A
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
B
জি. সি. দেব
C
আরজ আলী মাতুব্বর
D
আবদুল মতীন
উত্তরের বিবরণ
আরজ আলী মাতুব্বর
-
আরজ আলী মাতুব্বরকে বাংলাদেশের ‘নব-নৈতিকতা’ বা নতুন নৈতিকতার প্রবর্তক বলা হয়।
-
তিনি ছিলেন একজন স্বশিক্ষিত চিন্তাবিদ ও যুক্তিবাদী দার্শনিক, যিনি আনুষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা না থাকলেও গভীর দার্শনিক চিন্তাভাবনা করতেন।
-
মাতুব্বর বস্তুবাদী দর্শনে বিশ্বাসী, এবং মানবজীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও জড় জগত থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজস্ব দার্শনিক মতবাদ গড়ে তোলেন।
-
তিনি সবরকম অন্ধ বিশ্বাস, কুসংস্কার এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে দৃঢ় মনোবল ও যুক্তি নিয়ে অবস্থান নেন।
-
তার চিন্তাভাবনা ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, বরং ধর্মের নামে প্রচলিত অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল।
-
মাতুব্বর সত্য, ন্যায় এবং বিজ্ঞানের ভিত্তিতে নতুন নৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন।
-
তিনি দার্শনিক ধারার মধ্যে আত্মপ্রতিষ্ঠার গুরুত্বের কথাও বলেছেন।
-
বাংলাদেশের আরেকজন দার্শনিক জি.সি. দেব বস্তুবাদ ও অধ্যাত্মবাদের মিশ্রণে সমন্বয়ী দর্শনের প্রচার করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
সত্যের সন্ধান (১৯৭৩)
-
সৃষ্টির রহস্য (১৯৭৭)
-
অনুমান (১৯৮৩)
-
মুক্তমন (১৯৮৮)
-
এছাড়াও কিছু অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি সম্প্রতি আরজ আলী মাতুববর রচনাবলি নামে প্রকাশিত হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি সুশাসনের উপাদান নয়?
Created: 5 days ago
A
অংশগ্রহণ
B
স্বচ্ছতা
C
নৈতিক শাসন
D
জবাবদিহিতা
সুশাসনের উপাদান
সাধারণভাবে সুশাসন বলতে এমন এক প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যা একটি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ে। একই সঙ্গে সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সমাজে ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। সুশাসনের ভিত্তি হলো নৈতিকতা ও মূল্যবোধ।
সুশাসনের প্রধান উপাদানগুলো হলো
-
গণতন্ত্র
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
স্বচ্ছতা
-
বৈধতা
-
দায়িত্বশীলতা
-
জবাবদিহিতা
-
জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
-
স্বাধীন গণমাধ্যম
-
অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া
-
আইনের শাসন
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
-
জনবান্ধব প্রশাসন
-
সততা
-
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা
-
সুশীল সমাজের ভূমিকা
-
দক্ষতা
-
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
-
বিকেন্দ্রীকরণ
-
লিঙ্গ বৈষম্যের অনুপস্থিতি
-
সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি – মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 5 days ago
Johannesburg Plan of Implementation সুশাসনের সঙ্গে নিচের কোন বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়?
Created: 2 weeks ago
A
টেকসই উন্নয়ন
B
সাংস্কৃতিক উন্নয়ন
C
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন
D
উপরের কোনোটিই নয়
Johannesburg Plan of Implementation এবং টেকসই উন্নয়ন
-
Johannesburg Plan of Implementation কে সাধারণত জোহান্সবার্গ ঘোষণা নামেও জানা যায়।
-
এটি গৃহীত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গ শহরে ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনে।
-
এই পরিকল্পনা মূলত সুশাসনের সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন (Sustainable Development) এর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি।
মূল তথ্য:
-
জোহান্সবার্গ প্ল্যান হলো জাতিসংঘের একটি কর্মপরিকল্পনা, যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারী প্রতিনিধি, এনজিও, ব্যবসা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার নেতাদের অংশগ্রহণে গৃহীত।
-
এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সঙ্গে খাদ্য, পানি, আশ্রয়, স্যানিটেশন, জ্বালানি, স্বাস্থ্য সেবা এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পাশাপাশি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করা।
-
মূলত, এটি সুশাসনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার দিকে জোর দেয়।
উৎস: UN ওয়েবসাইট, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচীর ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 weeks ago
নৈতিক আচরণবিধি (Code of ethics) বলতে বুঝায় -
Created: 1 week ago
A
মৌলিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত সাধারণ বচন যা সংগঠনের পেশাগত ভূমিকাকে সংজ্ঞায়িত করে
B
বাস্তবতার নিরিখে নির্দিষ্ট আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ সংক্রান্ত আচরণবিধি
C
দৈনন্দিন কার্যকলাপ ত্বরান্বিত করণে প্রণীত নৈতিক নিয়ম, মানদণ্ড বা আচরণবিধি
D
উপরের তিনটিই সঠিক
নৈতিক আচরণবিধি (Code of Ethics)
Oxford Reference অনুযায়ী, নৈতিক আচরণবিধি হলো সেই নৈতিক মানদণ্ড যা কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে এবং যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বা কর্মচারীদের মানতে প্রত্যাশিত।
বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি স্বেচ্ছায় এই ধরনের কোড তৈরি করে, যা প্রায়ই সরকারি ও অ-লাভজনক খাতে ব্যবহৃত হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি একটি গাইডলাইন যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে।
নীতিবিদ্যা (Ethics)
‘Ethics’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ‘ethika’ এবং ল্যাটিন ‘ethice’ থেকে, যার মূল উৎস হলো গ্রিক শব্দ ‘ethos’ যার মানে ‘চরিত্র’, ‘আচার-ব্যবহার’ বা ‘রীতি-নীতি’। শাব্দিক অর্থে, নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান, যা মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এবং উচিত-অনুচিত বিচার করে।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। এটি একটি আদর্শনিষ্ঠ শাস্ত্র, যা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিক বিবেচনা করে। অধ্যাপক ম্যাকেঞ্জি নীতিবিদ্যাকে “আচরণের সঠিকতা বা ভালত্ব সম্পর্কিত অধ্যয়ন” বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
অনুরূপভাবে, উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics এ উল্লেখ করেছেন, “নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়।”
সংক্ষেপে:
-
নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান।
-
এটি মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ নির্ধারণ করে।
-
এটি আদর্শনিষ্ঠ এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের।
-
নৈতিক আচরণবিধি হলো নীতিবিদ্যার ব্যবহারিক রূপ, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব ও আচরণগত মান নির্ধারণ করে।
উৎস: কৌশলগত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নৈতিকতার বিষয়সমূহ, এমবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago