A
নারীদের ক্ষেত্রে
B
সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে
C
প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে
D
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে
উত্তরের বিবরণ
বিপরীত বৈষম্য (Reverse Discrimination):
সমতার প্রসঙ্গে “বিপরীত বৈষম্য” ধারণাটি গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের মধ্যে অনেক সময় কিছু গোষ্ঠী অন্যান্যদের তুলনায় পিছিয়ে থাকে। তাদের সমান অবস্থায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার বা প্রতিষ্ঠান প্রায়শই অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।
বাইরের দৃষ্টিতে এটি হয়তো বৈষম্য বলে মনে হতে পারে, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য হলো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সমতার নিশ্চয়তা। এই নীতিকেই আমরা ‘বিপরীত বৈষম্য’-এর নীতি বলি।
সুতরাং, পিছিয়ে পড়া বা সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই নীতি প্রয়োগ করা হয়।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 day ago
সরকারি চাকরিতে সততার মাপকাঠি কি?
Created: 1 week ago
A
যথা সময়ে অফিসে আগমন ও অফিস ত্যাগ করা
B
দাপ্তরিক কাজে কোনো অবৈধ সুবিধা গ্রহণ না করা
C
নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে অর্পিত দায়িত্ব যথাবিধি সম্পন্ন করা
D
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে কোনো নির্দেশ প্রতিপালন করা
সরকারি চাকরিতে সততার মানদণ্ড
সরকারি চাকরিতে সততার মাপকাঠি হলো নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের অভ্যাস। একজন কর্মকর্তা তার দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পন্ন করলে তাকে সততাবান ধরা হয়।
নৈতিকতা (Ethics)
-
নৈতিকতার ইংরেজি শব্দ Ethics এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ হলো চরিত্র বা রীতিনীতি (Character or Custom)।
-
প্রতিটি মানুষের জীবনেই নৈতিকতার গুরুত্ব রয়েছে।
-
নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণগত মান এবং নৈতিক বিচার যা ভাল ও মন্দ, সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে।
-
Webster’s Dictionary অনুযায়ী, নৈতিকতা হলো এমন একটি শৃঙ্খলা, যা নৈতিক কর্তব্য ও দায়বোধের মাধ্যমে ঠিক করে কী ভালো ও কী মন্দ।
-
Godiwalla & Faramarz মতে, নৈতিকতা হলো ভুল ও খারাপ থেকে সঠিক ও ভালো আলাদা করার প্রক্রিয়া, এবং তা বাস্তবে প্রয়োগযোগ্য।
-
Kreitner & Eliason (Foundations of Management) উল্লেখ করেছেন, নৈতিকতা হলো ভুল বনাম সঠিক এবং তার সাথে সম্পর্কিত দায়বদ্ধতার মূল্যায়ন।
নৈতিকতার মূল বৈশিষ্ট্য:
-
ভুল ও সঠিকের তুলনা করা।
-
নৈতিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করা।
-
প্রতিষ্ঠান ও সমাজের প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
-
ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা।
সংক্ষেপে, নৈতিকতা এমন কিছু মৌলিক নীতি নির্ধারণ করে যা আমাদের কাজকে গ্রহণযোগ্য ও সামাজিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে পরিচালিত হতে সাহায্য করে।
সততা (Honesty)
-
নীতিশাস্ত্রে সততা হলো মানুষের চরিত্রের স্থায়ী সৎ প্রবণতা, যা জন্মগত নয় বরং অর্জিত।
-
সততা মূলত কর্তব্যপরায়ণ অভ্যাসের ফল।
-
এরিস্টটল বলেছেন, সততা হলো মনের স্থায়ী অবস্থা, যা আমাদের ইচ্ছা ও বিচার-বুদ্ধি দ্বারা গঠিত এবং বাস্তব জীবনের আদর্শের উপর ভিত্তি করে।
-
মানুষ তখনই সৎলোক হয় যখন সে সৎ অভ্যাস গড়ে তোলে এবং নৈতিক আদর্শ অনুসারে কাজ করে।
-
নিজের প্রবৃত্তি ও কামনা বিচার-বুদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করলে ব্যক্তি চরিত্রবান হয়ে ওঠে।
-
ম্যাকেনজি অনুযায়ী, সততা হলো চরিত্রের সৎ অভ্যাস, যা কর্তব্যের সাথে সম্পর্কিত কিন্তু তার থেকে পৃথক।
-
কর্তব্য বলতে বোঝায় সেই বিশেষ কাজ যা আমাদের অবশ্যই করা উচিত।
সংক্ষেপে, সততা হলো অভ্যাস ও নৈতিক আদর্শ অনুসরণ করে সৎ কাজ করার ক্ষমতা।
উৎসঃ সিভিক এডুকেশন-১, বিএ/বিএসএস প্রোগ্রাম, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি কার লেখা?
Created: 1 week ago
A
ম্যাকিয়াভেলি
B
হবস
C
লক
D
রাসেল
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি বার্ট্রান্ড রাসেল-এর লেখা।
বার্ট্রান্ড রাসেল
- রাসেল ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক।
- তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব।
- ১৯৫০ সালে রাসেল সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি'কে ওপরে তুলে ধরা তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ।
উল্লেখ্য,
- বিখ্যাত দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের মতে সচেতনভাবে বা অচেতনভাবেই হোক মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জাগে যাদের কোন যুক্তি সঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি আবার বিজ্ঞান এদের নিয়ে আদৌ মাথা ঘামায় না।
- ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এই যে অনধিকৃত একটি রাজ্য তাতেই দর্শন বিচরণ করে চলেছে।
- আর এ কারণেই রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের মধ্যবর্তী অনধিকৃত রাজ্য (No Man's Land) বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও,
- Power : A New Social Analysis গ্রন্থটির রচয়িতা ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল।
- বইটি ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হয়।
- এই গ্রন্থের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষমতা অর্জন করা।
উৎস: শিক্ষার দার্শনিক ও মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি, এমএড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
সুশাসনের কোন নীতি সংগঠনের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে?
Created: 5 days ago
A
অংশগ্রহণ
B
জবাবদিহিতা
C
স্বচ্ছতা
D
সাম্য ও সমতা
সুশাসনের নীতি
সুশাসনে বেশ কয়েকটি নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেমন— অংশগ্রহণ, জবাবদিহিতা, সাম্য ও সমতা, স্বচ্ছতা ইত্যাদি। এর মধ্যে অংশগ্রহণের নীতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সংগঠনের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করে।
অংশগ্রহণের নীতির গুরুত্ব
অংশগ্রহণ মানে হলো— সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক স্তরের মানুষকে যুক্ত করা। এর মাধ্যমে:
-
সদস্যদের মতামত ও উদ্বেগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, ফলে তারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পায়।
-
সংস্থার ভেতরের প্রত্যেক সদস্য সক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে, যা তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়।
-
অংশগ্রহণ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যেখানে অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এতে সংগঠন আরও স্বচ্ছ ও স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়।
যদিও জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, সাম্য ইত্যাদি অন্য নীতিগুলোও সুশাসনে গুরুত্বপূর্ণ, তবে অংশগ্রহণ সরাসরি স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে বেশি কার্যকর।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 5 days ago