রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'নষ্টনীড়' গল্পের একটি বিখ্যাত চরিত্র-
A
বিনোদিনী
B
হৈমন্তী
C
আশালতা
D
চারুলতা
উত্তরের বিবরণ
‘নষ্টনীড়’ ছোটগল্প:
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’ গল্পে একজন নিঃসঙ্গ নারীর জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
-
গল্পটি ১৯০১ সালে রচিত ও প্রকাশিত হয়।
-
এই গল্পের প্রধান চরিত্রের নাম চারুলতা, যার উপর ভিত্তি করে সত্যজিৎ রায় ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ নামের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
-
গল্পের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল অমল এবং ভূপতি।
অন্যান্য সম্পর্কিত চরিত্র:
-
রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’ উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র: আশালতা ও বিনোদিনী।
-
‘হৈমন্তী’ ছোটগল্পের বিখ্যাত চরিত্র: হৈমন্তী।
উৎস:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নষ্টনীড় ছোটগল্প।
0
Updated: 1 month ago
কোন কাব্যের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?
Created: 4 days ago
A
মানসী
B
সোনার তরী
C
ক্ষনিকা
D
গীতাঞ্জলি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বিশ্বসাহিত্যের এক অনন্য প্রতিভা, যিনি তাঁর কবিতা, গান, গল্প ও চিন্তাধারার মাধ্যমে মানবতার সার্বজনীন বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম শুধু বাংলার গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনেও আলো ছড়িয়েছেন। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির মূল কারণ ছিল তাঁর এমন এক কাব্যগ্রন্থ, যা মানবমনের গভীর অনুভূতি, ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ও বিশ্বমানবতার এক অনুপম সংলাপ সৃষ্টি করেছিল।
এই কাব্যগ্রন্থটির নাম “গীতাঞ্জলি” (Gitanjali), যার ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটি মূলত তাঁর লেখা বাংলার ১৫৭টি গানের মধ্যে থেকে বাছাই করা ১০৩টি কবিতার ইংরেজি সংকলন। নিচে ব্যাখ্যা দেওয়া হলো—
-
গীতাঞ্জলি শব্দের অর্থ “গান বা কবিতার নিবেদন”। এটি কবির হৃদয়ের গভীর থেকে উৎসারিত এক আধ্যাত্মিক প্রার্থনা, যেখানে মানুষ ও সৃষ্টিকর্তার সম্পর্ককে অনুভূতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
-
এই কাব্যে কবি মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে এক চিরন্তন যোগসূত্র খুঁজেছেন। তাঁর কবিতায় ঈশ্বর মানে শুধু ধর্মীয় ধারণা নয়, বরং জীবনের প্রতিটি রূপে নিহিত এক সর্বব্যাপী শক্তি।
-
১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই “Gitanjali” কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এটি ছিল সাহিত্যে নোবেলজয়ী প্রথম এশীয় সাহিত্যকর্ম।
-
গীতাঞ্জলির কবিতাগুলো সরল ভাষায় লেখা হলেও তাতে গভীর দার্শনিক ভাবনা রয়েছে। কবির কণ্ঠে এখানে শোনা যায় ভক্তির গান, প্রেমের আবেগ, প্রকৃতির সৌন্দর্য, এবং মানবমুক্তির তত্ত্ব।
-
বইটির ইংরেজি ভূমিকা লেখেন ডব্লিউ. বি. ইয়েটস, যিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতার আধ্যাত্মিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর প্রশংসায় গীতাঞ্জলি দ্রুতই ইউরোপে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
-
গীতাঞ্জলির কবিতাগুলো বিশ্বমানবতার এক প্রতীক, যেখানে ধর্ম, জাতি, বর্ণ বা ভাষার কোনো সীমানা নেই। এই সার্বজনীনতার কারণেই এটি পশ্চিমা সাহিত্যসমাজেও গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
-
গীতাঞ্জলির প্রতিটি কবিতা যেন এক একটি প্রার্থনা বা আত্মসমর্পণের সুর। কবি এখানে নিজের অহং ত্যাগ করে মানবপ্রেম ও ঈশ্বরভক্তিকে একাকার করেছেন।
-
রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, “যে প্রেমের মধ্যে ঈশ্বর আছেন, সেই প্রেমই মানুষের মুক্তি।” গীতাঞ্জলির প্রতিটি পংক্তিতে এই দর্শন গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
এই কাব্যের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকে দেখিয়েছেন পূর্ব ও পশ্চিমের ভাবজগতের এক চমৎকার সেতুবন্ধন, যা পরবর্তীতে তাঁকে “বিশ্বকবি” উপাধি এনে দেয়।
সব মিলিয়ে, “গীতাঞ্জলি” শুধুমাত্র একটি কাব্য নয়; এটি ছিল এক আধ্যাত্মিক যাত্রা, যা মানবমনের গভীর অনুভূতিকে বিশ্বচেতনায় রূপান্তরিত করেছিল। সেই কারণেই এই কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
0
Updated: 4 days ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
Created: 3 weeks ago
A
১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ
B
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ
C
১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ
D
১৩৬৮ বঙ্গাব্দের ২২ বৈশাখ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অমর প্রতিভা, যিনি একাধিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদান রেখেছেন—কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজ-সংস্কারক হিসেবে। তিনি ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এবং এশিয়ার বিদগ্ধ ও বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম এই গৌরব অর্জন করেন।
তাঁর জীবনবৃত্তান্তের মূল তথ্যসমূহ:
-
জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
-
পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
-
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান।
-
তিনি বাংলাদেশের শাহজাদপুর, পতিসর, কালিগ্রাম ও শিলাইদহে বসবাস করেছেন।
-
১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
বনফুল
-
কবিকাহিনী
-
গীতাঞ্জলি
-
পূরবী
-
শেষ লেখা
-
রবীন্দ্রনাথের কাব্যরচনা মানবতার অনুভূতি, প্রেম, প্রকৃতি, সামাজিক সচেতনতা ও আত্মিক অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করে গঠিত।
-
তাঁর সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষার গৌরব বৃদ্ধি এবং বিশ্বসাহিত্যে স্বীকৃতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 3 weeks ago
'জয়গুন' কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 3 months ago
A
জননী
B
সূর্য-দীঘল বাড়ী
C
সারেং বৌ
D
হাজার বছর ধরে
• 'সূর্য দীঘল বাড়ী' উপন্যাস:
- আবু ইসহাক রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস।
- ১৯৫৫সালে উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়।
- বাংলাদেশের গ্রাম জীবনের বিশ্বস্ত দলিল এই গ্রন্থ।
- বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশবিভাগ প্রভৃতি পরপর চারটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে তিনি রচনা করেন 'সূর্য দীঘল বাড়ী'।
- জয়গুন এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র।
• উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র:
- হাসু,
- মায়মুন,
- শাফি,
- ডা. রমেশ চক্রবর্তী,
-মোরল গদু ইত্যাদি।
---------------------
• আবু ইসহাক:
- আবু ইসহাক কথাসাহিত্যিক, অভিধান-প্রণেতা। জন্ম শরিয়তপুর জেলার শিরঙ্গল গ্রামে, ১৯২৬ সালের ১ নভেম্বর।
- কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত নবযুগ পত্রিকায় আবু ইসহাকের ‘অভিশাপ’ নামে একটি গল্প প্রকাশিত হয়।
- পরে কলিকাতার সওগাত, আজাদ প্রভৃতি পত্রিকায় তাঁর বিভিন্ন রচনা প্রকাশিত হয়।
- আবু ইসহাকের দ্বিতীয় উপন্যাস পদ্মার পলিদ্বীপ (১৯৮৬); এ উপন্যাসে পদ্মার বুকে জেগে-ওঠা চরের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-সংগ্রামের কথা আছে।
- ২০০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
• আবু ইসহাক রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
- পদ্মার পলিদ্বীপ,
- জাল।
• গল্পগ্রন্থ:
- হারেম,
- মহাপতঙ্গ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago