সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য হলো -
A
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
B
নিজের অধিকার ভোগ করা
C
সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা
D
নিয়মিত কর প্রদান করা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিক শুধু অধিকার ভোগ করবে এমন নয়, বরং তার বিনিময়ে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যও পালন করতে হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠা কেবল সরকারের একার কাজ নয়, বরং জনগণেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কারণ, যদি জাতি কর্তব্যবিমুখ হয় তবে তারা কখনোই উন্নতি করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব হয় না।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি নাগরিকের কিছু মৌলিক কর্তব্য রয়েছে, যেমন:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন।
-
আইন মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেওয়া।
-
নিয়মিত কর পরিশোধ করা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা।
-
সন্তানদের সঠিক শিক্ষা প্রদান।
-
দেশের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা।
-
আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করা।
-
সর্বদা সচেতন ও সজাগ থাকা।
-
সংবিধান মেনে চলা।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তরিক হওয়া।
-
উদার ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করা।
➡️ সারসংক্ষেপে বলা যায়: সুশাসন কেবল সরকারের প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্ভব নয়, বরং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই এটি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
'সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন' কোন ধরণের মূল্যবোধ?
Created: 4 weeks ago
A
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
সামাজিক মূল্যবোধ
D
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
'সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন' রাজনৈতিক মূল্যবোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। রাজনৈতিক মূল্যবোধ মানুষের রাজনৈতিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত করে, যা সুশাসন ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ভিত্তি গঠন করে।
-
রাজনৈতিক মূল্যবোধ (Political Values): এটি সেই চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সংকল্পের সমষ্টি যা মানুষের রাজনৈতিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করে।
-
রাজনৈতিক মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত প্রধান উপাদানসমূহ:
-
রাজনৈতিক সততা
-
শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ
-
রাজনৈতিক সহনশীলতা
-
রাজনৈতিক জবাবদিহিতার মানসিকতা
-
দায়িত্বশীলতার নীতি কার্যকর করা
-
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান
-
সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ
-
বিরোধী মতকে প্রচার ও প্রসারের সুযোগ প্রদান
-
বিরোধী দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদান না করা
-
নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেয়া
-
আইনসভাকে কার্যকর হতে সাহায্য করা
-
0
Updated: 4 weeks ago
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক ঘোষিত সুশাসনের স্তম্ভ নয় কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
দায়িত্বশীলতা
B
জবাবদিহিতা
C
আইনি কাঠামো
D
স্বচ্ছতা
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
সুশাসন ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত একটি ধারণা। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহৃত হয়। একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক সংজ্ঞায় উল্লেখ করে যে, সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই গভর্নেন্স।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক প্রকাশ করে যে, সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।
-
বিশ্বব্যাংক ঘোষিত সুশাসনের চারটি স্তম্ভ:
১. দায়িত্বশীলতা (Responsibility / Accountability)
২. স্বচ্ছতা (Transparency)
৩. আইনি কাঠামো (Rule of Law)
৪. অংশগ্রহণ (Participation)
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক ঘোষিত এই চারটি স্তম্ভের মধ্যে ‘জবাবদিহিতা’ পৃথক স্তম্ভ নয়, বরং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত।
0
Updated: 4 weeks ago
UNDP সুশাসন নিশ্চিতকরণে কয়টি উপাদান উল্লেখ করেছে?
Created: 1 month ago
A
৬টি
B
৭টি
C
৮টি
D
৯টি
UNDP এবং সুশাসন
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) ১৯৯৭ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে শাসনের মান উন্নয়নের গুরুত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে সুশাসনের একটি সংজ্ঞা প্রদান করে। UNDP-এর মতে:
“সুশাসন হলো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার ব্যবহার, যা দেশের সমস্ত স্তরে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োগ করা হয়।”
(Good Governance is the exercise of economic, political and administrative authority to manage a country's affairs at all levels)
UNDP অনুযায়ী সুশাসনের মূল উপাদানসমূহ (৯টি):
-
স্বচ্ছতা (Transparency): প্রশাসনিক কার্যক্রম স্পষ্ট ও সহজবোধ্য হওয়া।
-
আইনের শাসন (Rule of Law): সকল নাগরিকের জন্য আইন সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া।
-
সবার অংশগ্রহণ (Participation): নাগরিকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা থাকা।
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness): জনগণের চাহিদা ও সমস্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের তৎপরতা।
-
সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের প্রাধান্য (Majority Rule with Minority Rights): সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত মেনে চলা, কিন্তু সংখ্যালঘুর অধিকার রক্ষা।
-
সমতা (Equity): সকলের জন্য ন্যায্য সুযোগ এবং সেবা।
-
ন্যায্যতা (Fairness): সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রক্রিয়ায় ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখা।
-
জবাবদিহিতা (Accountability): প্রশাসন ও শাসকরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
-
কৌশলগত লক্ষ্য (Strategic Vision): দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন এবং লক্ষ্য অর্জনের দিক নির্দেশনা থাকা।
উৎস: UNDP ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago