OMR ডিভাইস কীভাবে কাজ করে?
A
চুম্বকীয় শক্তির সাহায্যে মার্ক স্ক্যান করে
B
আলোর সাহায্যে মার্ক স্ক্যান করে
C
তাপের সাহায্যে মার্ক পড়ে
D
ইনফ্রারেড রশ্মি ব্যবহার করে
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: খ) আলোর সাহায্যে মার্ক স্ক্যান করে
ওএমআর (OMR – Optical Mark Reader):
-
OMR হলো একটি বিশেষ ধরনের ইনপুট ডিভাইস, যা OMR সিটে দাগাঙ্কিত পেনসিল বা কলমের মার্ক সনাক্ত করতে পারে।
-
OMR সিটের মার্ক আলোর সাহায্যে স্ক্যান করে এবং সমতুল্য বৈদ্যুতিক পালস উৎপন্ন করে।
-
বিশেষ OMR সিটের মার্ককে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ডাটা আকারে রূপান্তর করা হয়।
-
সাধারণ ব্যবহার: নৈর্বাচনিক প্রশ্নোত্তর, জনসংখ্যা জরিপ এবং অনুরূপ কাজ।
-
এই ডিভাইস অতি কম সময়ে বিপুল পরিমাণ তথ্য স্ক্যান করতে সক্ষম।
-
লক্ষ্যণীয়: মার্ক স্পষ্ট না হলে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না।
উৎস: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি-২, এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল)
0
Updated: 1 month ago
কোনটি CPU-এর অংশ নয়?
Created: 1 month ago
A
নিয়ন্ত্রণ অংশ
B
রেজিস্টার
C
ইন্টারপ্রেটার
D
অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট
ইন্টারপ্রেটার CPU-এর অংশ নয়
ইন্টারপ্রেটার হলো একটি প্রোগ্রামিং ভাষা অনুবাদক, যা উচ্চ-স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা (যেমন: পাইথন) থেকে লেখা কোডকে মেশিন কোডে অনুবাদ করে, যা CPU বুঝতে পারে। এটি CPU-এর অংশ নয়, বরং একটি সফটওয়্যার।
CPU-এর প্রধান অংশসমূহ:
১. নিয়ন্ত্রণ অংশ (Control Unit):
-
কম্পিউটারে সম্পাদিত সমস্ত কাজের নিয়ন্ত্রণ করে।
-
CPU, মেমোরি এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে ডাটা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
ROM ও RAM-এ সঞ্চিত নির্দেশ অনুসারে কাজ করে এবং কম্পিউটারের অন্য সব অংশকে আদেশ দেয়।
-
বাইনারি কোডের ইন্সট্রাকশন স্মৃতি থেকে গ্রহণ করে ডিকোড করে।
২. অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট (ALU) / গাণিতিক যুক্তি অংশ:
-
এখানে বিভিন্ন ধরনের অপারেশন সম্পাদিত হয়, যেমন: যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, OR, AND, NOR, XOR ইত্যাদি।
-
এতে প্রোগ্রাম কাউন্টার থাকে, যা পূর্বের ইন্সট্রাকশনের ঠিকানা রাখে।
-
কোন ইন্সট্রাকশন কখন সম্পাদিত হবে তা এই ঠিকানা থেকে জানানো যায়।
৩. রেজিস্টার বা মেমোরি (Registers / Memory):
-
CPU-এর একটি অংশ।
-
দ্রুত লিখন ও পঠন সম্ভব।
-
গাণিতিক যুক্তি অংশে তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সাহায্য করে।
-
কোনো কাজের সময় ডাটা সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
অপারেশনের ফলাফলও এখানে সাময়িকভাবে সঞ্চিত থাকে।
উৎস: কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি-১, এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল)
0
Updated: 1 month ago
কোনটি সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক?
Created: 1 month ago
A
LAN
B
PAN
C
MAN
D
WAN
Wide Area Network (WAN) – সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক
Wide Area Network - WAN:
-
বিশাল ভৌগলিক এলাকার মধ্যে একাধিক LAN বা MAN নিয়ে গড়ে ওঠে।
-
সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক।
-
সংযোগের জন্য টেলিফোন লাইন বা স্যাটেলাইট ব্যবহৃত হয়।
-
ভিন্ন ভিন্ন নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার জন্য গেটওয়ে ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণ: ইন্টারনেট, ই-মেইল ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করে।
অন্যান্য নেটওয়ার্কের ধরন:
1. Local Area Network (LAN) – লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক
-
কাছাকাছি অবস্থান করা কম্পিউটার ও যন্ত্রপাতির মধ্যে গঠিত নেটওয়ার্ক।
-
ছোট পরিসরে ব্যবহৃত হয়।
-
একাধিক ডিভাইস একসঙ্গে যুক্ত থাকে।
-
রিপিটার, হাব, NIC ইত্যাদি LAN-এর উপযোগী ডিভাইস ব্যবহার হয়।
-
দ্রুত গতির ডেটা ট্রান্সফার সম্ভব।
-
উদাহরণ: অফিস, স্কুল কম্পিউটার ল্যাব, বাড়ির অভ্যন্তরীন নেটওয়ার্ক।
2. Personal Area Network (PAN) – পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক
-
ব্যক্তিগত পর্যায়ে নেটওয়ার্ক তৈরির কৌশল।
-
পার্সোনাল কম্পিউটার ডিভাইসসমূহের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত।
-
খরচ কম এবং দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান সম্ভব।
-
সাধারণত ১০ মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
-
উদাহরণ: ব্লুটুথ নেটওয়ার্ক।
3. Metropolitan Area Network (MAN) – মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক
-
LAN-এর চেয়ে বড় পরিসরে, একটি শহর বা কয়েকটি শহরের মধ্যে গঠিত নেটওয়ার্ক।
-
উচ্চ গতির ডেটা আদান-প্রদান সম্ভব।
-
সাধারণত টেলিফোন কোম্পানির ক্যাবল বা নিজস্ব ক্যাবল ব্যবহার করে।
-
উদাহরণ: ঢাকার বিভিন্ন অফিসে যুক্ত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক।
উৎস:
-
এসএসসি প্রোগ্রাম, কম্পিউটার শিক্ষা, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
-
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
0
Updated: 1 month ago
Cellular Data Network এর ক্ষেত্রে GPRS বলতে কী বুঝায়?
Created: 1 week ago
A
Global Positioning Radio Service
B
General Positioning Radio Service
C
Global Packet Radio Service
D
General Packet Radio Service
GPRS শব্দের পূর্ণরূপ হলো General Packet Radio Service, যা মোবাইল ফোন প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত একটি উচ্চগতির ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা। এটি মূলত GSM প্রযুক্তির একটি সম্প্রসারিত রূপ, যা মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে। GPRS প্রযুক্তি মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা প্যাকেট আকারে প্রেরণ ও গ্রহণ করে, ফলে ব্যবহারকারীরা সহজে ইমেইল পাঠানো, ওয়েব ব্রাউজিং, মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং ও অনলাইন যোগাযোগ করতে পারেন।
মোবাইল ফোন প্রযুক্তির প্রধান দুই প্রকার:
বর্তমানে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন প্রযুক্তিকে সাধারণত দুইটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়— GSM (Global System for Mobile Communication) এবং CDMA (Code Division Multiple Access)।
১. GSM (Global System for Mobile Communication):
-
GSM হলো বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় মোবাইল যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা TDMA (Time Division Multiple Access) এবং FDMA (Frequency Division Multiple Access)-এর সম্মিলিত চ্যানেল অ্যাকসেস পদ্ধতি ব্যবহার করে।
-
এই প্রযুক্তিতে উচ্চগতির ডেটা আদান-প্রদানের জন্য GPRS (General Packet Radio Service) ও EDGE (Enhanced Data Rate for GSM Evolution) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
-
GSM-এর সেল কভারেজ এলাকা প্রায় ৩৫ কিলোমিটার, যা শহর ও জনবহুল অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত।
-
এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা, অর্থাৎ ব্যবহারকারী বিদেশে থেকেও একই সিম ও নম্বর ব্যবহার করতে পারেন।
-
GSM নেটওয়ার্ক বিশ্বজুড়ে ৮০% এর বেশি মোবাইল ব্যবহারকারীর দ্বারা ব্যবহৃত।
২. CDMA (Code Division Multiple Access):
-
CDMA প্রযুক্তিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয় ইউনিক কোডিং পদ্ধতিতে, যেখানে প্রতিটি কল বা ডেটা ট্রান্সমিশন একটি নির্দিষ্ট কোড দ্বারা চিহ্নিত হয়।
-
এই প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে বলা হয় স্প্রেড স্পেকট্রাম (Spread Spectrum)।
-
CDMA নেটওয়ার্কের সেল কভারেজ এলাকা প্রায় ১১০ কিলোমিটার, যা বৃহত্তর এলাকা কভার করতে সক্ষম।
-
তবে, GSM-এর মতো CDMA নেটওয়ার্কে আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা সাধারণত পাওয়া যায় না।
-
বাংলাদেশে একসময় সিটিসেল (Citycell) নামক মোবাইল অপারেটর এই প্রযুক্তি ব্যবহার করত।
GPRS-এর গুরুত্ব ও ভূমিকা:
-
GPRS প্রযুক্তি মোবাইল ডেটা ব্যবহারে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
-
এটি ২.৫G প্রযুক্তি হিসেবে পরিচিত, যা ২G ও ৩G প্রযুক্তির মধ্যবর্তী ধাপ।
-
এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা মোবাইল ফোন দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ, অনলাইন ফাইল ডাউনলোড, ইমেইল পাঠানো এবং অ্যাপ চালাতে পারেন।
-
GSM নেটওয়ার্কে GPRS সংযুক্ত থাকার কারণে মোবাইল ডেটা পরিষেবা আরও গতিশীল ও সাশ্রয়ী হয়।
সব মিলিয়ে, GPRS হলো GSM প্রযুক্তিনির্ভর এমন এক ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি, যা মোবাইল ফোনকে শুধু ভয়েস কল নয়, বরং ইন্টারনেট ব্যবহারের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0
Updated: 1 week ago