বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান সংকলন করেন কে?
A
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ
B
রাজশেখর বসু
C
হরিচরণ দে
D
অশোক মুখোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশকে প্রথম বাংলা অভিধানকার এবং ব্রাহ্মসমাজের প্রথম আচার্য হিসেবে স্মরণ করা হয়। তিনি ১৭৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৪৫ সালের ২ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
১৮১৭ সালে বাংলা অভিধানের পথচলা শুরু হয় তার হাত ধরে। তিনি বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান ‘বঙ্গভাষাভিধান’ সংকলন করেন, যা সম্পূর্ণরূপে বাঙালি কর্তৃক রচিত। আজও প্রায় দুইশ বছর পরে এই অভিধান বাঙালির জন্য গর্বের বিষয়।
সেই সময়ের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান স্কুল বুক সোসাইটি বইটির মুদ্রণ ও প্রকাশনার দায়িত্ব নিলে এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
উৎস: সংবাদপত্রে সেকালের কথা (প্রথম খণ্ড) এবং ‘বঙ্গভাষাভিধান’, রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ।
0
Updated: 1 month ago
'Translate' শব্দের বাংলা পরিভাষা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পারিভাষিক
B
দোভাষী
C
অনুবাদক
D
অনুবাদ করা
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা
| ইংরেজি শব্দ | বাংলা পারিভাষিক অর্থ |
|---|---|
| Translate | অনুবাদ করা |
| Technical | পারিভাষিক |
| Interpreter | দোভাষী |
| Translator | অনুবাদক |
উৎস: বাংলা একাডেমি, প্রশাসনিক পরিভাষা ও অভিগম্য অভিধান
0
Updated: 1 month ago
'কথোপকথন' কোন ধরনের সন্ধি সাধিত শব্দ?
Created: 1 month ago
A
বিসর্গ সন্ধি
B
ব্যঞ্জন সন্ধি
C
স্বরসন্ধি
D
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
স্বরসন্ধির নিয়ম (অ+উ / অ+ঊ / আ+উ / আ+ঊ → ও)
সংজ্ঞা:
প্রথম পদের শেষের অ-ধ্বনি বা আ-ধ্বনির সঙ্গে দ্বিতীয় পদের প্রথম উ-ধ্বনি বা দীর্ঘ ঊ-ধ্বনি যুক্ত হলে তা ও-ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়। বানানে এটি ও-কারের রূপ নিয়ে আগের বর্ণে যুক্ত হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
অ + উ → ও:
-
সর্ব + উচ্চ = সর্বোচ্চ
-
সূর্য + উদয় = সূর্যোদয়
-
দীর্ঘ + উচ্চারণ = দীর্ঘোচ্চারণ
-
প্রশ্ন + উত্তর = প্রশ্নোত্তর
-
-
অ + ঊ → ও:
-
নব + ঊঢ়া = নবোঢ়া
-
সর্ব + ঊর্ধ্ব = সর্বোর্ধ্ব
-
-
আ + উ → ও:
-
যথা + উচিত = যথোচিত
-
কথা + উপকথন = কথোপকথন
-
যথা + উপযুক্ত = যথোপযুক্ত
-
-
আ + ঊ → ও:
-
গঙ্গা + ঊর্মি = গঙ্গোর্মি
-
মহা + ঊর্মি = মহোর্মি
-
মহা + ঊর্ধ্ব = মহোর্ধ্ব
-
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 1 month ago
'জলদ' কোন ধরনের তৎপুরুষ সমাস?
Created: 1 month ago
A
অলুক তৎপুরুষ
B
সপ্তমী তৎপুরুষ
C
পঞ্চমী তৎপুরুষ
D
উপপদ তৎপুরুষ
উপপদ তৎপুরুষ সমাস
-
সংজ্ঞা:
যে পদের সঙ্গে পরবর্তী ক্রিয়ামূলের কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেই পদকে উপপদ বলা হয়।
কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদের যে সমাস গঠিত হয়, তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলা হয়। -
উদাহরণ:
-
জলে চরে যা → জলচর
-
জল দেয় যে → জলদ
-
পক্ষে জন্মে যা → পঙ্কজ
-
-
অন্যান্য উদাহরণ:
গৃহস্থ, সত্যবাদী, ইন্দ্রজিৎ, ছেলেধরা, ধামাধরা, পকেটমার, পাতাচাটা, হাড়ভাঙ্গা, মাছিমারা, ছারপোকা, ঘরপোড়া, বর্ণচোরা, গলাকাটা, পা-চাটা, পাড়াবেড়ানি, ছা-পোষা
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম–দশম শ্রেণি (২০১৯-সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago