A
দারিদ্র বিমোচন
B
মৌলিক অধিকার রক্ষা
C
মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন
D
নারীদের উন্নয়ন ও সুরক্ষা
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ ও সুশাসন
জাতিসংঘ ১৯৯৭ সালে “Governance and Sustainable Development” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো সুশাসনের ধারণা এবং এর গুরুত্ব জাতিসংঘের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনের মতে, সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা উন্নয়ন করা।
কারণ:
-
যখন মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়, তখন মানুষ তাদের অধিকার ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে পারে।
-
একই সময়ে, নারীর উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
-
এর ফলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটে এবং দারিদ্র্য হ্রাস পায়।
জাতিসংঘ সুশাসন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ৮টি মূল উপাদান চিহ্নিত করেছে:
-
অংশগ্রহণ
-
মতামতের প্রতি মনোযোগ
-
জবাবদিহিতা
-
স্বচ্ছতা
-
দায়বদ্ধতা
-
কার্যকরী ও দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা
-
ন্যাযতা
-
আইনের শাসন
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 day ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
Created: 2 weeks ago
A
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
B
প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
C
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
D
নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
সুশাসন এবং এর পূর্বশর্ত
সুশাসন বলতে বোঝায় একটি দেশের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার এমন অবস্থা যেখানে সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যায়নিষ্ঠভাবে, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধভাবে পরিচালিত হয়। সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি ও কুশাসন কমানো।
-
ইংরেজিতে: Good Governance
-
ধারণার উৎস: বিশ্বব্যাংক
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথম সুশাসনের ধারণা প্রদান করে।
-
১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথম সুশাসনের সংজ্ঞা দেয়।
-
সুশাসনের গুরুত্ব:
-
দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক।
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।
-
সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সুশাসনের মূল নীতি:
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
সুশাসনের পূর্বশর্তসমূহ:
-
আইনের শাসন – দেশের সকল নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠান আইনের প্রতি সম্মান দেখায়।
-
স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা – প্রশাসন খোলামেলা এবং নাগরিকদের জন্য বোঝার উপযোগী হয়।
-
দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব প্রশাসন – সেবা জনগণের কল্যাণমুখী হয়।
-
অংশগ্রহণমূলক সরকার ব্যবস্থা – জনগণ নীতি প্রণয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে পারে।
-
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা স্বাধীন প্রচারমাধ্যম – জনগণ তথ্য পায় এবং নিজের মত প্রকাশ করতে পারে।
-
দায়বদ্ধতা (Responsibility) – কর্মকর্তারা তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি থাকে।
-
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ – কেন্দ্রীয় শক্তি সীমিত করে স্থানীয় ও নিম্নতর স্তরে ক্ষমতা প্রদান।
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা – রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা এবং স্বাধীন নির্বাচন।
-
বাকস্বাধীনতা – জনগণ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও বৈধতা – আইন প্রয়োগে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি, পৌরনীতি ও সুশাসন; প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 2 weeks ago
একজন যোগ্য প্রশাসক ও ব্যবস্থাপকের অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক গুণাবলীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ গুণ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
দায়িত্বশীলতা
B
নৈতিকতা
C
দক্ষতা
D
সরলতা
নৈতিকতা: যোগ্য প্রশাসক ও ব্যবস্থাপকের শ্রেষ্ঠ গুণ
একজন দক্ষ প্রশাসক ও ভালো ব্যবস্থাপকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো নৈতিকতা। কারণ নৈতিকতা মানুষের আচরণ, সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব পালনে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়।
নৈতিকতার বৈশিষ্ট্য
-
নৈতিকতা হলো মানুষের ভেতরের ধ্যান-ধারণা ও মূল্যবোধের সমষ্টি।
-
এটি একটি মানসিক বিষয়, যা মানুষের চিন্তা ও আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে।
-
বিবেক ও মানবিক মূল্যবোধ নৈতিকতাকে পরিচালিত করে।
-
নৈতিকতা ব্যক্তিগত জীবন যেমন নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি সমাজজীবনকেও প্রভাবিত করে।
-
তাই নৈতিকতাকে মানবজীবনের অন্যতম নৈতিক আদর্শ বলা হয়।
দার্শনিক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত
-
সক্রেটিস বলেছেন: “সৎ গুণই জ্ঞান” (Virtue is knowledge)।
-
জোনাথান হেইট (Jonathan Haidt)-এর মতে, নৈতিকতার উৎস হলো ধর্ম, ঐতিহ্য ও মানবীয় আচরণ।
-
নীতিবিদ ম্যুর বলেছেন: শুভর প্রতি ভালোবাসা এবং অশুভর প্রতি বিরাগই নৈতিকতার মূল ভিত্তি।
-
Collins English Dictionary-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী: “Morality is concerned with human behaviour, especially the distinction between good and bad and right and wrong behaviour.”
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 week ago
UNDP সুশাসন নিশ্চিতকরণে কয়টি উপাদান উল্লেখ করেছে?
Created: 1 week ago
A
৬টি
B
৭টি
C
৮টি
D
৯টি
UNDP এবং সুশাসন
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) ১৯৯৭ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে শাসনের মান উন্নয়নের গুরুত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে সুশাসনের একটি সংজ্ঞা প্রদান করে। UNDP-এর মতে:
“সুশাসন হলো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার ব্যবহার, যা দেশের সমস্ত স্তরে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োগ করা হয়।”
(Good Governance is the exercise of economic, political and administrative authority to manage a country's affairs at all levels)
UNDP অনুযায়ী সুশাসনের মূল উপাদানসমূহ (৯টি):
-
স্বচ্ছতা (Transparency): প্রশাসনিক কার্যক্রম স্পষ্ট ও সহজবোধ্য হওয়া।
-
আইনের শাসন (Rule of Law): সকল নাগরিকের জন্য আইন সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া।
-
সবার অংশগ্রহণ (Participation): নাগরিকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা থাকা।
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness): জনগণের চাহিদা ও সমস্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের তৎপরতা।
-
সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের প্রাধান্য (Majority Rule with Minority Rights): সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত মেনে চলা, কিন্তু সংখ্যালঘুর অধিকার রক্ষা।
-
সমতা (Equity): সকলের জন্য ন্যায্য সুযোগ এবং সেবা।
-
ন্যায্যতা (Fairness): সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রক্রিয়ায় ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখা।
-
জবাবদিহিতা (Accountability): প্রশাসন ও শাসকরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
-
কৌশলগত লক্ষ্য (Strategic Vision): দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন এবং লক্ষ্য অর্জনের দিক নির্দেশনা থাকা।
উৎস: UNDP ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago