'বিপরীত বৈষম্য'-এর নীতিটি প্রয়োগ করা হয় -
A
নারীদের ক্ষেত্রে
B
সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে
C
প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে
D
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে
উত্তরের বিবরণ
বিপরীত বৈষম্য (Reverse Discrimination):
সমতার প্রসঙ্গে “বিপরীত বৈষম্য” ধারণাটি গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের মধ্যে অনেক সময় কিছু গোষ্ঠী অন্যান্যদের তুলনায় পিছিয়ে থাকে। তাদের সমান অবস্থায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার বা প্রতিষ্ঠান প্রায়শই অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।
বাইরের দৃষ্টিতে এটি হয়তো বৈষম্য বলে মনে হতে পারে, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য হলো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সমতার নিশ্চয়তা। এই নীতিকেই আমরা ‘বিপরীত বৈষম্য’-এর নীতি বলি।
সুতরাং, পিছিয়ে পড়া বা সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই নীতি প্রয়োগ করা হয়।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
কোনটি ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি নয়?
Created: 1 month ago
A
পুরস্কার ও শাস্তির ক্ষেত্রে সমতার নীতি প্রয়োগ
B
আইনের শাসন
C
সুশাসনের জন্য উচ্চ শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ
D
অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমতার নিশ্চিতকরণ
নৈতিক মূল্যবোধ ও ন্যায়পরায়ণতা
নৈতিক মূল্যবোধ হলো সেই মনোভাব ও আচরণ, যা মানুষ সবসময় ভালো, কল্যাণময় এবং অপরিহার্য মনে করে এবং মানসিক তৃপ্তি লাভ করে।
এর মূল উৎস হলো পরিবার। শিশু প্রথম নৈতিক শিক্ষা যেমন সত্য বলার গুরুত্ব, অন্যায় থেকে বিরত থাকা, দুঃস্থকে সাহায্য করা—এসব পরিবার থেকে শেখে।
নৈতিক মূল্যবোধের মূল দিকসমূহ:
-
নীতি ও উচিত-অনুচিতের বোধ
-
অন্যায় থেকে বিরত থাকা
-
সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা
-
দুঃস্থ বা অসহায়কে সহায়তা করা
ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি:
-
পুরস্কার ও শাস্তিতে সমতার নীতি প্রয়োগ
-
আইনের শাসন নিশ্চিত করা
-
অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমতার নিশ্চয়তা প্রদান
গুরুত্বপূর্ণ দিক:
সুশাসনের জন্য শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ করা ভালো, কিন্তু এটি ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি নয়। ন্যায়পরায়ণতা মূলত নৈতিক মূল্যবোধ ও নীতি ভিত্তিক আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত।
উৎস: মো: মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।,নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের অপরিহার্য শর্ত কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জেন্ডার সমতা
B
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
C
সরকার পরিবর্তন
D
সুশাসন
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হলো সেই রাষ্ট্র, যার সমস্ত সম্পদ ও শক্তি জনকল্যাণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
-
এ রাষ্ট্র জনগণের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করে।
-
তবে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়; কারণ এটি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য অক্ষুণ্ণ রেখে সমাজতান্ত্রিক কার্যাবলী সম্পাদন করে।
-
মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য এ রাষ্ট্র—
-
অধিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে,
-
বেকারভাতা প্রদান করে,
-
বিনা খরচে শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে,
-
বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
-
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য শর্ত।
0
Updated: 1 month ago
৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশের সংখ্যা-
Created: 1 month ago
A
১৯২টি
B
১০৯টি
C
১৯০টি
D
১৯১টি
United Nations Convention Against Corruption (UNCAC), popularly known as Merida Convention, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী চুক্তি। এটি বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত UNCAC-এর স্বাক্ষরকারী দেশ সংখ্যা ১৯১টি।
• জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র সংখ্যা ১৯৩, যার মধ্যে প্রায় সব দেশ UNCAC-এ অংশ নিয়েছে, মাত্র ২টি দেশ যুক্ত হয়নি।
• ১৯২টি: এটি জাতিসংঘের মোট সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা, কিন্তু UNCAC-এর স্বাক্ষরকারী দেশ নয়।
• ১০৯টি: কোনো প্রাসঙ্গিক UNCAC পরিসংখ্যান নয়, সম্ভবত অন্য কোনো কনভেনশনের সঙ্গে মিশ্রণ।
• ১৯০টি: ২০২৪-এর পূর্বের আনুমানিক সংখ্যা; ৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সঠিক সংখ্যা ১৯১।
মেরিডা কনভেনশন সম্পর্কিত তথ্য:
• আনুষ্ঠানিক নাম: United Nations Convention Against Corruption (UNCAC)
• জাতিসংঘের একমাত্র binding আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী চুক্তি
• UNCAC-এর মূল লক্ষ্য: দুর্নীতি প্রতিরোধ (prevention), অপরাধীকরণ (criminalization), আন্তর্জাতিক সহযোগিতা (international cooperation), সম্পদ পুনরুদ্ধার (asset recovery) এবং কারিগরি সহায়তা (technical assistance) প্রদান
• জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুমোদন: ৩১ অক্টোবর, ২০০৩
• স্বাক্ষরকাল: ৯-১১ ডিসেম্বর, ২০০৩
• স্বাক্ষর স্থান: মেরিডা, ইউকাতান, মেক্সিকো
• কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৫
• বর্তমান স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯১টি
• বাংলাদেশের স্বাক্ষর: ২০০৭, পরবর্তীতে অনুমোদনও প্রদান করেছে
0
Updated: 1 month ago