অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে -
A
দুর্নীতি দূর হয়
B
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
C
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসনের গুরুত্ব
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সুশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে পুঁজি বিনিয়োগ ও নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।
এ ধরণের উন্নয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় এবং বেকারত্ব কমায়। যেহেতু অর্থনীতি ও বিনিয়োগ সরাসরি সম্পর্কিত, তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে বিনিয়োগের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো. মোজাম্মেল হক
0
Updated: 1 month ago
অধ্যাপক ডাইসির মতে, আইনের শাসনের কয়টি মৌলিক শর্ত রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
একটি
B
দুইটি
C
তিনটি
D
চারটি
আইনের শাসন
-
অধ্যাপক ডাইসির মতে, আইনের শাসনের মৌলিক তিনটি শর্ত রয়েছে—
ক) আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান।
খ) আইনের আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ বিদ্যমান থাকা।
গ) শুনানি গ্রহণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা। -
এই তিনটি শর্ত পূরণ হলেই বলা যায় যে, আইনের শাসন কার্যকর হয়েছে।
-
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন—
-
ন্যায়পরায়ণ আচরণ,
-
নিপীড়নমুক্ত স্বাধীন পরিবেশ,
-
নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগ।
-
0
Updated: 1 month ago
“সুশাসন চারটি স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল” - এই অভিমত কোন সংস্থা প্রকাশ করে?
Created: 1 month ago
A
জাতিসংঘ
B
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি
C
বিশ্বব্যাংক
D
এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক
বিশ্বব্যাংক এবং সুশাসনের ধারণা মূলত বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রবর্তিত। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহার করা হয়। একটি রাষ্ট্রে যদি সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে সেই রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক সংজ্ঞায় উল্লেখ করে, ‘সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো গভর্নেন্স।’ পরে, ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করে যে, সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি মূল স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।
-
দায়িত্বশীলতা
-
স্বচ্ছতা
-
আইনি কাঠামো
-
অংশগ্রহণ
0
Updated: 1 month ago
নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষকে কী বলে?
Created: 3 weeks ago
A
শুদ্ধাচার
B
মূল্যবোধ
C
মানবিকতা
D
সফলতা
নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণের মানদণ্ড যা মানুষের কল্যাণ সাধন এবং সামাজিক সুস্থতা নিশ্চিত করে। এটি মানুষের বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক।
নৈতিক শিক্ষা সাধারণত পরিবার থেকে শুরু হয়, যেখানে শিশুরা জীবনের প্রাথমিক নৈতিক পাঠ শেখে। নৈতিকতার রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে বিবেকের দংশন, যা ভুল কাজ করার সময় অন্তর্দৃষ্টি এবং লজ্জা জাগায়।
নৈতিক শক্তির মূল উপাদান হলো সততা এবং নিষ্ঠা, যা ব্যক্তি ও সমাজকে উন্নত করে। নীতির বিপরীত হলো দুর্নীতি, যা সামাজিক ও ব্যক্তিগত ক্ষতি ঘটায়। নীতিশাস্ত্রের বিকাশ করেছেন এরিস্টটল, এবং নৈতিকতা ও সততার দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষকে শুদ্ধাচার (ethical excellence) বলা হয়।
-
নৈতিকতার লক্ষ্য হলো মানুষের কল্যাণ সাধন
-
নৈতিকতার নিয়ন্ত্রক হলো বিবেক ও মূল্যবোধ
-
নৈতিক শিক্ষা শুরু হয় পরিবারে
-
নৈতিকতার রক্ষাকবচ হলো বিবেকের দংশন
-
নৈতিক শক্তির প্রধান উপাদান সততা ও নিষ্ঠা
-
নীতির বিপরীত হলো দুর্নীতি
-
নীতিশাস্ত্রের বিকাশ করেন এরিস্টটল
-
নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষকে শুদ্ধাচার বলা হয়
0
Updated: 3 weeks ago