বিধবার প্রেম নিয়ে রচিত উপন্যাস কোনটি?
A
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘শেষ প্রশ্ন’
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চোখের বালি’
C
কাজী নজরুল ইসলামের ‘কুহেলিকা’
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’
উত্তরের বিবরণ
চোখের বালি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘চোখের বালি’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৩ সালে।
-
এই রচনার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ বাংলা উপন্যাসকে এক নতুন ধারায় নিয়ে আসেন।
-
তিনি এখানে কাহিনির ভার কমিয়ে চরিত্রের মনের দ্বন্দ্ব, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সংকটকে মূল বিষয় হিসেবে ব্যবহার করেন।
-
প্রধান চরিত্র বিনোদিনী ছিলেন এক বিধবা; তার প্রেম, দুঃখ, প্রত্যাশা কাহিনিকে সামনে এগিয়ে নেয়।
-
আশালতা ছিলেন মহেন্দ্রর স্ত্রী ও পতিব্রতা নারী। কিন্তু মহেন্দ্র স্ত্রীকে উপেক্ষা করে বিধবা বিনোদিনীর প্রতি আকৃষ্ট হন।
প্রধান চরিত্র: বিনোদিনী, মহেন্দ্র, আশালতা, বিহারী, রাজলক্ষ্মী প্রমুখ।
শেষ প্রশ্ন (শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘শেষ প্রশ্ন’ উপন্যাসে তিনি বিশ শতকের প্রথম ভাগের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজকে চিত্রিত করেছেন।
-
মানুষের রূপান্তরশীল জীবন, সমাজ ও মানসিকতার পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের কাহিনি গড়ে ওঠে।
কুহেলিকা (কাজী নজরুল ইসলাম)
-
কাজী নজরুল ইসলামের রাজনৈতিক উপন্যাস ‘কুহেলিকা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৪১ বঙ্গাব্দে (১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে) ‘নওরোজ’ পত্রিকায়।
-
এটি একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটভিত্তিক উপন্যাস, যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইঙ্গিত ও সমাজচিত্র এক বৃহৎ ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে।
-
উপন্যাসের নায়ক জাহাঙ্গীর।
-
বিখ্যাত উক্তি: “ইহারা মায়াবিনীর জাত, ইহারা সকল কল্যাণের পথে মায়াজাল পাতিয়া রাখিয়াছে।”
চরিত্র: কুহেলিকা, তাহমিনা, ফিরদৌস বেগম ইত্যাদি।
কপালকুণ্ডলা (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
-
‘কপালকুণ্ডলা’ (১৮৬৬) বঙ্কিমচন্দ্রের দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
এটি একদিকে রোমান্টিক, অন্যদিকে সমাজ ও সংস্কারের দ্বন্দ্বকে তুলে ধরে।
-
গল্পের কেন্দ্রে আছে বনবাসিনী কপালকুণ্ডলা এবং নবকুমারের বিবাহ ও সমাজসংঘাত।
-
উপন্যাসে প্রকৃতির সৌন্দর্য, রহস্য এবং চরিত্রের ট্র্যাজিক পরিণতি একে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।
-
নায়িকা কপালকুণ্ডলার সংলাপ “পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ?” – বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ হিসেবে খ্যাত।
-
লেখকের জীবদ্দশায় এর আটটি সংস্করণ প্রকাশিত হয় এবং এটি অনেকের মতে বঙ্কিমচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
চরিত্র: কপালকুণ্ডলা, নবকুমার, কাপালিক ইত্যাদি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি শুদ্ধ বানান?
Created: 1 month ago
A
প্রনয়নী
B
প্রণয়নী
C
প্রণয়িনী
D
প্রণয়নি
• শুদ্ধ বানান - প্রণয়িনী।
- এটি প্রণয়ী এর স্ত্রীবাচক শব্দ।
উৎস: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষায় শ্রীচৈতন্যদেবের প্রথম জীবনীগ্রন্থ কোনটি
Created: 1 month ago
A
শ্রীচৈতন্য-লীলা
B
চৈতন্য-চরিত্রামৃত
C
চৈতন্য-ভাগবত
D
চৈতন্য-মঙ্গল
শ্রীচৈতন্যদেব জন্মগ্রহণ করেন ১৪৮৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার, নবদ্বীপে। তাঁর প্রকৃত নাম বিশ্বম্ভর মিশ্র, তবে তিনি কৃষ্ণ চৈতন্য নামেও পরিচিত এবং ডাক নাম রাখা হয় নিমাই।
শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনী রচনার মাধ্যমে বাংলায় জীবনীসাহিত্য শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ণ জীবনীগ্রন্থসমূহ—
-
‘চৈতন্য-ভাগবত’: রচয়িতা বৃদ্ধাবন দাস, বাংলা ভাষায় প্রথম শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনী।
-
‘চৈতন্য-মঙ্গল’: রচয়িতা লোচন দাস, দ্বিতীয় জীবনীগ্রন্থ।
-
‘চৈতন্য-চরিত্রামৃত’: রচয়িতা কৃষ্ণদাস কবিরাজ, সর্বাপেক্ষা তথ্যবহুল চৈতন্যজীবনী।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'মৈমনসিংহ গীতিকা' এর ভূমিকা কে রচনা করেছেন?
Created: 3 weeks ago
A
চন্দ্রকুমার দে
B
দীনেশচন্দ্র সেন
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
রামরাম বসু
ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রচলিত লোকগানসমূহকে একত্রিত করে মৈমনসিংহ গীতিকা নামে পরিচিতি দেওয়া হয়। এই গীতিকা সংগ্রহ ও প্রকাশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মৈমনসিংহ নিবাসী চন্দ্রকুমার দে দীনেশচন্দ্র সেনের নির্দেশে এসব গান সংগ্রহ করেন। ১৯২৩ সালে দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৈমনসিংহ গীতিকা প্রকাশিত হয়, যার ভূমিকা রচিত হয়েছে দীনেশচন্দ্র সেনের দ্বারা। মৈমনসিংহ গীতিকা বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনূদিত ও মুদ্রিত হয়েছে।
-
গীতিকা ও রূপকথার সংখ্যা: ১০টি
-
গীতিকা ও রূপকথাসমূহ:
-
মহুয়া
-
মলুয়া
-
চন্দ্রাবতী
-
কমলা
-
দেওয়ান ভাবনা
-
দস্যু কেনারামের পালা
-
রূপবতী
-
কঙ্ক ও লীলা
-
কাজলরেখা (রূপকথা)
-
দেওয়ান মদিনা
-
0
Updated: 3 weeks ago