A
দুর্নীতি দূর হয়
B
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
C
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসনের গুরুত্ব
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সুশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে পুঁজি বিনিয়োগ ও নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।
এ ধরণের উন্নয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় এবং বেকারত্ব কমায়। যেহেতু অর্থনীতি ও বিনিয়োগ সরাসরি সম্পর্কিত, তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে বিনিয়োগের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো. মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 day ago
কোনটি ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি নয়?
Created: 1 week ago
A
পুরস্কার ও শাস্তির ক্ষেত্রে সমতার নীতি প্রয়োগ
B
আইনের শাসন
C
সুশাসনের জন্য উচ্চ শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ
D
অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমতার নিশ্চিতকরণ
নৈতিক মূল্যবোধ ও ন্যায়পরায়ণতা
নৈতিক মূল্যবোধ হলো সেই মনোভাব ও আচরণ, যা মানুষ সবসময় ভালো, কল্যাণময় এবং অপরিহার্য মনে করে এবং মানসিক তৃপ্তি লাভ করে।
এর মূল উৎস হলো পরিবার। শিশু প্রথম নৈতিক শিক্ষা যেমন সত্য বলার গুরুত্ব, অন্যায় থেকে বিরত থাকা, দুঃস্থকে সাহায্য করা—এসব পরিবার থেকে শেখে।
নৈতিক মূল্যবোধের মূল দিকসমূহ:
-
নীতি ও উচিত-অনুচিতের বোধ
-
অন্যায় থেকে বিরত থাকা
-
সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা
-
দুঃস্থ বা অসহায়কে সহায়তা করা
ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি:
-
পুরস্কার ও শাস্তিতে সমতার নীতি প্রয়োগ
-
আইনের শাসন নিশ্চিত করা
-
অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমতার নিশ্চয়তা প্রদান
গুরুত্বপূর্ণ দিক:
সুশাসনের জন্য শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ করা ভালো, কিন্তু এটি ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি নয়। ন্যায়পরায়ণতা মূলত নৈতিক মূল্যবোধ ও নীতি ভিত্তিক আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত।
উৎস: মো: মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।,নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
সুশাসনের কোন নীতি সংগঠনের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে?
Created: 5 days ago
A
অংশগ্রহণ
B
জবাবদিহিতা
C
স্বচ্ছতা
D
সাম্য ও সমতা
সুশাসনের নীতি
সুশাসনে বেশ কয়েকটি নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেমন— অংশগ্রহণ, জবাবদিহিতা, সাম্য ও সমতা, স্বচ্ছতা ইত্যাদি। এর মধ্যে অংশগ্রহণের নীতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সংগঠনের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করে।
অংশগ্রহণের নীতির গুরুত্ব
অংশগ্রহণ মানে হলো— সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক স্তরের মানুষকে যুক্ত করা। এর মাধ্যমে:
-
সদস্যদের মতামত ও উদ্বেগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, ফলে তারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পায়।
-
সংস্থার ভেতরের প্রত্যেক সদস্য সক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে, যা তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়।
-
অংশগ্রহণ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যেখানে অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এতে সংগঠন আরও স্বচ্ছ ও স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়।
যদিও জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, সাম্য ইত্যাদি অন্য নীতিগুলোও সুশাসনে গুরুত্বপূর্ণ, তবে অংশগ্রহণ সরাসরি স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে বেশি কার্যকর।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 5 days ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য হলো -
Created: 1 day ago
A
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
B
নিজের অধিকার ভোগ করা
C
সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা
D
নিয়মিত কর প্রদান করা
সুশাসন
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিক শুধু অধিকার ভোগ করবে এমন নয়, বরং তার বিনিময়ে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যও পালন করতে হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠা কেবল সরকারের একার কাজ নয়, বরং জনগণেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কারণ, যদি জাতি কর্তব্যবিমুখ হয় তবে তারা কখনোই উন্নতি করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব হয় না।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি নাগরিকের কিছু মৌলিক কর্তব্য রয়েছে, যেমন:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন।
-
আইন মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেওয়া।
-
নিয়মিত কর পরিশোধ করা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা।
-
সন্তানদের সঠিক শিক্ষা প্রদান।
-
দেশের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা।
-
আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করা।
-
সর্বদা সচেতন ও সজাগ থাকা।
-
সংবিধান মেনে চলা।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তরিক হওয়া।
-
উদার ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করা।
➡️ সারসংক্ষেপে বলা যায়: সুশাসন কেবল সরকারের প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্ভব নয়, বরং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই এটি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 day ago