অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে -
A
দুর্নীতি দূর হয়
B
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
C
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসনের গুরুত্ব
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সুশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে পুঁজি বিনিয়োগ ও নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।
এ ধরণের উন্নয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় এবং বেকারত্ব কমায়। যেহেতু অর্থনীতি ও বিনিয়োগ সরাসরি সম্পর্কিত, তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে বিনিয়োগের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো. মোজাম্মেল হক
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে 'নব-নৈতিকতা'র প্রবর্তক হলেন -
Created: 1 month ago
A
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
B
জি. সি. দেব
C
আরজ আলী মাতুব্বর
D
আবদুল মতীন
আরজ আলী মাতুব্বর
-
আরজ আলী মাতুব্বরকে বাংলাদেশের ‘নব-নৈতিকতা’ বা নতুন নৈতিকতার প্রবর্তক বলা হয়।
-
তিনি ছিলেন একজন স্বশিক্ষিত চিন্তাবিদ ও যুক্তিবাদী দার্শনিক, যিনি আনুষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা না থাকলেও গভীর দার্শনিক চিন্তাভাবনা করতেন।
-
মাতুব্বর বস্তুবাদী দর্শনে বিশ্বাসী, এবং মানবজীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও জড় জগত থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজস্ব দার্শনিক মতবাদ গড়ে তোলেন।
-
তিনি সবরকম অন্ধ বিশ্বাস, কুসংস্কার এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে দৃঢ় মনোবল ও যুক্তি নিয়ে অবস্থান নেন।
-
তার চিন্তাভাবনা ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, বরং ধর্মের নামে প্রচলিত অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল।
-
মাতুব্বর সত্য, ন্যায় এবং বিজ্ঞানের ভিত্তিতে নতুন নৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন।
-
তিনি দার্শনিক ধারার মধ্যে আত্মপ্রতিষ্ঠার গুরুত্বের কথাও বলেছেন।
-
বাংলাদেশের আরেকজন দার্শনিক জি.সি. দেব বস্তুবাদ ও অধ্যাত্মবাদের মিশ্রণে সমন্বয়ী দর্শনের প্রচার করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
সত্যের সন্ধান (১৯৭৩)
-
সৃষ্টির রহস্য (১৯৭৭)
-
অনুমান (১৯৮৩)
-
মুক্তমন (১৯৮৮)
-
এছাড়াও কিছু অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি সম্প্রতি আরজ আলী মাতুববর রচনাবলি নামে প্রকাশিত হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধ (Values) কী?
Created: 2 months ago
A
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
B
শুধুমাত্র মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাদি নির্ধারণের দিক নির্দেশনা
C
সমাজ জীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় মনোভাব
D
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
মূল্যবোধ (Values)
মূল্যবোধ বলতে এমন সব চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, সংকল্প ও আদর্শকে বোঝায়, যা মানুষের আচরণ, সিদ্ধান্ত এবং কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি হলো মানুষের আচার-আচরণ ও নৈতিক সিদ্ধান্তের মানদণ্ড।
মূল উৎস:
-
পারিবারিক উৎস: পরিবার হলো মূল্যবোধ শেখার প্রাথমিক ও প্রধান উৎস। শিশু প্রথমে পরিবার থেকেই নৈতিকতা ও শিষ্টাচার শিখতে শুরু করে।
-
প্রাতিষ্ঠানিক উৎস: বিদ্যালয় হলো আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যবোধ শেখার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
মূল্যবোধের উপাদান:
-
সামাজিক রীতিনীতি ও প্রথা
-
ধর্ম
-
সমাজের আদর্শ ও নীতি
মূল্যবোধের পরিবর্তনশীলতা:
-
সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়। আধুনিক মূল্যবোধ বলতে সমাজের বর্তমান চাহিদা ও পরিবর্তনকে বোঝায়।
-
অতীতের অনেক মূল্যবোধ বর্তমানে অর্থহীন হয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আগে বাল্যবিবাহ প্রচলিত ছিল, এখন এটি অগ্রহণযোগ্য।
-
কিছু নৈতিক গুণাবলীর বিপরীত যেমন সার্থকতা, শঠতা, অসহিষ্ণুতা চিরন্তনভাবে নিন্দনীয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথমপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি -
Created: 4 weeks ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
D
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সমাজ ও রাষ্ট্রে এই মূল্যবোধের ধারণা বেশি উন্নত, সেই সমাজ ও রাষ্ট্র তত উন্নত ও প্রগতিশীল হয়।
-
জাতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ একটি জাতির রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এর ওপর ভিত্তি করে জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গড়ে ওঠে।
-
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে কর্মঠ ও পরিশ্রমী করে এবং দ্রুত উন্নতি অর্জনের পথ সুগম করে।
-
দেশাত্মবোধ জাগ্রত করে: এটি নাগরিকদের মধ্যে নিজের প্রতি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে এবং দেশের মঙ্গলের জন্য কর্তব্য পালন করার মনোভাব জাগ্রত করে।
-
সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রত্যেকের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ববোধ, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা তৈরি করে, যার ফলে সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য দৃঢ় হয়।
-
নাগরিকের ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহায্য করে: এটি নাগরিকের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ ও পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
-
উদারতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, সহিষ্ণুতা, সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘিষ্ঠের প্রতি শ্রদ্ধা, বিরোধী মত প্রচার ও নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার মনোভাব তৈরি হয়। এর ফলে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
-
জবাবদিহিতার মানসিকতা ও দায়িত্বশীল আচরণ: নাগরিক ও সরকার উভয়েই দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে। সরকার তাদের কাজের জন্য জনগণের নিকট জবাবদিহি করে এবং আইনসভায় জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর বা কৈফিয়ত প্রদান করে।
-
শৃঙ্খলাবোধ জাগ্রত করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করে, যা রাষ্ট্রের অগ্রগতি ও উন্নতি ত্বরান্বিত করে।
-
নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন: এটি নির্বাচনি রায় ও জনগণের ম্যান্ডেট মেনে সরকারকে নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ করতে দেয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে সরকার গঠন ও পরিবর্তনের মানসিকতা তৈরি করে।
0
Updated: 4 weeks ago