সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য হলো -
A
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
B
নিজের অধিকার ভোগ করা
C
সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা
D
নিয়মিত কর প্রদান করা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিক শুধু অধিকার ভোগ করবে এমন নয়, বরং তার বিনিময়ে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যও পালন করতে হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠা কেবল সরকারের একার কাজ নয়, বরং জনগণেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কারণ, যদি জাতি কর্তব্যবিমুখ হয় তবে তারা কখনোই উন্নতি করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব হয় না।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি নাগরিকের কিছু মৌলিক কর্তব্য রয়েছে, যেমন:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন।
-
আইন মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেওয়া।
-
নিয়মিত কর পরিশোধ করা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা।
-
সন্তানদের সঠিক শিক্ষা প্রদান।
-
দেশের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা।
-
আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করা।
-
সর্বদা সচেতন ও সজাগ থাকা।
-
সংবিধান মেনে চলা।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তরিক হওয়া।
-
উদার ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করা।
➡️ সারসংক্ষেপে বলা যায়: সুশাসন কেবল সরকারের প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্ভব নয়, বরং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই এটি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’-ধারণাটির প্রবর্তক কে?
Created: 1 month ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
হার্বার্ট স্পেন্সার
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
অ্যারিস্টটল
ইমানুয়েল কান্টকে আধুনিক নীতিশাস্ত্রে 'কর্তব্যমুখী নৈতিকতার' প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি একজন প্রখ্যাত জার্মান নীতিবিজ্ঞানী, যিনি নৈতিকতার মূলনীতিকে কর্মের ফলাফলের চেয়ে কর্মের ধরণ ও উদ্দেশ্যের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তাঁর নীতিবিদ্যার মূল কনসেপ্ট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য এবং শর্তহীন আদেশ। বিশেষভাবে, কান্টের কর্তব্যের নৈতিকতার দর্শন বলে যে কোনো কর্মের মূল্য তার ফলাফলের উপর নয়, বরং সেই কর্মের নৈতিক উদ্দেশ্য এবং স্বভাবের উপর নির্ভর করে। তিনি সততার জন্য সদিচ্ছা এবং কর্তব্যের জন্য কর্তব্যের ধারণার প্রবর্তক।
-
কর্তব্যমুখী নৈতিকতা বা কর্তব্যের নৈতিকতা যে কোনো কর্মের ফলাফলের বদলে কর্মের প্রকৃতির ওপর গুরুত্ব দেয়।
-
সৎ ইচ্ছা হলো নৈতিক ক্রিয়ার মূল ভিত্তি।
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য বোঝায়, যে কাজ আমরা করি তা শুধুমাত্র নৈতিক দায়বদ্ধতার কারণে করা উচিত।
-
শর্তহীন আদেশ বা কাতেগরিক্যাল ইম্পেরেটিভ নৈতিকতার একটি মূলনীতি, যা নির্দেশ করে যে নৈতিক আইন সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
নিশ্চিতভাবে তাঁর নীতিশাস্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:
-
Groundwork for the Metaphysics of Morals
-
Critique of Pure Reason
-
Critique of Practical Reason
-
Critique of Judgement
0
Updated: 1 month ago
United Nations Human Rights Council (UNHRC)-এর মতে, সুশাসনের মূল উপাদান কয়টি?
Created: 4 weeks ago
A
৪টি
B
৫টি
C
৬টি
D
৮টি
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বা United Nations Human Rights Council (UNHRC)-এর মতে, সুশাসনের জন্য কিছু মৌলিক উপাদান অপরিহার্য। এ উপাদানগুলো রাষ্ট্র ও সমাজে ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও জনগণমুখী শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
সুশাসনের মূল উপাদান (UNHRC অনুযায়ী):
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
দায়বদ্ধতা (Responsibility)
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
-
অংশগ্রহণ (Participation)
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness)
-
0
Updated: 4 weeks ago
বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ কোন মূল্যবোধের উদাহরণ?
Created: 4 weeks ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
আত্মিক মূল্যবোধ
D
আধুনিক মূল্যবোধ
আধুনিক মূল্যবোধ (Modern Values)
সমাজ ক্রমাগত পরিবর্তনশীল এবং এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়। অতীতের অনেক মূল্যবোধ আজ অর্থহীন বা অপ্রচলিত হয়ে গেছে। সমাজের নৈতিকতা, রীতিনীতি ও সামাজিক আচরণের সাথে মানিয়ে নতুন মূল্যবোধ গড়ে ওঠে।
-
অতীতে বাল্যবিবাহ প্রচলিত ছিল, কিন্তু বর্তমানে মানুষ এটি অপছন্দ করে এবং রাষ্ট্র আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে।
-
হিন্দু সমাজে অতীতে সতীদাহ ও সহমরণ প্রথা প্রচলিত ছিল, বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল; এগুলো আজ আর নেই।
-
মূল্যবোধের পরিবর্তনশীল প্রকৃতির কারণে বর্তমানের অনেক মূল্যবোধও ভবিষ্যতে পরিবর্তিত বা অপ্রচলিত হতে পারে, এবং নতুন মূল্যবোধ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে।
0
Updated: 4 weeks ago