বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন কোনটি?
A
চর্যাপদ
B
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য
C
বঙ্গবাণী
D
অন্যমঙ্গল কাব্য
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন।
- এটি মূলত গানের সংকলন।
- ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন।
- চর্যাপদ রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। সহজিয়াগণ হচ্ছেন বৌদ্ধ সহজযান পন্থি।
- চর্যাপদের পদ সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ আছে। সুকুমার সেনের হিসাবে ৫১টি পদ এবং মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন ৫০টি পদ। চর্যাপদ ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় এই মতান্তরের সৃষ্টি।
- চর্যাপদের কবির সংখ্যা ২৩ মতান্তরে ২৪ জন।
- চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা আজ বলা সম্ভবপর নয়। তবে আধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীন বিবেচ্য।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 5 months ago
চর্যাপদের কবিরা ছিলেন -
Created: 1 week ago
A
মহাঘানী বৌদ্ধ
B
বজ্রঘানী বৌদ্ধ
C
বাউল
D
সহজঘানী বৌদ্ধ
চর্যাপদ সম্পর্কিত অনেক গবেষক এবং লেখকরা একমত যে, এটি বৌদ্ধ সহজযানী বা সহযানী বৌদ্ধ ভিক্ষুগণের রচনা। তবে চর্যাপদের পদসংখ্যা এবং মোট কবির সংখ্যা নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে। এর মধ্যেও সবাই এই বিষয়ে একমত ছিলেন যে, চর্যাপদ বৌদ্ধ সহজিয়াগণের রচনা।
এ বিষয়ে বলা যায় যে, সহজযানী বৌদ্ধ এই গ্রন্থের রচয়িতা। প্রশ্নের অপশন "সহজঘানী বৌদ্ধ" সম্ভবত টাইপিংয়ের ভুল। এটি আসলে সহজযানী বৌদ্ধ হওয়া উচিত, যা ভুল বানান সংশোধন করা প্রয়োজন। এছাড়া, প্রশ্নে আরও কয়েকটি বানান ভুল থাকতে পারে, যা সংশোধন প্রয়োজন।
ড. হুমায়ুন আজাদ "লাল নীল দীপাবলিতে" চর্যাপদের রচয়িতা হিসেবে বাউল বৌদ্ধদের উল্লেখ করেছেন। তবে, বাউল তত্ত্বের উদ্ভব চর্যাপদ রচনার অনেক পর। বাউল সম্প্রদায়ের জীবনধারা চর্যাপদের কবিদের জীবনধারার সাথে কিছুটা মিলে যাওয়ার কারণে এমন একটি যুক্তি উপস্থাপন করা হতে পারে।
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে পরিচিত, যা বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বা গানের সংকলন। এটি ১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগারে আবিষ্কার করেন। চর্যাপদের কবিগণ বৌদ্ধ সহজিয়া মতবাদের অনুসারী ছিলেন, এবং এ গ্রন্থে বৌদ্ধধর্মের সাধনা ও তত্ত্বের আলোচনা রয়েছে।
সহজিয়া শব্দটি একটি ধর্মসম্প্রদায়ের পরিচায়ক, যারা সহজপথে সাধনা করে। 'সহজ' শব্দের অর্থ হলো, যা স্বাভাবিকভাবে বা সহজে জন্মায়। সহজিয়া দর্শনে, প্রতিটি প্রাণী বা বস্তুর ভেতরে একটি শাশ্বত স্বরূপ বা অন্তর্নিহিত সত্য রয়েছে, যা উপলব্ধির মাধ্যমে জানা যায়। এই উপলব্ধি প্রক্রিয়াই সহজপথ বলে পরিচিত।
সহজিয়ারা দুই ভাগে বিভক্ত, বৌদ্ধ সহজিয়া এবং বৈষ্ণব সহজিয়া। বৌদ্ধ সহজিয়ার উদ্ভব বজ্রযানী বৌদ্ধদের অনুসরণে হয়। তাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি মন্ত্র-তন্ত্র এবং শাস্ত্রচারণার প্রতি বিরোধিতা জানিয়ে সহজপথে বোধি বা বুদ্ধ উপলব্ধি করার দিকে মনোযোগ দেন। পাল রাজাদের আমলে এই মতবাদের প্রভাব বাংলায় ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে।
বৌদ্ধ সহজিয়া মতবাদকে সহজযান নামে পরিচিত, যা পরে আরো বিভক্ত হয় বজ্রযান, কালচক্রযান, মন্ত্রযান, এবং সহজযান নামক উপবিভাগে। চর্যাপদের কবিরা এই সহজযান মতবাদ অনুসরণ করতেন।
এখানে বলা যায় যে, বৌদ্ধ সহজিয়াগণ বা সহজযান বৌদ্ধ ছিলেন চর্যাপদের কবিরা। এই তথ্যের ভিত্তিতে, সর্বোত্তম উত্তর হিসেবে "সহজঘানী বৌদ্ধ" অপশনটি গ্রহণযোগ্য নয়, এবং “সহজযানী বৌদ্ধ” হওয়া উচিত।
0
Updated: 1 week ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র মতে চর্যাপদের রচনাকাল কোনটি?
Created: 1 month ago
A
৯৫০-১২০০ খ্রীষ্টাব্দ
B
৬৫০-৯৫০ খ্রীষ্টাব্দ
C
৬৫০-১২৫০ খ্রীষ্টাব্দ
D
৬৫০-১২০০ খ্রীষ্টাব্দ
চর্যাপদের রচনাকাল সম্পর্কে গবেষকদের মত
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে: ৬৫০ – ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে: ৯৫০ – ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে
-
ড. সুকুমার সেনের মতে: ৯০০ – ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে
চর্যাপদ
-
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন
-
বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে আবিষ্কার করেন
-
প্রবোধচন্দ্র বাগচী ১৯৩৮ সালে চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন
0
Updated: 1 month ago
২) চর্যাপদ কী?
Created: 2 months ago
A
দেবী বন্দনা
B
উপন্যাস সমগ্র
C
গানের সংকলন
D
প্রবন্ধ সংকলন
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, কবিতা সংকলন বা গানের সংকলন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে পুথিটি আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় এই পুথি "হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা" নামে ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
-
পুথির সূচনায় থাকা একটি সংস্কৃত শ্লোকের সূত্রে এর আরেক নাম "চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়"।
-
তবে এটি মূলত "বৌদ্ধগান ও দোহা" বা "চর্যাপদ" নামেই পরিচিত।
-
চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়া সম্প্রদায়ের কবিগণ।
-
এর বিষয়বস্তুতে বৌদ্ধধর্মের শিক্ষা ও দর্শন ফুটে উঠেছে।
-
কীর্তিচন্দ্র চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago