জেলে জীবন কেন্দ্রিক উপন্যাস কোনটি?
A
গঙ্গা
B
পুতুলনাচের ইতিকথা
C
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
D
গৃহদাহ
উত্তরের বিবরণ
গঙ্গা উপন্যাস
-
সমরেশ বসুর বিখ্যাত রচনা ‘গঙ্গা’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে।
-
উপন্যাসটির মূল পটভূমি হলো জেলে সম্প্রদায়ের জীবন—বিশেষত অবিভক্ত ২৪ পরগনার মাছধরা মানুষদের জীবনসংগ্রাম।
-
এখানে মূল কেন্দ্রবিন্দু চরিত্র নয়, বরং জেলেদের জীবন। তাদের দৈনন্দিন কষ্ট, লড়াই ও অভ্যাস—সবই লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে: সাইদার নিবারণ, নিবারণের ভাই পাঁচু, ছেলে বিলাস, বশীর, সয়ারাম, পাচী (ছায়া), রসিক, দুলাল, দামিনী, হিমি, আতর, মহাজন ব্রজেন ঠাকুর প্রমুখ।
-
প্রথমে মনে হয় বিলাস ও হিমিই নায়ক-নায়িকা, কিন্তু আসলে সব চরিত্রকে ঘিরে আছেন নিবারণ—তাই নিবারণকেই কেন্দ্রীয় চরিত্র ধরা হয়।
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত এই উপন্যাস প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে।
-
লেখকের মতে, সাহিত্যেও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এ উপন্যাসে সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ দেখা যায়।
-
ব্রিটিশ আমলে বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানসিক দ্বন্দ্ব ও অস্তিত্ব সংকট শশী চরিত্রের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
-
এখানে ‘পুতুল’ বলতে বোঝানো হয়েছে—যারা নিজের দৃঢ় অবস্থান রাখতে পারে না, বরং অন্যের সামান্য প্রভাবেই দোদুল্যমান হয়ে যায়।
-
প্রধান চরিত্র: শশী, কুসুম, হারু ঘোষ প্রমুখ।
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
-
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত এই উপন্যাসটি মূলত আঞ্চলিক কাহিনি।
-
কাহিনি আবর্তিত হয়েছে বাঁশবাড়ি গ্রামের কাহার জাতিকে ঘিরে।
-
পুরোনো বিশ্বাস, কুসংস্কার আর সময়ের পরিবর্তনে তাদের জীবনে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, তাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
গৃহদাহ
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘গৃহদাহ’, যা প্রকাশিত হয় ১৯২০ সালে, মাসিক ভারতবর্ষ পত্রিকায়।
-
এর মূল বিষয় হলো ত্রিভুজ প্রেম।
-
নায়িকা অচলা—যার প্রতি মহিম ও সুরেশ দুই পুরুষের আকর্ষণ-বিকর্ষণ এই কাহিনির মূল কেন্দ্র।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক কে?
Created: 2 months ago
A
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
প্যারীচাঁদ মিত্র
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্যারীচাঁদ মিত্র
-
প্যারীচাঁদ মিত্র ১৮১৪ সালের ২২ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ছিলেন একজন লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী ও ব্যবসায়ী।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘টেকচাঁদ ঠাকুর’।
-
১৮২৭ সালে তিনি হিন্দু কলেজে ভর্তি হন এবং খ্যাতনামা শিক্ষক হেনরি ডিরোজিওর তত্ত্বাবধানে শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
-
বাংলা উপন্যাস রচনার পথিকৃৎ হিসেবে তিনি সর্বাধিক পরিচিত।
-
তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি ‘আলালের ঘরের দুলাল’, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত।
-
রচনারীতি ও ভাষাগত দিক থেকে এ উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে এক নতুন ধারার সূচনা করে।
-
এজন্য তাঁকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক এবং সাহিত্যধারার প্রতিষ্ঠাতা পুরুষ বলা হয়।
তাঁর উপন্যাসসমূহ
-
আলালের ঘরের দুলাল
-
আধ্যাত্নিকা
-
অভেদী
তাঁর একমাত্র প্রহসন
-
মদ খাওয়া বড় দায়—জাত থাকার কি উপায়
উৎস:
১) বাংলাপিডিয়া
২) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
“আবে হায়াত ও জীবন ক্ষুধা” এ দুটি উপন্যাসের লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
আলাউদ্দিন আল আজাদ
B
আবুল মনসুর আহমদ
C
আহমদ শরীফ
D
ড. লুৎফর রহমান
আবুল মনসুর আহমদ
-
জীবন ও পরিচিতি:
-
জন্ম: ১৮৯৮, ময়মনসিংহ
-
পেশা: সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক
-
রাজনীতি: বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়
-
সাহিত্য: বিদ্রুপাত্মক রচনার জন্য বিশেষ পরিচিত
-
-
গল্পগ্রন্থ:
-
ফুড কনফারেন্স
-
আয়না
-
আসমানী পর্দা
-
-
উপন্যাস:
-
সত্য মিথ্যা
-
জীবনক্ষুধা
-
আবে হায়াত
-
-
আত্মচরিত:
-
আত্মকথা
-
0
Updated: 1 month ago
’বৈকুণ্ঠের উইল’ কী ধরনের রচনা?
Created: 1 month ago
A
প্রবন্ধ
B
উপন্যাস
C
গল্প
D
নাটক
‘বৈকুণ্ঠের উইল’ উপন্যাসের রচয়িতা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এটি তাঁর একটি চিরায়ত উপন্যাস, যা পরিবার, সম্পদ ও মানুষের মনস্তত্ত্বের জটিলতা তুলে ধরে।
-
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বৈকুন্ঠ মজুমদার, একজন ব্যবসায়ী ব্যক্তি। তিনি সৎ পরিশ্রমের মাধ্যমে ধ্বংসপ্রায় মুদি দোকানকে বড় আড়তে পরিণত করেন।
-
বৈকুন্ঠের দুই ছেলে: গোকুল (প্রথম স্ত্রীর সন্তান) এবং বিনোদ (দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান)।
-
গোকুল বোকা স্বভাবের হলেও বাবা, মা ও ভাইয়ের প্রতি তার ভালোবাসা গভীর। পড়াশোনায় মনোযোগ না থাকায় ছোটবেলাতেই বাবার আড়তের কাজে লেগে যায়।
-
বিনোদ পড়াশোনায় ভালো হলেও তার স্বভাব ও চালচলন পিতাকে সন্তুষ্ট করে না। বৈকুণ্ঠ মনে করেন, এত কষ্ট করে গড়ে তোলা তাঁর সম্পদ বিনোদ শুধুমাত্র আরাম-আয়েসের জন্য নষ্ট করবে।
-
এই আশঙ্কার কারণে, বৈকুণ্ঠ মৃত্যুর আগে স্ত্রীর সম্মতি নিয়ে সকল সম্পত্তি গোকুলের নামে উইল করেন।
-
উপন্যাসের মূল কাহিনী ঘুরে থাকে উইল সংক্রান্ত দুই ভাইয়ের মনোভাব, সম্পর্ক ও মানসিক দ্বন্দ্বের উপর।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
-
চরিত্রহীন
-
পণ্ডিতমশাই
-
পল্লীসমাজ
-
দেবদাস
-
শ্রীকান্ত
-
পরিণীতা
-
বিরাজবৌ
-
দত্তা
-
বামুনের মেয়ে
-
শেষ প্রশ্ন
-
দেনাপাওনা
-
পথের দাবী
-
বিপ্রদাস
-
উপন্যাসগুলিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রায়ই সমাজ, পরিবার ও নৈতিকতা নিয়ে গভীরভাবে আলোকপাত করেছেন।
-
‘বৈকুণ্ঠের উইল’-এ সম্পত্তি ও পরিবারের দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ও নৈতিক দিক ফুটে ওঠে।
0
Updated: 1 month ago