: এই তালিকা থেকে বোঝা যায়, সৈয়দ শামসুল হক সবচেয়ে কম বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।
উৎস: বাংলা একাডেমি ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের তথ্যভান্ডার।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 month ago
'তুমি মা কল্পতরু, আমরা সব পোষাগরু'- এই কবিতাংশটির রচয়িতা কে?
Created: 4 weeks ago
A
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত উনিশ শতকের প্রথমার্ধের একজন কবি ছিলেন, যিনি তাঁর কবিতায় হালকা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপকে প্রধান করে তুলেছিলেন। তাঁর লেখায় কল্পনার স্থান তেমন বড় নয়,
এবং তিনি আধুনিকতার প্রভাব অনুভব করলেও সেটিকে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করতে পারেননি। তিনি শুধু একজন কবি নন, বরং সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
- 
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন 'সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। এটি বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম দৈনিক পত্রিকা। 
- 
১৮৩১ সালে তিনি 'সংবাদ প্রভাকর' নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন। 
- 
১৮৩৯ সাল থেকে এটি দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়। 
- 
তিনি আরও কিছু পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন, যেমন: - 
সংবাদ রত্নাবলী 
- 
পাষণ্ডপীড়ণ 
- 
সংবাদ সাধুরঞ্জন 
 
- 
তাঁর কবিতা "নীলকর"-এ তিনি মহারানী ভিক্টোরিয়াকে সম্বোধন করে বলেন:
"তুমি মা কল্পতরু আমরা সব পোষা গরু
শিখিনি শিং বাঁকানো
কেবল খাবো খোল বিচিলি ঘাষ...
আমরা ভুসি পেলেই খুশি হব
ঘুষি খেলে বাঁচব না।"
এই কবিতার মাধ্যমে তিনি সমকালীন সমাজ ও রাজতন্ত্রের প্রতি ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 4 weeks ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ কে রচনা করেন?
Created: 3 months ago
A
সুকুমার সেন
B
দীনেশচন্দ্র সেন
C
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
১৮৯৬ সালে কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্থটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম ঐতিহাসিক গ্রন্থ হিসেবে বিশেষ মর্যাদা পায়। দীনেশচন্দ্র সেনের দীর্ঘ গবেষণার ফসল এই বইটি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ইতিহাসকে সুশৃঙ্খলভাবে তুলে ধরে।
তথ্য ও বিশ্লেষণের গুণে এটি এক যুগান্তকারী কাজ হিসেবে সমকালীন বিদ্বজ্জন মহলে, এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকেও, বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস চর্চায় এই গ্রন্থের মাধ্যমে দীনেশচন্দ্র সেন পথিকৃৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন এবং একাধারে পান্ডিত্যের স্বীকৃতি লাভ করেন।
দীনেশচন্দ্র সেন
দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬–১৯৩৯) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, খ্যাতনামা লোকসাহিত্য বিশারদ ও শিক্ষাবিদ। তাঁর জন্ম হয় ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর, মানিকগঞ্জ জেলার বগজুরি গ্রামে মাতুলালয়ে।
১৮৯৬ সাল তাঁর কর্মজীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়ে আসে; পুথি সংগ্রহ ও পাঠচর্চার মধ্য দিয়ে তাঁর গবেষণার নবদিগন্ত সূচিত হয়। এই সময় তিনি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনিই প্রথম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং টানা বারো বছর অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে ১৯৩২ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
গবেষক হিসেবে যেমন তিনি গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি একজন সৃজনশীল লেখক হিসেবেও তাঁর অবস্থান অগ্রগণ্য। সাহিত্যের ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনি, লোকসাহিত্য সম্পাদনা ও বাঙালির সাংস্কৃতিক ধারার ওপর তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
পাশাপাশি তিনি লিখেছেন কবিতা, উপন্যাস ও গল্পও। সব মিলিয়ে তাঁর রচিত গ্রন্থসংখ্যা ৬০টিরও অধিক। গবেষণা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯২১ সালে তিনি 'রায়বাহাদুর' উপাধিতে ভূষিত হন।
দীনেশচন্দ্র সেনের উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
- 
History of Bengali Language and Literature 
- 
বাংলার পুরনারী 
- 
প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান 
- 
হিন্দু সমাজ ও বৈষ্ণব ধর্ম 
- 
বীর কথা ও যুগসাহিত্য 
- 
রামায়ণী কথা 
- 
কৃত্তিবাসী রামায়ণ 
তাছাড়া তিনি সম্পাদনা করেন বিখ্যাত লোকসাহিত্য সংকলন মৈমনসিংহ গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা, যা বাংলার লোকঐতিহ্যের ধারক হিসেবে সমাদৃত।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 months ago
'দেয়াল' রচনাটি কার?
Created: 2 months ago
A
হুমায়ূন আহমেদ
B
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
C
বুদ্ধদেব বসু
D
সেলিনা হোসেন
দেয়াল
- 
দেয়াল হলো বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের শেষ উপন্যাস। 
- 
এটি ইতিহাসভিত্তিক একটি উপন্যাস, যা মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি তুলে ধরে। 
- 
উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে হত্যাকাণ্ড এবং সেই সময়কার ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনার মাধ্যমে। 
- 
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর এক বছর পর এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। 
হুমায়ূন আহমেদ
- 
জন্ম: ১৯৪৮, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে মাতামহের বাড়িতে। 
- 
তিনি ছিলেন কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার ও শিক্ষক। 
- 
ছাত্রজীবনে রচিত নাতিদীর্ঘ উপন্যাস ‘নন্দিত নরক’ (১৯৭২) দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ করেন। 
- 
তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’ (১৯৭৩)। 
- 
গল্প, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, শিশুতোষ গ্রন্থ, নাটক, প্রবন্ধ ও আত্মজৈবনিক রচনা মিলিয়ে তার গ্রন্থ সংখ্যা ৩০০-এর বেশি। 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
- 
শ্যামল ছায়া 
- 
আগুনের পরশমণি 
- 
অনিল বাগচীর একদিন 
- 
জোছনা ও জননীর গল্প 
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া, ‘দেয়াল’ উপন্যাস।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago