প্রাচীনকালে হরিকেল জনপদের অন্তর্গত ছিল কোন জেলা?
A
বগুড়া
B
কুমিল্লা
C
সিলেট
D
বরিশাল
উত্তরের বিবরণ
হরিকেল:
- হরিকেল জনপদের কথা প্রথম জানা যায় প্রথম শতকের চট্টগ্রামে প্রাপ্ত লিপিতে।
- চন্দ্রবংশীয় লিপিতেও হরিকেল রাজ্যের কথা আছে।
- হরিকেল জনপদ আধুনিক সিলেট থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত দুটি প্রাচীন গ্রন্থের পাণ্ডুলিপিতে হরিকোল (হরিকেল) ও বর্তমান সিলেট বিভাগ অভিন্ন উলিণ্ঢখিত হয়েছে।
- বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে এ কথা বলা যায় যে, জনপদগুলোর নির্দিষ্ট সীমারেখা নির্ণয় করা বা যুগে যুগে তাদের সীমার বিস্তার ও সংকোচনের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা দুরূহ কাজ।
- হরিকেল প্রাচীন পূর্ববঙ্গের একটি জনপদ।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
২০২৫ সালে ’স্বাধীনতা পুরস্কার’ মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে লাভ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম
B
বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
C
মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান
D
স্যার ফজলে হাসান আবেদ
স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা, যা প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে প্রদান করা হয়। ২০২৫ সালে মোট ৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁদের সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানকে স্মরণ ও সম্মান জানানো হয়েছে।
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর)
-
সাহিত্য: মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর)
-
সংস্কৃতি: নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর)
-
সমাজসেবা: স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)
-
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর)
-
শিক্ষা ও গবেষণা: বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
-
প্রতিবাদী তারুণ্য: আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)
অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে—
-
স্বাধীনতা পদক হলো বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
-
এই পদক ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রদান করা হচ্ছে।
-
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পাকিস্তানের গণপরিষদে সর্বপ্রথম কে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেন?
Created: 1 month ago
A
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
B
এ. কে. ফজলুল হক
C
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
D
প্রফেসর আবুল কাশেম
১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার কংগ্রেস দলীয় গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকেও গণপরিষদের ভাষা হিসেবে ব্যবহারের দাবি উত্থাপন করেন।
-
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সর্বপ্রথম পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব তোলেন।
-
তিনি সরকারি কাগজে বাংলা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন।
-
২৩ ফেব্রুয়ারি করাচিতে গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হলে, ২৫ ফেব্রুয়ারি অধিবেশনে তিনি সর্বপ্রথম বাংলা রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সোচ্চার হন।
-
অধিবেশনে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, গণপরিষদে কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুতে লেখা হয়, অথচ সমগ্র পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন।
-
তিনি ইংরেজি ও উর্দুর সঙ্গে বাংলারও ব্যবহার দাবী করেন।
-
উল্লেখযোগ্য, বাংলা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা, তাই রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা পাওয়া স্বাভাবিক ছিল।
-
তবে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং উর্দুভাষী বুদ্ধিজীবীরা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন এবং বাংলার দাবিকে উপেক্ষা করা হয়।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
ধর্মপাল
B
দেবপাল
C
গোপাল
D
মহীপাল
বাংলায় ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে জনগণ গোপালকে রাজা হিসেবে নির্বাচিত করে।
পাল বংশ:
-
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল।
-
পাল রাজারা বাংলা ও বিহার অঞ্চলে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশ বছর শাসন করেন।
-
নৈরাজ্য ও চরম অরাজকতার হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে গোপাল এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত বাংলায় এক অন্ধকার যুগ বিরাজ করছিল।
-
বাংলার ইতিহাসে এই সময়কালকে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে খ্যাত।
-
‘মাৎস্যন্যায়’ একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ অরাজক পরিস্থিতি।
-
অরাজকতা ও রাষ্ট্রহীনতার অবসান ঘটিয়ে বাংলায় পাল বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
শত বছরের হানাহানির অবসান ঘটে যখন গোপাল রাজা হন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago