প্রচুর + য = প্রাচুর্য; কোন প্রত্যয়?
A
কৃৎ প্রত্যয়
B
তদ্ধিত প্রত্যয়
C
বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
D
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
উত্তরের বিবরণ
তদ্ধিত 'য' প্রত্যয় এবং প্রাতিপদিকের অক্ষর লোপ
বাংলা ভাষার ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী, যখন তদ্ধিত ‘য’ প্রত্যয় কোনো শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন প্রাতিপদিকের শেষ অক্ষর যদি অ, আ, ই, ঈ ইত্যাদি হয়, তা লোপ পায়। অর্থাৎ, শেষের অক্ষর মুছে গিয়ে নতুন রূপ তৈরি হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
সম্ + য → সাম্য
-
কবি + য → কাব্য
-
মধুর + য → মাধুর্য
-
প্রাচী + য → প্রাচ্য
-
প্রচুর + য → প্রাচুর্য
এভাবে, ‘য’ প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার সময় মূল শব্দের শেষ অক্ষর পরিবর্তিত বা লোপ পেতে পারে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ
0
Updated: 1 month ago
'মাতা' শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মা + তৃচ/তা
B
মাতৃ + আ
C
মাত্ + আ
D
মাতা + অ
মাতা শব্দটির প্রকৃতি ও প্রত্যয় হলো মা + তৃচ।
0
Updated: 1 month ago
প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ কোনটি?
Created: 3 months ago
A
ডাক্তারখানা
B
অনুগমন
C
দিলখোলা
D
সম্রাট
উত্তর: ক) ডাক্তারখানা।
ডাক্তারখানা শব্দটি বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে গঠিত। এখানে "ডাক্তার" শব্দের সঙ্গে "খানা" প্রত্যয় যুক্ত হয়ে শব্দটি তৈরি হয়েছে।
অপশন বিশ্লেষণ:
খ) অনুগমন: এটি উপসর্গ ও প্রত্যয়যোগে গঠিত। "অনু-" উপসর্গ, "গম্" ধাতু এবং "-অন" প্রত্যয় যুক্ত হয়ে শব্দটি গঠিত হয়েছে।
গ) দিলখোলা: এটি একটি সমাসবদ্ধ পদ। এখানে কোনো প্রত্যয় যুক্ত হয়নি, তাই এটি প্রত্যয়যোগে গঠিত নয়।
ঘ) সম্রাট: এটি তৎসম শব্দ। "সম্" উপসর্গ যুক্ত হলেও কোনো প্রত্যয় নেই। তাই এটি প্রত্যয়যোগে গঠিত নয়।
উল্লিখিত অপশনগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র "ডাক্তারখানা" প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ। তাই সঠিক উত্তর ডাক্তারখানা।
প্রত্যয়:
প্রত্যয় হলো এমন শব্দাংশ, যা ধাতু বা শব্দের পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে। যেমন:
-
বাঘ + আ = বাঘা (তদ্ধিত প্রত্যয়)।
-
কৃ + তব্য = কর্তব্য (কৃৎ প্রত্যয়)।
ধাতুর পরে যোগ হলে তা কৃৎ প্রত্যয়, আর শব্দের পরে যোগ হলে তদ্ধিত প্রত্যয়।
"ডাক্তারখানা"-তে 'খানা' হলো তদ্ধিত প্রত্যয়।
0
Updated: 3 months ago
'শান্তি' শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
√শাম্+ক্তি
B
√শম্+ক্তি
C
√শ্রু+ক্তি
D
√শ্যাম্+ক্তি
বাংলা ভাষায় কৃৎ-প্রত্যয় বিশেষভাবে শব্দ গঠনে ব্যবহৃত হয়, যা ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ সৃষ্টি করে। বিশেষভাবে ক্তি-প্রত্যয়ের কিছু নিয়ম আছে যা ধাতুর পরিবর্তন বা উপধার বৃদ্ধি ঘটায়। নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
-
উদাহরণ: √শম্ + ক্তি = শান্তি
-
বিশেষ নিয়মে সাধিত কৃৎ-প্রত্যয়
-
ক্তি-প্রত্যয় যোগ করলে কোনো কোনো ধাতুর অন্ত ব্যঞ্জন লোপ পায়।
-
উদাহরণ:
-
√মন্ + ক্তি = মতি
-
√রম্ + ক্তি = রতি
-
-
-
কোনো কোনো ধাতুর উপধা অ-কারের বৃদ্ধি হয়, অর্থাৎ আ-কার যুক্ত হয়।
-
উদাহরণ:
-
√শ্রম্ + ক্তি = শ্রান্তি (সন্ধিসূত্রে ম > ন হয়)
-
√শম্ + ক্তি = শান্তি
-
-
-
-
নিপাতনে সিদ্ধ ধাতু
-
√গৈ + ক্তি = গীতি
-
√সিধ + ক্তি = সিদ্ধি
-
√বুধ + ক্তি = বুদ্ধি
-
√শিক্ + ক্তি = শক্তি
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago