A
নৈতিক অনুশাসন
B
রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুশাসন
C
আইনের শাসন
D
আইনের অধ্যাদেশ
উত্তরের বিবরণ
রাজনৈতিক মূল্যবোধ (Political Values)
রাজনৈতিক মূল্যবোধ বলতে এমন চিন্তাভাবনা, উদ্দেশ্য ও সংকল্পকে বোঝায় যা মানুষের রাজনৈতিক আচরণ, সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করে।
রাজনৈতিক মূল্যবোধের উদাহরণ:
-
রাজনৈতিক সততা বজায় রাখা
-
শিষ্টাচার ও সৌজন্যপূর্ন আচরণ প্রদর্শন করা
-
রাজনৈতিক সহনশীলতা প্রকাশ করা
-
জবাবদিহিতার মানসিকতা রাখা
-
দায়িত্বশীলতার নীতি অনুসরণ করা
-
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সম্মান দেখানো এবং তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা
-
সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সহিষ্ণু থাকা
-
বিরোধী মতকে প্রকাশ ও প্রচারের সুযোগ দেওয়া
-
বিরোধী দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা না দেওয়া
-
নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়া
-
আইনসভাকে কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করা
সামাজিক মূল্যবোধ (Social Values)
সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।
সামাজিক মূল্যবোধের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
সামাজিক শিষ্টাচার ও সততা
-
সত্যবাদিতা ও ন্যায়বিচার
-
সহনশীলতা ও সহমর্মিতা
-
শ্রমের মর্যাদা মানা
-
শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা
-
দানশীলতা ও উদারতা
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের সদস্যদের সম্মিলিত বিশ্বাস, আদর্শ ও নীতির সমষ্টি যা তারা ভালো বলে গ্রহণ করে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ দু’ই মানুষের রাজনৈতিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালিত করে।
-
এই মূল্যবোধগুলো মানুষকে ভালো নাগরিক হতে অনুপ্রাণিত করে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 day ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
Created: 1 week ago
A
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
B
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন
C
সামাজিক উন্নয়ন
D
সবগুলোই
সুশাসনের ধারণা ও এর পূর্বশর্ত
সুশাসনের মূল পূর্বশর্ত হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন। সহজভাবে বলতে গেলে, সুশাসন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শাসন ও সুশাসন:
-
শাসন বলতে বোঝায় ক্ষমতার প্রয়োগ, জনগণের চাহিদা-দাবির প্রতি সাড়া দেওয়া এবং একটি জনসমষ্টি পরিচালনার প্রক্রিয়া।
-
এটি কোনো নতুন বিষয় নয়; শাসন ধারণা মানব সভ্যতার শুরু থেকেই বিদ্যমান।
-
বিশ্বজুড়ে শাসনের অর্থ ও সীমা নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্ক রয়েছে।
সুশাসন কীভাবে বোঝা যায়
-
এটি শুধুমাত্র সরকারের কার্যক্রম নয়, বরং জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায্যতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া।
-
সুশাসনের মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ রক্ষা পায়।
-
সুশাসন বহুমাত্রিক ধারণা; সাধারণত এটি চারটি অংশে বিভক্ত হয়:
-
রাজনৈতিক সুশাসন
-
সামাজিক সুশাসন
-
অর্থনৈতিক সুশাসন
-
সাংস্কৃতিক সুশাসন
-
ব্যবহারের ক্ষেত্র
সুশাসন শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা যায়, যেমন: আন্তর্জাতিক শাসন, জাতীয় শাসন, স্থানীয় শাসন এবং যৌথ শাসন। আজকের দিনে সুশাসনকে দেশের উন্নয়নের দিকনির্দেশনা হিসেবে দেখা হয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago
মূল্যবোধ পরীক্ষা করে -
Created: 5 days ago
A
ভাল ও মন্দ
B
ন্যায় ও অন্যায়
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলো
মূল্যবোধ
-
ইংরেজি প্রতিশব্দ: Value
-
সংজ্ঞা: মূল্যবোধ হলো এমন নীতি ও মানদণ্ড যা মানুষের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে পরিচালনা করে।
-
উৎস: পরিবার হলো মূল্যবোধের প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র, আর শিক্ষালয় হলো প্রাতিষ্ঠানিক উৎস।
-
ব্যাখ্যা: মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ তার চিন্তাভাবনা, আশা-আকাঙ্খা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাজ করে। এটি মানুষকে তার আচরণ ও কার্যকলাপে সঠিক দিশা দেখায়।
-
প্রকৃতি: মূল্যবোধ স্থায়ী নয়; সময় ও পরিবেশ অনুযায়ী এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
-
উদাহরণ: শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলাবোধ ও মানবিক আচরণ—all এগুলো মূল্যবোধের অংশ।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
যে সমস্ত চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শ মানুষের আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের সমষ্টিই মূল্যবোধ।
-
মূল্যবোধের সাহায্যে মানুষ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিকতা-অনৈতিকতা ইত্যাদি বিচার করে।
-
চিরন্তন মূল্যবোধ হলো সত্য ও ন্যায়, আর এর বিপরীতে দাঁড়ায় সার্থকতা, শঠতা, অসহিষ্ণুতা।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 5 days ago
নৈতিক আচরণবিধি (Code of ethics) বলতে বুঝায় -
Created: 1 week ago
A
মৌলিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত সাধারণ বচন যা সংগঠনের পেশাগত ভূমিকাকে সংজ্ঞায়িত করে
B
বাস্তবতার নিরিখে নির্দিষ্ট আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ সংক্রান্ত আচরণবিধি
C
দৈনন্দিন কার্যকলাপ ত্বরান্বিত করণে প্রণীত নৈতিক নিয়ম, মানদণ্ড বা আচরণবিধি
D
উপরের তিনটিই সঠিক
নৈতিক আচরণবিধি (Code of Ethics)
Oxford Reference অনুযায়ী, নৈতিক আচরণবিধি হলো সেই নৈতিক মানদণ্ড যা কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে এবং যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বা কর্মচারীদের মানতে প্রত্যাশিত।
বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি স্বেচ্ছায় এই ধরনের কোড তৈরি করে, যা প্রায়ই সরকারি ও অ-লাভজনক খাতে ব্যবহৃত হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি একটি গাইডলাইন যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে।
নীতিবিদ্যা (Ethics)
‘Ethics’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ‘ethika’ এবং ল্যাটিন ‘ethice’ থেকে, যার মূল উৎস হলো গ্রিক শব্দ ‘ethos’ যার মানে ‘চরিত্র’, ‘আচার-ব্যবহার’ বা ‘রীতি-নীতি’। শাব্দিক অর্থে, নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান, যা মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এবং উচিত-অনুচিত বিচার করে।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। এটি একটি আদর্শনিষ্ঠ শাস্ত্র, যা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিক বিবেচনা করে। অধ্যাপক ম্যাকেঞ্জি নীতিবিদ্যাকে “আচরণের সঠিকতা বা ভালত্ব সম্পর্কিত অধ্যয়ন” বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
অনুরূপভাবে, উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics এ উল্লেখ করেছেন, “নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়।”
সংক্ষেপে:
-
নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান।
-
এটি মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ নির্ধারণ করে।
-
এটি আদর্শনিষ্ঠ এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের।
-
নৈতিক আচরণবিধি হলো নীতিবিদ্যার ব্যবহারিক রূপ, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব ও আচরণগত মান নির্ধারণ করে।
উৎস: কৌশলগত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নৈতিকতার বিষয়সমূহ, এমবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago