খাসিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রামকে কী বলা হয়?
A
পুঞ্জি
B
মহল্লা
C
পাড়া
D
টোল
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
খাসিয়া
-
খাসিয়া বাংলাদেশে বসবাসরত একটি মাতৃতান্ত্রিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
এদের আদি নিবাস বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে সুনামগঞ্জ জেলা।
-
বর্তমানে তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও সদর থানায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করছে।
-
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব হলো খাসি সেং কুটস্নেম, যার মাধ্যমে তারা পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
-
খাসিয়ারা তাদের গ্রামকে ‘পুঞ্জি’ বলে ডাকে।
-
প্রতিটি পুঞ্জির প্রধানকে বলা হয় ‘সিয়েম’।
-
বর্তমানে প্রায় ৮০%-৯০% খাসিয়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
-
প্রায় প্রতিটি পুঞ্জিতেই একটি করে গির্জা রয়েছে।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 15 hours ago
নিচের কোনটি DNA-এর নাইট্রোজেন বেস?
Created: 1 month ago
A
ইউরাসিল
B
গোয়ানিন
C
পিরিডক্সিন
D
অ্যাসপারাজিন
ডিএনএ (DNA)
-
Deoxyribo Nucleic Acid (DNA) হলো ক্রোমোসোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্থায়ী উপাদান।
-
ক্রোমোসোমে থাকা বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে DNA প্রায় ৪৫% অংশ জুড়ে থাকে।
-
এটি ৯০% ক্রোমোসোমে বিদ্যমান থাকে, যা তার বিস্তৃত উপস্থিতিকে নির্দেশ করে।
-
DNA একটি পলিমারিক যৌগ, যার গঠনের একক একককে নিউক্লিয়োটাইড বলা হয়।
-
প্রতিটি নিউক্লিয়োটাইড গঠিত তিনটি মূল অংশ নিয়ে:
-
পাঁচ-কার্বনবিশিষ্ট ডিঅক্সিরাইবোজ চিনির অণু,
-
নাইট্রোজেনযুক্ত একটি ক্ষারক (যথা: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, থায়ামিন, সাইটোসিন),
-
এবং একটি ফসফরিক অ্যাসিড।
-
আরএনএ (RNA)
-
RNA এর পূর্ণরূপ হলো Ribo Nucleic Acid।
-
এটি DNA এর মতো স্থায়ী উপাদান নয়, বরং সাময়িকভাবে কার্য সম্পাদনে অংশগ্রহণ করে।
-
ক্রোমোসোমে RNA এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম, যা ০.২% থেকে ১.৪% পর্যন্ত হয়ে থাকে।
-
প্রতিটি RNA অণু একসূত্র বিশিষ্ট (single-stranded)।
-
এর গঠন উপাদান তিনটি:
-
রাইবোজ শর্করা, যার ২ নম্বর কার্বনে একটি অক্সিজেন অণু উপস্থিত থাকে,
-
একটি অজৈব ফসফেট,
-
এবং নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারক (যেমন: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল)।
-
-
RNA-তে থায়ামিন অনুপস্থিত; তার পরিবর্তে ইউরাসিল ক্ষারক থাকে।
-
এটি সাধারণত ১০% ক্রোমোসোমে পাওয়া যায়।
-
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ভাইরাসের ক্ষেত্রে RNA অনেক সময় স্থায়ী জিনগত উপাদান হিসেবে কাজ করে।
তথ্যসূত্র: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
সমুদ্রে দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়ের যন্ত্রের নাম-
Created: 3 weeks ago
A
ক্রোনোমিটার
B
কম্পাস
C
সিসমোগ্রাফ
D
সেক্সট্যান্ট
পরিমাপের যন্ত্রসমূহ:
-
অ্যানিমোমিটার – বায়ুর গতি বা বাতাসের প্রবাহের শক্তি পরিমাপের যন্ত্র।
-
ব্যারোমিটার – বায়ুমন্ডলের চাপ মাপার যন্ত্র।
-
সেক্সট্যান্ট – সূর্য ও অন্যান্য গ্রহের উচ্চতা বা কোণ পরিমাপের যন্ত্র।
-
সিসমোগ্রাফ – ভূমিকম্পের কম্পন বা লহর রেকর্ড করার যন্ত্র।
-
ম্যানোমিটার – গ্যাসের চাপ নির্ণয়ের যন্ত্র।
-
ফ্যাডোমিটার – সমুদ্রের গভীরতা মাপার যন্ত্র।
-
জায়রো কম্পাস – জাহাজের চলার দিক নির্ধারণের যন্ত্র।
-
ক্রোনোমিটার – সময় খুব সূক্ষ্মভাবে মাপার জন্য বা সমুদ্রযাত্রায় দ্রাঘিমা নির্ধারণের যন্ত্র।
উৎস: ব্রিটানিকা এবং উচ্চ-মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান।

0
Updated: 3 weeks ago
সর্বাপেক্ষা ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণ হচ্ছে-
Created: 1 month ago
A
আলফা রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
গামা রশ্মি
D
রঞ্জন রশ্মি
গামা রশ্মি
-
গামা রশ্মি জীবজগতের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় রশ্মি।
-
এর ভেদন ক্ষমতা আলফা ও বিটা রশ্মির তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।
-
গামা রশ্মি প্রায় কয়েক সেন্টিমিটার পুরু সীসাও সহজেই ভেদ করতে পারে।
-
সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি বা আলট্রাভায়োলেট রশ্মির তুলনায় গামা রশ্মি ক্ষতির দিক থেকে অনেক বেশি মারাত্মক।
-
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে ক্ষুদ্র হওয়ায় এর ভেদন ক্ষমতাও সর্বোচ্চ।
-
পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় গামা রশ্মি প্রবাহিত হয়।
-
বিটা এবং আলফা রশ্মির তুলনায় গামা রশ্মির প্রভাব ও ক্ষতি অনেক বেশি।
উৎস: নাসা ও ব্রিটানিকা ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago