ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা কবিতা কোনটি?
A
হুলিয়া
B
তোমাকে অভিবাদন প্রিয়া
C
সোনালি কাবিন
D
স্মৃতিস্তম্ভ
উত্তরের বিবরণ
'স্মৃতিস্তম্ভ' কবিতা
'স্মৃতিস্তম্ভ' কবিতাটি আলাউদ্দিন আল আজাদ এর 'মানচিত্র' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত এই কবিতাটি।
স্মৃতিস্তম্ভ কবিতার কয়েকটি লাইন নিম্নরূপ
স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো
চারকোটি পরিবার
খাড়া রয়েছি তো ! যে-ভিত কখনো কোনো রাজন্য
পারেনি ভাঙতে
---------------------
আলাউদ্দিন আল আজাদ
- আলাউদ্দিন আল আজাদ একজন শিক্ষাবিদ, কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, গবেষক, সাহিত্য-সমালোচক।
- তিনি ১৯৩২ সালের ৬ মে , নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার রামনগর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
- আলাউদ্দিন আল আজাদ রচিত কবিতা 'স্মৃতিস্তম্ভ' মানচিত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
• তাঁর রচিত উপন্যাস :
- তেইশ নম্বর তৈলচিত্র,
- শীতের শেষ রাত বসন্তের প্রথম দিন,
- কর্ণফুলী,
- ক্ষুধা ও আশা,
- খসড়া কাগজ,
- স্বপ্নশিলা,
- বিশৃঙ্খলা।
• কাব্যগ্রন্থ:
- মানচিত্র,
- ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ,
• গল্পগ্রন্থ:
- জেগে আছি,
- মৃগনাভি,
- ধানকন্যা,
- যখন সৈকত,
- অন্ধকার সিঁড়ি,
- জীবনজামিন,
- আমার রক্ত স্বপ্ন আমার।
উৎস: স্মৃতিস্তম্ভ, আলাউদ্দিন আল আজাদ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 1 month ago
"আমি সেই দিন হব শান্ত, যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না।" - এই পংক্তিটি কোন কবিতার অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
বিদ্রোহী
B
সাম্যবাদী
C
কামাল পাশা
D
রণভেরী
0
Updated: 1 month ago
কোনটি নির্মলেন্দু গুণের অনুবাদ কবিতা?
Created: 1 month ago
A
অন্তর্জাল
B
তোহু
C
হুলিয়া
D
রূপজালাল
'তোহু' নির্মলেন্দু গুণের একটি অনুবাদ কবিতা।
-
নির্মলেন্দু গুণ:
-
জন্ম ২১ জুন ১৯৪৫ সালে নেত্রকোনার কাশবনে।
-
ডাকনাম ছিল রতন।
-
তিনি মূলত একজন কবি ছিলেন।
-
তাঁকে বাংলাদেশের কবিদের কবি বলা হয়।
-
তাঁর কবিতায় প্রেম, বিপ্লব, গ্রামীণ মানুষের জীবন, সমাজ-বাস্তবতা ও রাজনৈতিক চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
-
উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
কবিতা: প্রেমাংশুর রক্ত চাই, না প্রেমিক না বিপ্লবি, চাষাভূষার কাব্য, মুজিব লেলিন ইন্দিরা, হুলিয়া প্রভৃতি।
-
অনুবাদ কবিতা: রক্ত আর ফুলগুলি, তোহু, রাজনৈতিক কবিতা।
-
ছোটগল্প: অন্তর্জাল, আপনদলের মানুষ।
-
উল্লেখ্য, 'রূপজালাল' নবাব ফয়জুন্নেসার একমাত্র গ্রন্থ।
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় 'কালাপাহাড়'-কে স্মরণ করেছেন কেন?
Created: 2 months ago
A
ব্রাহ্মণ্যযুগে নব মুসলিম ছিলেন বলে
B
ইসলামের গুণকীর্তন করেছিলেন বলে
C
প্রাচীন বাংলার বিদ্রোহী ছিলেন বলে
D
প্রচলিত ধর্ম ও সংস্কার-বিদ্বেষী ছিলেন বলে
‘মানুষ’ কবিতায় কালাপাহাড় প্রসঙ্গ
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘মানুষ’ কবিতায় ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব গজনি মামুদ, চেঙ্গিস খান ও কালাপাহাড়ের নাম উল্লেখ করেছেন। এখানে বিশেষভাবে কালাপাহাড়কে স্মরণ করেছেন ধর্ম ও সংস্কারের অন্ধত্ব ও বিদ্বেষ ভাঙার প্রতীক হিসেবে।
কবির বক্তব্য— মসজিদ বা মন্দিরে মানুষের প্রবেশাধিকার রুদ্ধ করা যায় না; স্রষ্টার ঘরে কপাট লাগানো অন্যায়। তাই কবি আহ্বান জানাচ্ছেন, ভক্তির নামে গড়া ভজনালয়ের তালা-দেওয়া দরজা ভেঙে ফেলতে।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম
-
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অগ্রণী ব্যক্তিত্ব।
-
জন্ম: ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ (২৪ মে ১৮৯৯), পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
-
ডাক নাম: ‘দুখু মিয়া’।
-
সাহিত্যজগতে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে।
-
বাংলা গানের ভুবনে খ্যাতি পেয়েছেন ‘বুলবুল’ হিসেবে।
নজরুলের কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
অগ্নিবীণা
-
সঞ্চিতা
-
চিত্তনামা
-
মরুভাস্কর
-
প্রলয় শিখা
-
নির্ঝর
-
ভাঙার গান
-
সর্বহারা
-
ফণি-মনসা
-
চক্রবাক
-
সাম্যবাদী
-
ছায়ানট
-
পুবের হাওয়া
-
জিঞ্জির
-
বিষের বাঁশি
-
দোলনচাঁপা
-
চন্দ্ৰবিন্দু
-
সিন্ধু হিন্দোল
-
নতুন চাঁদ ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago